Royal Enfield Classic কেনার শখ কিন্তু বাজেট বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে? পুরনো মডেল নেওয়ার আগে যে বিষয়গুলি খেয়াল রাখবেন
Royal Enfield এর বেস্ট সেলিং মডেল তো বটেই, একই সাথে দেশের জনপ্রিয়তম রেট্রো মোটরসাইকেল হল Classic 350। ২০০৯ সালে যাত্রা শুরু করা এই বাইকটির আজ অগণিত ভক্ত বর্তমান। আবার গত বছর নতুন আপডেট-সহ লঞ্চ হয়েছে Classic এর দ্বিতীয় জেনারেশন মডেল। সংস্থার ব্র্যান্ড নিউ J আর্কিটেকচারে নির্মিত হওয়ার ফলে ডিজাইন, চ্যাসিস, ইঞ্জিন ও যন্ত্রাংশ সহ প্রায় সবকিছুই নতুন ধাঁচে সজ্জিত হয়েছে। তার সাথে পাল্লা দিয়ে দামও বেড়েছে অনেকটা। এখন কলকাতায় অন-রোড মুল্য প্রায় ২.৩০ লাখ টাকা।
ফলে Royal Enfield Classic 350 কেনার শখ অথচ বাজেট বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে এমন অবস্থায় ভরসা সেকেন্ড হ্যান্ড মডেল। পুরনো গাড়ি কেনাবেচার দোকানে ভাল অবস্থায় থাকা এই মোটরসাইকেল ৯০ হাজার থেকে শুরু করে ১.৫ লাখের মধ্যে পাওয়া সম্ভব। তবে বিষয়টি তার বর্তমান অবস্থা ও কোন বছরে তৈরি হয়েছে সেটার উপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল। এই প্রতিবেদনে পুরনো ক্লাসিকের ভালো ও খারাপ দুটি দিকই সমান ভাবে তুলে ধরা হল।
Royal Enfield Classic 350 ভালো দিক:
সৌন্দর্য যদিও আপেক্ষিক, তবুও রয়্যাল এনফিল্ড ক্লাসিক ৩৫০ এর ডিজাইন এবং রেট্রো লুক অনেক বেশি পথ চলতি মানুষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম। এর বিভিন্ন ধরনের রঙের কাজ বাইকটিতে এক ধরনের প্রিমিয়াম লুক প্রদান করে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো এর যন্ত্রাংশগুলি খুব পরিপাটির সাথে বাইকটির সঙ্গে লাগানো রয়েছে। এমনকি এর রঙের কোয়ালিটি ও ব্যবহৃত সুইচ গিয়ারগুলি অনেক বেশি মজবুত ও টেকসই।
ইঞ্জিন স্পেসিফিকেশনে নিরিখে দ্বিতীয় প্রজন্মের মডেল অনেক বেশি রিফাইন্ড ও আধুনিক হওয়া সত্বেও, পুরনো মডেলে থাকা ৩৪৬ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার, টুইন্স স্পার্ক ইঞ্জিনকে কোনও ভাবেই খাটো করা যায় না। ৫ স্পিড গিয়ার বক্স যুক্ত এই ইঞ্জিনের সর্বোচ্চ পাওয়ার ও টর্ক যথাক্রমে ১৯.১ বিএইচপি ও ২৮ এনএম। উপরন্তু এই বাইকটির রিসেল ভ্যালু অনেকটাই বেশি। তাই একটু যত্ন সহকারে রাখতে পারলে কয়েক বছর পর প্রয়োজনে বিক্রি করলে যথাযোগ্য মূল্য পাওয়া সম্ভব।
Royal Enfield Classic 350 খারাপ দিক:
সত্যি কথা বলতে রয়্যাল এনফিল্ড ক্লাসিক ৩৫০ খানিকটা সেনাবাহিনীতে ব্যবহৃত ট্যাংকের ন্যায় মনে হয়। যার সবচেয়ে বড় কারণ এর ওজন। বাইকটির প্রায় সমগ্র অংশই মেটালের তৈরি। তাই ৯০% তেল ভর্তি অবস্থায় বাইকটির ওজন প্রায় ১৯৫ কেজি, যা অনেকের কাছেই অতিরিক্ত বলে মনে হতে পারে।
অন্য দিকে পুরনো BS-3 বা BS-4 এর ক্লাসিক ৩৫০ ইঞ্জিন যথাযথ আরামপ্রদ নয়। বরং বলা ভালো এই ইঞ্জিন অনেক বেশি কম্পন ও তাপ উৎপাদনকারী। যদিও সে তুলনায় BS-6 ইঞ্জিনটি যথেষ্ট স্মুথ পারফরম্যান্স প্রদান করতে সক্ষম। এদিক থেকে বিচার করলে নতুন মডেল কেনাই বুদ্ধিমানের কাজ। এর পাশাপাশি ইঞ্জিনটি নিম্ন ও মধ্য আরপিএম গতিতে যথাযথ টর্ক সমৃদ্ধ হলেও উচ্চ আরপিএম এর ক্ষেত্রে ইঞ্জিনের পারফরম্যান্স ততটা প্রশংসার দাবি রাখে না।