80,000 টাকার মধ্যেই 'লাইফ সেভিং ফিচার', বাজারে এমন মোটরসাইকেল একটাই
ভারতের সড়ক দুর্ঘটনা এখনও পর্যন্ত যথেষ্ট মাথা ব্যথার কারণ। প্রতিদিন দেশের কোনো না কোনো প্রান্তে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে দুই কিংবা চারচাকার গাড়ি। সে কারণেই সুরক্ষার বিষয়টিকেও বাড়তি নজর দিতে বড় ভূমিকা পালন করে অ্যান্টিলক ব্রেকিং সিস্টেম অর্থাৎ এবিএস (ABS)। দীর্ঘদিন পর্যন্ত এই লাইফ সেভিং ফিচার কেবলমাত্র ১৬০ সিসি বা তার উপরের বাইকগুলিতেই দেওয়া হতো। তবে বিগত কয়েক বছরে এটি ১২৫ বা তার লোয়ার সিসি বাইকে আসতে শুরু করেছে। এখন ৮০,০০০ টাকার (এক্স-শোরুম) মধ্যেই মেলে এবিএস বাইক।
Bajaj Platina 110 ABS
এই মুহূর্তে ভারতের সবচেয়ে সস্তা এবিএস (সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস) যুক্ত মোটরসাইকেল হল Bajaj Platina 110 ABS। দাম ৭৯,৮২১ টাকা (এক্স শোরুম)। ১১৫.৪৫ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার এয়ার কুল্ড ইঞ্জিন থেকে উৎপন্ন হওয়া পাওয়ার এবং টর্ক যথাক্রমে ৮.৬ বিএইচপি এবং ৯.৮১ এনএম।
Hero Xtreme 125R
তালিকার কনিষ্ঠতম সদস্য Hero Xtreme 125R-এর এবিএস ভার্সনের দাম ৯৯,৫০০ টাকা (এক্স শোরুম)। সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস সমৃদ্ধ এই স্পোর্টি কমিউটার বাইকটির ১২৪.৩৭ সিসির এয়ার কুল্ড ইঞ্জিন সর্বোচ্চ ১১.৫ বিএইচপি এবং ১০.৫ এনএম টর্ক উৎপাদনে সক্ষম।
Honda Unicorn
জাপানি মোটরসাইকেল নির্মাতা Honda-এর অত্যন্ত জনপ্রিয় কমিউটার বাইক Unicorn কিনতে খরচ হয় ১.১০ লক্ষ টাকা (এক্স শোরুম)। সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস যুক্ত এই বাইকে ব্যবহৃত হয়েছে ১৬২.৭ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন। যা থেকে সর্বোচ্চ ১৩.৪৭ বিএইচপি এবং ১৪.৫৮ এনএম টর্ক পাওয়া যায়।
Bajaj Pulsar 150
স্টাইলিশ কমিউটার বাইকের জগতে এক বড়সড়ো অংশ দখল করে রয়েছে Bajaj Pulsar 150। সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস সহ এই বাইকের এক্স শোরুম মূল্য ১.১০ লাখ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১.১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গিয়েছে। ১৪৯.৫ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার, এয়ার কুল্ড, DTS-i ইঞ্জিন থেকে উৎপন্ন হওয়া পাওয়ার এবং টর্ক আউটপুট যথাক্রমে ১৪ বিএইচপি এবং ১৩.২৫ এনএম। টপ মডেলের দুটি চাকাতেই ডিস্ক ব্রেক উপলব্ধ।
Bajaj Pulsar N150
Pulsar N150 এর দাম (এক্স শোরুম) ১.১৮ লাখ টাকা থেকে ১.২৪ লাখ টাকা পর্যন্ত। এই নেকেড বাইকটি থেকে ১৪.৫ বিএইচপি এবং ১৩.৫ এনএম টর্ক উৎপন্ন হয়। ট্রান্সমিশন সিস্টেমে গিয়ারের সংখ্যা পাঁচ। সেফটি ফিচার হিসাবে রয়েছে সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস।