Tata Altroz CNG: 21 হাজার দিলেই টাটার নয়া সিএনজি গাড়ি আপনার নামে, মাইলেজ পাবেন সাড়ে 26 কিমি
পেট্রোল-ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির বাজারে খানিকটা স্বস্তি এনে দিয়েছে সিএনজি অর্থাৎ প্রাকৃতিক গ্যাস দ্বারা চালিত মডেলগুলি। পেট্রোল কিংবা ডিজেল ইঞ্জিনের পাশাপাশি সিএনজির মাধ্যমেও চালানোর ব্যবস্থা থাকে এই জাতীয় গাড়িগুলিতে। মারুতি সুজুকি সৌজন্যে বিগত কয়েক বছর ধরেই ভারতবাসী সিএনজি গাড়ির সঙ্গে যথেষ্ট একাত্ব হতে পেরেছে। অন্যদিকে টাটা মোটরস এর মত দেশীয় সংস্থার তাদের একের পর এক গাড়িতে লাগাচ্ছে সিএনজি কিট। এবার অ্যালট্রোজ (Altroz) এর সিএনজি ভার্সনের বুকিং শুরু করল তারা। সারা দেশ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা টাটার অথরাইজড ডিলারদের কাছ থেকে আগ্রহীরা ২১,০০০ টাকা জমা করে অগ্রিম বুকিং করতে পারবেন।
আনুষ্ঠানিকভাবে লঞ্চ হবে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই। সামনের মে মাসেই সম্ভবত এই মডেলটির বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টের মূল্য প্রকাশ্যে আনবে টাটা। Alltroz সিএনজি মডেলটি লঞ্চ হওয়ার পর নিঃসন্দেহে Maruti Suzuki Baleno CNG এবং Toyota Glanza CNG এর প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে উঠবে সে। মারুতি সুজুকি ব্যালেনো সিএনজি এবং টয়োটা গ্লেনজা সিএনজি মডেল দুটির দামের রেঞ্জ যতক্ষণ ৮.৩৫ লাখ টাকা থেকে ৯.২৮ লাখ টাকা এবং ৮.৪৫ লাখ টাকা থেকে ৯.৪৮ লাখ টাকা। Tiago EV এবং Tigor EV এর পর এই নিয়ে টাটার তৃতীয় সিএনজি কিট যুক্ত গাড়ি এটি।
Tata Altroz CNG: ইঞ্জিন স্পেসিফিকেশন
অ্যালট্রোজ সিএনজি মডেলটিতে চালিকাশক্তি যোগায় ১.২ লিটারের তিন সিলিন্ডার যুক্ত Revotron পেট্রল ইঞ্জিন। সঙ্গে যুক্ত রয়েছে সংস্থার নিজস্ব সিএনজি কিট। পেট্রোল দ্বারা চালিত অবস্থায় এই ইঞ্জিনটি থেকে উৎপাদিত পাওয়ার এবং টর্ক আউটপুট যথাক্রমে ৮৬ বিএইচপি এবং ১১৩ এমএম। অন্য হাতে সিএনজি মোডে ইঞ্জিনটির থেকে ৭৭ বিএইচপি শক্তি এবং ৯৭ এনএম টর্ক জেনারেট হয়।
সাথে রয়েছে ফাইভ স্পিড ম্যানুয়াল গিয়ার বক্স। টিয়াগো এবং টিগর এর সিএনজি মডেলের মতো এক্ষেত্রেও সরাসরি সিএনজি মোডে গাড়িটি চালু করা সম্ভব। টাটার তরফে এর মাইলেজ এর বিষয়টি পর্দার আড়ালেই রাখা রয়েছে এখনও। তবে আগের মডেল দুটির মতোই ২৬.৪৯ কিমি/কেজি মাইলেজ এই সিএনজি গাড়ি থেকে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
Tata Altroz CNG: ডিজাইন ও লুক
অ্যালট্রোজ এর পেট্রোল চালিত সংস্করণের মতো হুবহু একই ধরনের ডিজাইন রয়েছে এই সিএনজি মডেলেও। কেবলমাত্র গাড়িটির পিছনের গেটে "iCNG" লেখাটি যুক্ত করা হয়েছে। সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো সাধারণত সিএনজি মডেলের গাড়িগুলিতে পিছনের বুটের অংশে এই সিলিন্ডার লাগানো থাকতে বলে তা বুট স্পেসকে অনেকটাই দখল করে রাখে। এই সমস্যার সমাধানে পিছনের বুটে ৩০ মিটারের দুটি আলাদা সিএনজি সিলিন্ডার নিচের মেঝেতে লাগানো রয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ৬০ লিটারের সিলিন্ডার লাগানো রয়েছে এখানে।
Tata Altroz CNG: ভ্যারিয়েন্ট ও ফিচার
টাটা অ্যালট্রোজ সিএনজি মডেলটি মোট তিনটি ভ্যারিয়েন্টে কিনতে পাওয়া যাবে- XE, XM+ এবং XZ। গাড়িটির গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে ৭ ইঞ্চির ইনফোটেনমেন্ট সিস্টেম, চারটি স্পিকার, দুটি টুইটার, ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট, অ্যাপেল কার প্লে এবং এন্ড্রয়েড অটোর সাপোর্ট, ইলেকট্রিক্যালি অ্যাডজাস্টেবল মিরর, চাবি ছাড়া ইঞ্জিন স্টার্ট দেওয়ার ব্যবস্থা, অটো স্টার্ট/স্টপ, ক্রুজ কন্ট্রোল, লেদার জড়ানো স্টিয়ারিং হুইল এবং গিয়ার লিভার, হাইট এডজাস্টেবল ড্রাইভার সিট এবং ফ্রন্ট সিটবেল্ট, রিয়ার এসি ভেন্ট, ১২ ভোল্টের সকেট এবং ১৬ ইঞ্চির অ্যালয় হুইল।