Hunter 350: Royal Enfield-এর সবচেয়ে সস্তা বাইক লঞ্চের আগে ফের রাস্তায় দেখা গেল, লং রাইডের জন্য হবে আদর্শ
Royal Enfield Hunter 350 আগস্টের শুরুতেই প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে লঞ্চ হবে। সংস্থার তরফে এ বিষয়ে খোলাখুলি কিছু না বলা হলেও, বিশ্বস্ত সূত্র মারফত তেমনটাই জানা গিয়েছে। বাইকটি নিয়ে আগ্রহের অন্যতম কারণ হল, সংস্থার সবচেয়ে সস্তা মডেল হিসাবে বাজারে আসবে এটি। এবার চূড়ান্ত রূপে আত্মপ্রকাশের পূর্বে শেষ বারের মতো Royal Enfield Hunter 350-এর রোড টেস্টিংয়ের ছবি সামনে এল।
লঞ্চ হয়নি, রয়্যাল এনফিল্ড-এর এমন বিভিন্ন মোটরসাইকেলকে সাম্প্রতিক কালে প্রকাশ্য রাস্তায় দেখা গিয়েছে। যার মধ্যে বেশি আলোচিত ৬৫০ সিসি ইঞ্জিনের নতুন দুই বাইক। Hunter 350-এর যে ছবি সামনে এসেছে, তাতে বাইকটিকে ট্যুরিংয়ের উপযোগী অ্যাক্সেসরিজের সঙ্গে লক্ষ্য করা যায় - পিলিয়ন ব্যাক রেস্ট, উইন্ড স্ক্রিন, সাইড বক্স। বাইকে চেপে লং ট্রিপে যাওয়ার প্রবণতা এখন নতুন ট্রেন্ড। এ ক্ষেত্রে বেশ উপযোগী হতে পারে নতুন Hunter 350।
Royal Enfield-এর J প্ল্যাটফর্মের তৃতীয় মডেল হল হান্টার। ফলে বাইকটির সাথে Meteor 350 ক্রুজার ও নতুন প্রজন্মের Classic 350-এর সাদৃশ্য থাকবে। এতেও একই ধরনের ডুয়েল ক্র্যাডেল ফ্রেম-সহ সামনে টেলিস্কোপিক ফর্ক ও পিছনে ডুয়াল শক অ্যাবজর্ভার দেওয়া হয়েছে। ব্রেকিংয়ের জন্য উভয় চাকাতেই একটি করে ডিস্ক রয়েছে। রাইডারের সুরক্ষার্থে সিঙ্গেল/ডুয়েল চ্যানেল এবিএস সিস্টেম উপলব্ধ থাকছে। দাম ১.৪০ লাখের কাছাকাছি রাখা হতে পারে। সুতরাং রয়্যাল এনফিল্ড-এর সবচেয়ে কমদামি বাইক হয়ে উঠবে এটি।
৩৪৯ সিসির, সিঙ্গেল সিলিন্ডার যুক্ত এয়ার ও ওয়েল কুল্ড ইঞ্জিন বাইকটির মূল চালিকাশক্তি। ৫ স্পিড ট্রান্সমিশন যুক্ত এই ইঞ্জিনের সর্বোচ্চ ক্ষমতা ২০ হর্সপাওয়ার এবং সর্বাধিক টর্ক ২৭ নিউটন মিটার। সামনে রয়েছে ১৯ ইঞ্চির ১০০/৯০ সেকশনের টায়ার ও পিছনে ১৭ ইঞ্চির ১৪০/৭০ সেকশনের টায়ার। প্রযুক্তির দিক থেকেও পিছিয়ে থাকবে না বাইকটি। সেমি ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার-সহ ট্রিপ্পার নেভিগেশন সিস্টেমের জন্য আলাদা পড থাকতে পারে এতে। গোল হ্যালোজেন হেডল্যাম্প, টিয়ার ড্রপ আকৃতির ফুয়েল ট্যাঙ্ক, গোল টেল ল্যাম্প থাকায় হান্টারের ডিজাইনে রেট্রো ভাব স্পষ্ট।