Tata-র সবচেয়ে সস্তা বৈদ্যুতিক গাড়ি কিনতে লাইন লাগছে, মাইলেজ কত দেয় জানেন?
টাটা মোটরস (Tata Motors) গত ২৮ সেপ্টেম্বর ভারতে তাদের সবচেয়ে সস্তা ইলেকট্রিক গাড়ি Tiago EV-র মূল্য ঘোষণা করেছিল। বুকিং শুরু হয়েছিল গত মাসের ১০ তারিখ থেকে। এরইমধ্যে গাড়িটির ২০,০০০ বুকিং হয়েছে। নতুন বছরের জানুয়ারি থেকে Tata Tiago EV-র ডেলিভারি শুরু হবে। বর্তয়ানে গাড়িটির ওয়েটিং পিরিয়ড চার মাস। তবে নির্দিষ্ট কয়েকটি শহরে দু’মাসের মধ্যে টিয়াগো ইভি-র চাবি হাতে পাওয়া যাবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
Tata Tiago EV রেঞ্জ ও স্পেসিফিকেশন
টাটা টিয়াগো ইভি চারটি ট্রিমের বিকল্পে এসেছে – XE, XT, XZ+ ও XZ+ Tech। এগুলিতে দু’ধরনের ব্যাটারি ব্যাক উপলব্ধ – ১৯.২ কিলোওয়াট আওয়ার ও ২৪ কিলোওয়াট আওয়ার। এগুলিতে ধুলোবালি এবং জল প্রতিরোধক ব্যবস্থা রয়েছে। হ্যাচব্যাক গাড়িটির ২৪ কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারি যুক্ত পার্মানেন্ট ম্যাগনেট সিংক্রোনাস ইলেকট্রিক মোটর থেকে ৭৪ বিএইচপি শক্তি এবং ১১৪ এনএম টর্ক উৎপন্ন হবে। অন্যদিকে ১৯.২ কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারি মডেলটির আউটপুট ৬১ বিএইচপি পাওয়ার এবং ১১০ এনএম টর্ক।
গাড়িটিতে থাকছে দুটি আলাদা ব্যাটারি প্যাক অপশন। এদের মধ্যে একটি হলো ২৪ কিলোওয়াটের ব্যাটারি, যা এক চার্জে ৩১৫ কিমি পথ চলতে সাহায্য করবে। আর অন্যটি হল এর ছোট সংস্করণ- ২৫০ কিমি রেঞ্জ সমৃদ্ধ ১৯.২ কিলোওয়াটের ব্যাটারি প্যাক। এমনকি এই গাড়িটিতে রয়েছে চার ধরনের চার্জিং অপশন। এগুলি হল বাড়িতে চার্জ দেওয়ার জন্য ১৫ অ্যাম্পিয়ারের সকেট, ৩.৩ কিলোওয়াটের এসি চার্জার, ৭.২ কিলোওয়াটের এসি হোম চার্জার এবং ডিসি ফাস্ট চার্জার।
গাড়িটির ব্যাটারি এবং ইঞ্জিনে ৮ বছরের অথবা ১,৬০,০০০ কিলোমিটারের (যেটি আগে হবে) ওয়ারেন্টি অফার করছে কোম্পানি। ছোট ব্যাটারি মডেলটি ০-৬০ কিমি/ঘন্টার গতিবেগ ৬.২ সেকেন্ডে তুলতে পারবে, যেখানে বড় প্রিমিয়াম ভার্সনটির এই গতি তুলতে ৫.৭ সেকেন্ড সময় লাগবে।
Tata Tiago EV ফিচার্স
Tiago এর বর্তমান পেট্রল পরিচালিত গাড়িটির যে ফেসলিফ্ট সংস্করণ ২০২০ সালে লঞ্চ করা হয় সেই একই ডিজাইন থাকছে বৈদ্যুতিক সংস্করণটিতেও। ৭ ইঞ্চির টাচ স্ক্রিন যুক্ত ইনফোটেনমেন্ট সিস্টেম, অ্যাপেল কার প্লে, অ্যান্ড্রয়েড অটো সহ সমস্ত ধরনের সংযুক্তিকরণ প্রযুক্তি এতে উপলব্ধ রয়েছে। এমনকি Tiago EV তে দেওয়া হয়েছে মাল্টিমোড রিজেনারেটিভ ব্রেকিং সিস্টেম, যা সর্বপ্রথম Nexon EV Max এ দেখা গিয়েছিল।
এর পাশাপাশি ক্লাইমেট কন্ট্রোল, রেন সেন্সিং ওয়াইপার, অটোমেটিক হেডল্যাম্প, স্টার্ট/স্টপ বোতাম ও ক্রুজ কন্ট্রোল এই সমস্ত কিছুই থাকছে এতে। যাত্রীগণের সুরক্ষার্থে দেওয়া হয়েছে ইবিডি সহ অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম, রিয়ার পার্কিং সেন্সর, রিয়ার পার্কিং ক্যামেরা ও সিট বেল্ট রিমাইন্ডার।