Maruti-র মুখ পুড়লেও ক্র্যাশ টেস্টে ফুল মার্কস পেয়ে মানরক্ষা করল ভারতে তৈরি এই দুই গাড়ি
মারুতির মুখে চুনকালি পড়লেও গ্লোবাল এনক্যাপ (Global NCAP) এর আরও কড়া বিধি মেনে নেওয়া ক্র্যাশ টেস্টে পূর্ণ নম্বর পেয়ে সসম্মানের সাথে উত্তীর্ণ হয়েছে Volkswagen Taigun ও Skoda Kushaq। জার্মান সংস্থার গাড়ি দুটি দুর্নিবার বিক্রম দেখিয়ে জিএনক্যাপ (GNCAP)-এর থেকে পাঁচ তারার মানপত্র ছিনিয়ে নিয়েছে। এদের নির্মাণকারী সংস্থা ফোক্সভাগেন গোষ্ঠীর লক্ষ্য ইন্ডিয়া ২.০ (India 2.0) প্রকল্পের আওতায় ভারতের মাটিতে নিরাপদ গাড়ি তৈরি করা। যেগুলি দেশের পাশাপাশি বিদেশের বাজারের সাথে গুণগত বিধি পালন করে আসবে।
Volkswagen Taigun ও Skoda Kushaq-এর জয়জয়কার
গাড়ির ক্র্যাশ টেস্টের প্রসঙ্গে স্কোডা অটো ফোক্সভাগেন ইন্ডিয়ার কার্যনির্বাহী আধিকারিক ক্রিস্টিয়ান কাহন ভন সীলেন বলেন, “নতুন গাড়ি দুটির সুরক্ষার বিধি বাড়াতে পেরে আমরা গর্বিত। আমাদের গোষ্ঠী ভারতের বাজারে একাধিক রেঞ্জের গাড়ি অফার করে থাকে। তবে প্রতিটির ক্ষেত্রে সাধারন বিষয় হল – ডায়নামিক ড্রাইভ, উল্লেখযোগ্য ফিচার্স, এবং আরামদায়ক ও সুরক্ষিত রাইডিংয়ের অভিজ্ঞতা।”
এদিকে গ্লোবাল এনক্যাপ তাদের ক্র্যাশ টেস্টের বৃদ্ধিতে পরিবর্তন এনেছে। আগের চাইতে নিয়মকানুন আরও কঠোর করা হয়েছে। প্রতিটি গাড়ির সামনের অংশ ছাড়াও পরিপার্শ্বের সুরক্ষার মান যাচাই করে দেখা হচ্ছে। যার উপর ভিত্তি করে দেওয়া হচ্ছে রেটিং। আবার ইলেকট্রনিক স্টেবিলিটি কন্ট্রোল (ইএসসি), যাত্রীদের পা এবং দুই পাশের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Volkswagen Taigun ও Skoda Kushaq ক্র্যাশ টেস্টে কেমন ফল করল
উপরিউক্ত গাড়ি দুটিতে ইএসসি ফিচার স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে রয়েছে। যাদের সম্মুখের অংশ অতি দৃঢ়, ফলে প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রীদের ক্ষেত্রে সংঘর্ষের প্রভাব কম পড়েছে। আবার দুই পাশের সংঘর্ষেও আশানুরূপ ফল দেখিয়েছে মডেল দুটি। আবার জিএনক্যাপের কড়া পরীক্ষা ব্যবস্থাতেও শিশু যাত্রীদের ক্ষেত্রেও নিরাপত্তার কোনোরকম ফাঁকফোকর পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত ভারতে নির্মিত, Skoda Slavia ও Kushaq এবং Volkswagen Virtus ও Taigun গাড়িগুলি প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে অত্যাধুনিক সেফটি ফিচার পেয়েছে। যেমন প্রতিটি সিটে থ্রি পয়েন্ট সিট বেল্ট, সমস্ত যাত্রীর জন্য অ্যাডজাস্টেবল হেডরেস্ট, সিট বেল্ট ওয়ার্নিং, সর্বাধিক ৬টি এয়ারব্যাগ, চাইল্ড লক, ISOFIX চাইল্ড সিট অ্যাঙ্কোরেজ, ওভারস্পিড ওয়ার্নিং, স্পিড সেন্সিং ডোর লক, পার্ক ডিসটেন্স কন্ট্রোল, রিয়ার ভিউ ক্যামেরা, মাল্টি কলিশন ব্রেক, ব্রেক ডিস্ক উইপিং, টায়ার প্রেসার মনিটরিং সিস্টেম, রেইন ও লাইট সেন্সর, হিল হোল্ড কন্ট্রোল, ইলেকট্রনিক স্টেবিলিটি কন্ট্রোল এবং ইলেকট্রনিক ডিফারেন্সিয়াল লক সিস্টেম, প্রভৃতি।