ডোমেস্টিক ফ্লাইটেও পাওয়া যাবে ওয়াইফাই পরিষেবা! নিয়ম শিথিল করল সরকার
Domestic Flights Offer WiFi Connectivity - বিমান সংস্থাগুলির তরফে আন্তর্জাতিক রুটগুলোতেও ওয়াইফাই পরিষেবা সীমাবদ্ধ ছিল এতদিন। তবে এবার ডোমেস্টিক ফ্লাইটেও পাওয়া যাবে ইন-ফ্লাইট ইন্টারনেট পরিষেবা।
ফ্লাইট এবং মেরিটাইম কানেক্টিভিটির নিয়মে বড় সংশোধন করল কেন্দ্র। এই প্রথম দেশের অভ্যন্তরীণ রুটগুলোতে যে বিমান চলাচল করে সেখানে পাওয়া যাবে ইন-ফ্লাইট ইন্টারনেট পরিষেবা। এর আগে নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে শুধু আন্তর্জাতিক রুটগুলোতেই ওয়াইফাই সীমাবদ্ধ রেখেছিল বিমান সংস্থাগুলো। এই নিয়ম শিথিল হওয়ার ফলে ভারতীয় যাত্রীরা এবার থেকে নির্বিঘ্নে ডোমেস্টিক ফ্লাইটে ওয়াইফাই উপভোগ করতে পারবেন।
২০১৮ সালে সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছিল ৩০০০ মিটারের বেশি ফ্লাইটগুলোতে ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়া যাবে না। কিন্তু, দেশের ভিতর অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটগুলো ৮,০০০ থেকে ১১,০০০ মিটারের মধ্যে উড়ে থাকে। তাই দেশের কোনও এয়ারলাইন এতদিন ইন-ফ্লাইট ইন্টারনেট পরিষেবা দেয়নি। তবে সেই নিয়ম এদিন শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র।
কিন্তু কেন আনা হয়েছিল এই নিয়ম?
এই নিয়ম প্রয়োগ করার পিছনে সরকারের ধারণা ছিল ফ্লাইট এবং এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের মধ্যে যোগাযোগে হস্তক্ষেপ রোধ করা। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপটি নিয়েছিল সরকার। তবে বর্তমান উন্নত প্রযুক্তির ফলে বিমানের নিরাপত্তায় খুব বেশি প্রভাব ফেলে না ওয়াইফাই।
বর্তমানে, শুধু ভিস্তারা (এখন এয়ার ইন্ডিয়ার সাথে একত্রিত) একমাত্র ভারতীয় বিমান সংস্থা, যারা আন্তর্জাতিক রুটে ইন্টারনেট পরিষেবা দিয়ে থাকে। তাও শুধুমাত্র ২০ মিনিট বিনামূল্যে ইন্টারনেট পাওয়া যায়। তারপর ওয়াইফাই পাওয়ার জন্য যাত্রীদের টাকা খরচ করতে হয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নিয়মিত সেলুলার ইন্টারনেটের তুলনায় ইন-ফ্লাইট ওয়াইফাই অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর ফ্লাইট এবং মেরিটাইম নিয়মে কিছু সংশোধনী ঘোষণা করে টেলিকমিউনিকেশন দফতর। নিয়ম শিথিল হওয়ার ফলে এয়ারলাইন্সগুলো এবার ইন-ফ্লাইট পরিষেবা কার্যকর করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে এয়ারলাইন্সগুলোর খরচ বাড়তে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এর জন্য আলাদা করে অতিরিক্ত অ্যান্টেনা এবং মডেম বসাতে হবে। স্যাটেলাইট অথবা অন-গ্রাউন্ড স্টেশনগুলির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে হবে।
সবমিলিয়ে একদিকে যেমন যাত্রীদের সুবিধা বাড়ল, অন্যদিকে তেমনই এয়ারলাইন্সগুলোর কাছে ধেয়ে এল একটি বড় খরচের ধাক্কা।