300 থেকে 400cc বাইকের মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে Royal Enfield Classic, এখন ওয়েটিং পিরিয়ড নেই, শোরুমে গেলে তৎক্ষণাৎ পাবেন
Royal Enfield Classic 350। এদেশের আপামর বাইকপ্রেমীদের কাছে এই নামটুকই যথেষ্ট।আর গত বছর এর নতুন প্রজন্মের মডেল লঞ্চ করার পর তো জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। বাজারে ৩০০ থেকে ৪০০ সিসি বাইকগুলির মধ্যে সর্বাধিক সংখ্যায় বিকোচ্ছে এটি। কিন্তু অতিমারি পর্বের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই সেমিকন্ডাক্টর চিপের আকাল অটোমোবাইল শিল্পে যেন মড়ার উপর খাড়ার ঘা হয়ে নেমে এসেছে। ফলে 'ওয়েটিং পিরিয়ড' হচ্ছে আরও লম্বা।
তবে যে সংস্থার নামের মধ্যে "রয়্যাল" শব্দটি ঢুকে আছে তার কাছে এইসব সমস্যা তুচ্ছ। রয়্যাল এনফিল্ডপ্রেমীদের কাছে আশার বাণী যে, তাদের জনপ্রিয় Classic 350-এর অপেক্ষার মেয়াদ অনেকাংশেই কমে এসেছে। এমনকি কোনো কোনো শহরে তা নেই বললেই চলে। এই মডেলটির জনপ্রিয়তা এতটাই তুঙ্গে যে গত মে মাসে বিক্রি হয়েছে ৩০ হাজার৷ এক কথায়, বাজারে ৩০০ থেকে ৪০০ সিসির অন্যান্য মোটরসাইকেগুলির তুলনায় অনেক এগিয়ে এটি।
রিপোর্ট বলছে, দিল্লি, চেন্নাই, কলকাতা কিংবা হায়দ্রাবাদের বাসিন্দারা অত্যন্ত ভাগ্যবান। কারণ এই শহরগুলিতে সাধের Classic 350 ডেলিভারি নেওয়ার জন্য একদিনও অপেক্ষা করতে হবে না। যদিও পুনের ক্ষেত্রে ওয়েটিং পিরিয়ড ১ থেকে ২ মাস এবং মুম্বইয়ে ২ মাস। আর বেঙ্গালুরুবাসীদের প্রায় ৭৫ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। তবে অপেক্ষার মেয়াদ ভ্যারিয়েন্ট, রং এবং ডিলারের উপর নির্ভর করছে। তাই কেনার পরিকল্পনা করে থাকলে নিকটবর্তী ডিলারের কাছে খোঁজ নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি আমরা।
এবার একনজরে এই জনপ্রিয় মোটরসাইকেলটির স্পেসিফিকেশন দেখে নেওয়া যাক। ৩৪৯ সিসির এয়ার/অয়েল কুল্ড, সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন ক্লাসিকের চালিকাশক্তি যোগায়। ইঞ্জিনটি ৬,১০০ আরপিএম গতিতে সর্বাধিক ২০.২ বিএইচপি শক্তি এবং ৪,০০০ আরপিএমে সর্বোচ্চ ২৭ এনএম টর্ক উৎপন্ন করতে সক্ষম। ৫ স্পিড গিয়ার বক্স যুক্ত এই বাইকে সিঙ্গেল চ্যানেল ও ডুয়েল চ্যানেল এবিএস অপশন উপলভ্য। সামনে দেওয়া হয়েছে ১৯ ইঞ্চি ১০০/৯০ সেকশন টায়ার ও পিছনে রয়েছে ১৮ ইঞ্চি ১২০/৮০ সেকশন টায়ার। সাসপেনশনের জন্য সামনে টেলিস্কোপিক ফর্ক ও পিছনে অ্যাডজাস্টেবল শক অ্যাবজর্ভার দেওয়া হয়েছে। কলকাতায় ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা থেকে দাম (এক্স-শোরুম) শুরু।