দূষণ নিয়ন্ত্রণে বড় পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের, পুজোর আগে পরিবহণ দফতর থেকে জারি নতুন নির্দেশিকা
দূষণের মাত্রা আকাশ ছুঁয়েছে। ফলে দুশ্চিন্তায় পরিবেশবিদগণ। যার অন্যতম প্রতিকার ইলেকট্রিক ভেহিকেলের ব্যবহার বাড়ানো। কারণ জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত যানবাহন থেকে মাত্রাতিরিক্ত দূষণ ছড়ায়। তাই বিগত ক’বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গে ব্যাটারি চালিত যানবাহন ব্যবহার বাড়ানোর বিষয়ে জোর দিচ্ছিল পরিবহণ দপ্তর। এবারে রাজ্যের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের জন্য শুধু বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারের সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিল সরকার। ভাড়া নিয়ে চালানো হবে এগুলি।
সরকারি কাজে বৈদ্যুতিক গাড়ি ভাড়া নেবে রাজ্য
পরিবহণ দফতর থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। যেখানে উল্লেখ আছে, প্রশাসনিক ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য ইলেকট্রিক ভেহিকেল ভাড়া নিতে হবে। তার জন্য নতুন দরও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। প্রতি মাসে গাড়ি পিছু ৪৬,০০০ টাকা খরচ করবে সরকার। ১০০ কিলোমিটার চলাচলের হিসেবে এই ভাড়া ধার্য করা হয়েছে। এরপর প্রতি কিলোমিটার ৮ টাকা করে খরচ করবে সরকার।
উল্লেখ্য, প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে ডিজেল বা পেট্রোল গাড়ি ভাড়া নেওয়া যাবে না, এমনটা কিন্তু উল্লেখ নেই। তবে এই জাতীয় গাড়ি ভাড়া নেওয়ার আগে অর্থ দপ্তরের অনুমতি নেওয়া আবশ্যক বলে জানা গেছে। আসলে আদালতের নির্দেশে এ বছর প্রায় ২০,০০০ পেট্রোল ও ডিজেল ট্যাক্সি বাতিল হতে চলেছে। ১৫ বছর সময় অতিক্রমকারী ট্যাক্সিগুলি নিয়ে প্ল্যান-বি না ভাবলে প্রশাসনিক আধিকারিকদের জন্য গাড়ি পাওয়া মুশকিল হবে।
তাই নতুন গাড়ি ভাড়া নেওয়া হলে সেগুলি যাতে ব্যাটারিতে চলে সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ফলে শহরে দূষণের পরিমাণ অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। সরকারের এই পদক্ষেপে অনেক গ্রাহক ইলেকট্রিক গাড়ি ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভরসা পাবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে বৈদ্যুতিক গাড়ি ভাড়া নেওয়া হলে সরকারের খরচ অনেকটাই বেড়ে যাবে।
এই প্রসঙ্গে পরিবহণ দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, “রাজ্য সরকার এর আগেও ইলেকট্রিক গাড়ি ভাড়া নিলেও তার সংখ্যা ছিল নগণ্য। সে ক্ষেত্রে কোন নিয়ম বা দর বরাদ্দ ছিল না। কিন্তু এবারের বিজ্ঞপ্তিতে নতুন নিয়ম জারি করা হয়েছে। ফলে কোন সমস্যা থাকবে না বলেই মনে করছি আমরা।”