Suzuki SOS System: মোটরসাইকেল অ্যাক্সিডেন্টে প্রাণহানি রুখবে সুজুকির নতুন প্রযুক্তি
একটি মোটরসাইকেলেয দাম হতে পারে কয়েক লক্ষ টাকা কিন্তু একজন মানুষের জীবন অমূল্য, যার দাম টাকার অঙ্কে হিসেব করা নেহাতই বোকামির পরিচয়! পথদুর্ঘটনায় সাধের বাইক ভেঙে তছনছ হয়ে গেলেও এই জীবনে তেমনই আরেকটি দু'চাকা গাড়ি কেনার সময় বা সুযোগ হয়ত বা পাবেন। কিন্তু দুর্ঘটনায় আপনার প্রাণটাই চলে গেলে সেই সুযোগ তো মিলবেই না, সাথে আপনার কাছের মানুষ এবং পরিবার-পরিজনদের অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতি হবে। মানুষের জীবনের গুরুত্বের কথা বিবেচনা করেই এবার সুজুকি (Suzuki) তাদের বাইকে নিয়ে আসতে চলেছে একটি অতি প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি। কী সেটি?
সেই প্রযুক্তিটি হল বিপদের সঙ্কেত বার্তা পাঠানোর একটি ডিভাইস। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, পথে দুর্ঘটনা ঘটলে চালকের পরিবার পরিজনদের কাছে বিপদের বার্তা পাঠাবে ডিভাইসটি। যাকে বলা হয়েছে এসওএস (SOS) সিস্টেম। দুর্ঘটনায় আহত হবার পর বিনা চিকিৎসায় রাস্তায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার ঘটনা ঘটছে প্রচুর৷ সুজুকির এসএওএস সিস্টেমের লক্ষ্য হল দুর্ঘটনার ভয়াবহতা সম্পর্কেও আচ করে সেই অনুযায়ী বার্তা পাঠানো।
এটিড রাইডারের শরীরের সাথে সংযুক্ত একটি সেন্সরের মাধ্যমে তার আঘাতের পরিমাণ সম্পর্কেও আন্দাজ করবে বলা জানা গিয়েছে। চালক দাঁড়িয়ে রয়েছেন নাকি মাটিতে শুয়ে রয়েছেন তার উপর নির্ভর করবে সঙ্কেত বার্তার ধরণ। যেমন ধরুন দুর্ঘটনা ঘটার পর চালক যদি নিজের পায়ে উঠে দাঁড়ান, সেক্ষেত্রে ডিভাইসটি অল্পস্বল্প আঘাতের বার্তা পাঠাবে। আবার যদি চালক মাটিতে পড়ে থাকেন, সে ক্ষেত্রে গুরুতর আঘাতের সঙ্কেত দেবে ডিভাইসটি।
জাপানি অটোমোবাইলের সংস্থাটি এই ডিভাইসটি তৈরি করতে ইসিইউ বা ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল ইউনিট এবং ইনার্শিয়াল সেন্সরের ব্যবহার করবে। অনুমান করা হচ্ছে সুজুকির স্পেশাল বাইক হায়াবুসা (Hayabusa)-র নতুন মডেলটি এই ব্যবস্থা সহ আসতে পারে। অনুমান, সিস্টেমটির গণ উৎপাদন শুরু হতে বেশ কয়েক বছর সময় লাগবে।