নতুন বাইক কেনার কথা ভাবছেন? আপনার বাজেট কি দেড় লাখের মধ্যে? তবে আমরা আপনাকে দিলাম এই বাজেটে ভারতের সেরা ছটি বাইকের সন্ধান। লুকস, পারফরমেন্স ও মাইলেজ সবদিক থেকেই সেরা আমাদের নির্বাচিত এই মডেলগুলি।
TVS Ronin (এক্স শোরুম ১.৪৮ লাখ)
আমাদেরই তালিকায় প্রথম এবং সদ্য জন্ম নেওয়া স্ক্র্যাম্বলার বাইক হল এটি। কয়েক সপ্তাহ আগেই লঞ্চ হওয়া টিভিএসের এই মডেলটি এই মুহূর্তে আলোচনার কেন্দ্রে। স্ক্র্যাম্বলার সেগমেন্টের এই বাইকটি ২২৫ সিসি লিকুইড কুল্ড, সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন দ্বারা পরিচালিত। ইঞ্জিনটির উৎপাদিত সর্বোচ্চ পাওয়ার ও টর্ক যথাক্রমে ২০ পিএস ও ১৯.৯৩ এনএম। সমস্ত রকম আধুনিক ফিচার্সে ভরপুর Ronin সিঙ্গেল চ্যানেল ও ডুয়েল চ্যানেল এবিএস ভার্সনে উপলব্ধ।
Hero Xpulse 200 4V ( এক্স শোরুম ১.২৫ লাখ)
আপনি যদি অফ-রোডে যাওয়ার কথা ভাবেন সেক্ষেত্রে এদেশের সবচেয়ে সস্তার অ্যাডভেঞ্চার বাইক হল হিরো এক্সপালস। হার্ডকোর অফ-রোড ডিএনএ নিয়ে হাজির এই বাইকের চালিকাশক্তি যোগাতে রয়েছে ১৯৯.৬ সিসির লিকুইড কুল্ড, সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন। ইঞ্জিনের সর্বোচ্চ পাওয়ার ও টর্ক আউটপুট যথাক্রমে ১৮.৮ বিএইচপি ও ১৭.৩৫ এনএম। সম্পূর্ণ স্পোক চাকাযুক্ত এই বাইকটির ওজন ১৫৮ কেজি।
Bajaj Pulsar NS200 (এক্স শোরুম ১.৪২ লাখ)
গতির দুনিয়ায় সুপ্রতিষ্ঠিত নাম পালসার NS200। ইঞ্জিন স্পেসিফিকেশন নিয়ে বলতে গেলে ট্রিপল স্পার্ক DTS-i 4V প্রযুক্তির 199.5 সিসির লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে এই বাইকে। ৬ স্পিড ট্রান্সমিশন যুক্ত এই ইঞ্জিনের সর্বোচ্চ ক্ষমতা ২৪.৫ পিএস এবং টর্ক ১৮.৭৪ এনএম।
Honda CB200X (এক্স শোরুম ১.৪৭ লাখ)
হোন্ডার এই বাইকটি কম দামের মধ্যে খানিকটা অ্যাডভেঞ্চার সেগমেন্টের কথা ভেবে বানানো। বাইকটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ হলো এর সামনে থাকা ইউএসডি ফর্ক। CB 200X কে চলার শক্তি জোগাতে রয়েছে ১৮৪.৪ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন যার সর্বোচ্চ অশ্বশক্তি ১৭ এবং টর্ক ১৬.১এনএম। ইঞ্জিনের সাথে ৫ ধাপ যুক্ত গিয়ার বক্স লাগানো রয়েছে।
TVS Apache RTR 200 4V (এক্স শোরুম ১.২৮ লাখ)
ন্যাকেড স্পোর্টস সেগমেন্টের এই বাইকটি ভারতীয় যুব সমাজের কাছে অত্যন্ত সমাদৃত। ১৯৭.৭৫ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার, লিকুইড কুল্ড,৪ ভালভ যুক্ত ইঞ্জিন দ্বারা পরিচালিত Apache RTR 200 বাইকটি। সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো এই বাইকের থাকা তিন ধরনের রাইডিং মোড- স্পোর্টস, আরবান এবং রেইন। তিনটি মোডে ইঞ্জিন সক্ষমতা তিন ভাবে প্রকাশ পায়। ডুয়েল ও সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস এই দুই ধরনের সংস্করণই উপলব্ধ। সাথে রয়েছে ব্লুটুথ যুক্ত টিভিএস স্মার্ট কানেক্ট টেকনোলজি।
Suzuki Gixxer (এক্স শোরুম ১.৩৭লাখ)
যদিও আমাদের এই তালিকায় সবচেয়ে কম পাওয়ারফুল ইঞ্জিন যুক্ত মডেল এটি তবুও প্রতিদিনের যাতায়াতের জন্য পর্যাপ্ত ক্ষমতা রয়েছে এই বাইকটির। ১৫৫ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন দ্বারা পরিচালিত এই বাইকের সর্বোচ্চ ক্ষমতা ১৩.৫ পিএস ও টর্ক ১৩.৮ এনএম। ইঞ্জিনের সাথে ৫ স্পিড ট্রান্সমিশন যুক্ত। তবে এর ওজন ১৩৫ কেজি হওয়ায় পারফরমেন্সের দিক থেকে কোন কমতি লক্ষ্য করা যায় না।