মারুতি অল্টো, ব্যালেনো ছেড়ে এই গাড়ির জন্য পাগল দেশবাসী, 6 লাখে দুর্দান্ত মাইলেজ-লুকস
ভারতে একসময় হ্যাচব্যাক সেগমেন্টের রমরমা থাকলেও আজ তা তলানিতে। প্রায় অর্ধেক দশক আগে পর্যন্তও মধ্যবিত্ত পরিবারের প্রথম পছন্দ ছিল এই জাতীয় ছোট গাড়ি। তবে বিগত কয়েক বছরে একের পর এক আকর্ষণীয় এসইউভি লঞ্চ হতে শুরু করায় হ্যাচব্যাকের জনপ্রিয়তায় যথেষ্ট ভাটা নেমে আসতে শুরু করে। এমন অবস্থায় দাঁড়িয়েও বিক্রির নিরিখে স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকেলকে টেক্কা দিয়ে প্রতি মাসে বেশ কিছু হ্যাচব্যাক খানিকটা হলেও অন্ধকারে আশার আলো জুগিয়ে চলেছে। চলুন দেখে নেওয়া যাক গত জুলাইতে ভারতে দশ সর্বাধিক বিক্রিত হ্যাচব্যাক গাড়ি কোনগুলি।
Maruti Suzuki Swift
প্রায় এক থেকে দেড় দশক সময় ধরে মারুতির অন্যতম জনপ্রিয় গাড়ি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে সুইফট। ভরসাযোগ্য ইঞ্জিন, পর্যাপ্ত মাইলেজ, চোখ ধাঁধানো ডিজাইন এবং আকর্ষণীয় দামের জন্যই অন্য হ্যাচব্যাক গাড়িগুলির তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে মারুতি সুজুকি সুইফট। গত মাসে গোটা দেশজুড়ে গাড়িটির ১৭,৮৯৬টি মডেল বিক্রি করতে পেরেছে মারুতি। ফলে দেশের বেস্ট সেলিং গাড়ি তথা হ্যাচব্যাকের তকমা পেয়েছে এটি। ২০২২ সালের একই সময়ে সখ্যাটি ছিল ১৭,৫৩৯ ইউনিট। গাড়িটির এক্স-শোরুম মূল্য ৫.৯৯ লাখ থেকে শুরু।
Maruti Suzuki Baleno
ইন্দো-জাপানি গাড়ি নির্মাতা সুজুকির জুলাইতে বিক্রি হওয়া গাড়িগুলির মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ব্যালেনো। গত মাসে এই গাড়িটির ১৬,৭২৫ ইউনিট বেচেছে সংস্থা। গত বছরের জুলাই মাসের তুলনায় ১,২৩৫ ইউনিট কম।
Maruti Suzuki WagonR
ব্যালেনোর পরেই ১২,৯৭০টি মডেল বিক্রি করে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মারুতি সুজুকি ওয়াগন আর। তবে এসইউভি গাড়ির বাড়বাড়ন্তের প্রকোপ এসে পড়েছে এই গাড়িটির উপরেও। ২০২২ সালের জুলাই মাসের তুলনায় বিক্রি কমেছে ৪৩ শতাংশ।
Tata Tiago
গত বছরের জুলাই মাসে টাটা মোটরস তাদের এন্ট্রি লেভেলের হ্যাচব্যাক মডেল টিয়াগো এর ৬,১৫৯টি মডেল বিক্রি করতে পারলেও চলতি বছরে সেই সংখ্যাটি বেড়ে হয়েছে ৮,৯৬২টি। এক্ষেত্রে বিক্রিবাট্টায় ৪৬% জোয়ার লক্ষ্য করা যায়।
Tata Altroz
দেশীয় সংস্থা টাটা মোটরসের এই প্রিমিয়াম হ্যাচব্যাক গত মাসে মোট ৭,৮১৭ গ্রাহকের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। ২০২২ সালের ঠিক এই সময় টাটা অ্যালট্রজ এর গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৫,৬৭৮ জন। ফলে গাড়িটির বিক্রি বেড়েছে ৩৮%।
Maruti Suzuki Alto
আজকের দিনে দাঁড়িয়ে দেশের সবচেয়ে কম দামের ফোর হুইলার হল মারুতি সুজুকি অল্টো। যার এক্স শোরুম মূল্যে ৩.৫৩ লাখ টাকা থেকে ৫.১২ লাখ টাকার মধ্যেই। গত মাসে গাড়িটির ৭,০৯৯ ইউনিট বিক্রি হয়েছে। ২০২২-এর জুলাইয়ের তুলনায় ২২ শতাংশ কম।
Hyundai Grand i10 Nios
গত মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্থা হুন্ডাই তাদের Grand i10 Nios গাড়িটির ৫৩৩৭ ইউনিট গ্রাহকদের হাতে তুলে দিতে পেরেছে। গত বছরের জুলাইতে কিন্তু এই গাড়ির গ্রাহক সংখ্যা ছিল ১০,০০০ জন। অর্থাৎ বিক্রি কমেছে ৪৭ শতাংশ।
Hyundai i20
Grand i10 Nios এর বড় ভাই i20 রয়েছে এর ঠিক পরেই। গত মাসে গাড়িটির ৫০০১ ইউনিট বেচেছে হুন্ডাই। তুলনাস্বরূপ, ২০২২ এর জুলাইতে গাড়িটির ৬,৮৭৩ ইউনিট বিক্রি হয়েছিল।
Toyota Glanza
আজকের এই সেরা দশের তালিকায় টয়োটা তার Glanza মডেলের কল্যাণে জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছে। এটি আদতে মারুতি সুজুকি ব্যালেনো এর রিব্যাজ ভার্সন। গত মাসে টয়োটার এই হ্যাচব্যাক গাড়ি বিক্রি হয়েছে ৪,৯০২টি। যেখানে গত বছরের জুলাইতে এই সংখ্যাটি ছিল মাত্র ২,৯৬০।
Maruti Suzuki Ignis
তালিকায় শেষ স্থানে রয়েছে মারুতি সুজুকির আরও একটি মডেল Ignis। ২০২২ এর জুলাইতে যেখানে ৬,১৩০ জন গ্রাহকের হাতে তুলে দেওয়া গিয়েছিল এই গাড়ির চাবি। সেটা চলতি বছরের জুলাইতে ৪৭ শতাংশ কমে হয়েছে ৩,২২৩।