TVS Apache RR 310 এর মতো দুর্দান্ত স্পোর্টস বাইক পাবেন অর্ধেক দামে, মাথায় রাখুন এর ভালো ও মন্দ
গতির দুনিয়ার স্বাদ নেওয়ার তাড়নায় বহু মানুষ স্পোর্টস বাইকের দিকে ঝোঁকেন। তবে এই সেগমেন্টে আসা বেশিরভাগ মোটরসাইকেল ধরাছোঁয়ার বাইরে। আদ্যপ্রান্ত রেসিং ডিএনএ নিয়ে নিয়ে জন্মানো টিভিএস হাজির হয়েছিল এই সমস্যার সমাধানের কান্ডারী হয়ে। ২০১৭-এর ডিসেম্বরে তাদের প্রথম ফুল-ফেয়ার্ড স্পোর্টস বাইক Apache RR 310 লঞ্চ হয়েছিল। ধারে-ভারে কোনো দিক থেকেই তেমন খামতি নেই এর। প্রকৃতপক্ষে TVS ও BMW এর পার্টনারশিপের মিলিত ফসলই এই মডেল। Apache RR 310-এর মতো এন্ট্রি লেভেল স্পোর্টস বাইকের পুরনো অর্থাৎ সেকেন্ড-হ্যান্ড মডেলের চাহিদাও বাজারে চোখে পড়ার মতো। সেক্ষেত্রে হাত ফেরতা RR 310 নিতে চাইলে এর ভালো ও মন্দ দুটো দিক সম্পর্কেই পরিস্কার ধারণা থাকা উচিত।
TVS Apache RR 310: ভালো দিক
টিভিএসের এই স্পোর্টস বাইকের ডিজাইন এবং লুকস নিয়ে সত্যিই কোনও কথা হবে না। বাজারে প্রায় পাঁচ হতে চললেও, চেহারায় একটা সতেজ ভাব বজায় রয়েছে। বাইকটির পাওয়ার এবং স্টাইল লঞ্চের পর আজও অপরিবর্তিত। সাসপেনশনের টিউনিংও দারুণ। হাইওয়েতে চালিয়ে মজা পাওয়া যাবে। উপরন্তু Apache RR 310 এর পুরনো মডেলগুলি সংস্থার বিল্ট-টু-অর্ডার (BTO) প্রকল্পের আওতায় এসেছে।
কাস্টমাইজেশনের সুবিধা থাকায় ডায়নামিক কিট কিংবা রেসিং কিট অর্ডার করে তা টিভিএস-এর অথোরাইজড সার্ভিস সেন্টার থেকে লাগিয়ে নেওয়া যাবে। এই ভাবে পুরনো বাইকটিতে আধুনিক বৈশিষ্ট্যের উন্নতিকরণ সম্ভব। আর হাত-ফেরতা মার্কেটে তিন বছরের পুরনো টিভিএস অ্যাপাচি আরআর ৩১০ এর দাম ১.৩ লাখ থেকে শুরু, যা স্পোর্টস বাইকের ক্ষেত্রে যথেষ্ট পকেট সাশ্রয়ী।
Apache RR 310: খারাপ দিক
প্রথমেই জানিয়ে রাখি, টিভিএস অ্যাপাচি আরআর ৩১০ এর প্রাথমিক প্যাচে ইঞ্জিন থেকে প্রচুর ঝাঁকুনি হতো। BTO প্রোগ্রাম থাকা সত্ত্বেও পুরনো মডেলগুলিতে কোনভাবেই লেটেস্ট মডেলগুলির অনুরূপে নতুন ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার পাওয়া কিংবা রাইডিং মোডের মতো ফিচার্সগুলি যোগ করা সম্ভব নয়। বাইকটির স্পেয়ার পার্টসের মূল্য খানিকটা উর্ধ্বমুখী। ফলে রক্ষণাবেক্ষন যথেষ্ট খরচা সাপেক্ষ। এছাড়া, হার্ড-কোর রেসিং বাইক চাইলে ক্রেতারা KTM RC 390 বা তার থেকেও উচ্চ গতির সেকেন্ড-হ্যান্ড বাইকের কেনার পথেই হাঁটেন। RC 390-এর থেকে আবার RR 310-এর পাওয়ার অনেকটাই কম।