iPhone 16 Ban: আইফোনের উপর নিষেধাজ্ঞা তোলার আর্জি খারিজ করল ইন্দোনেশিয়া, কেন অ্যাপলের উপর ক্ষুব্ধ এই দেশ?

অ্যাপলের ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিল ইন্দোনেশিয়া। সম্প্রতি আইফোন ১৬ সিরিজের উপর নিষেধাজ্ঞা তোলার আর্জি জানানো হয়। এদিন তা খারিজ করে দিল এই দেশের সরকার।

Update: 2024-11-28 06:43 GMT

iPhone 16 Ban

iPhone 16 ban in Indonesia: আইফোন নিয়ে বিশ্বের একাধিক দেশে মাতামাতি হলেও, ইন্দোনেশিয়ায় তা নিয়ে চরম বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে। কিছুদিন আগেই আইফোন ১৬ সিরিজ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় এই দেশের সরকার। এবার অ্যাপলের ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিল ইন্দোনেশিয়া। এই দেশের সরকারের দাবি, এই বিনিয়োগ যথেষ্ট নয়। স্থানীয় উৎপাদনে জোর দেওয়ার পাশাপাশি ভিয়েতনামে অ্যাপল যে টাকা লগ্নি করেছে, সেই সমান টাকা এখানেও লগ্নি করতে হবে।

ইন্দোনেশিয়ার শিল্পমন্ত্রী আগুস গুমিওয়াং জানিয়েছেন, অ্যাপলের প্রস্তাবে অখুশি তিনি। ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামের মধ্যে অ্যাপলের বিনিয়োগের বৈষম্য রয়েছে বলে দাবি তাঁর। তিনি আরও জানান, অ্যাপল ভিয়েতনামে কারখানা খোলার জন্য বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। সেখানে ইন্দোনেশিয়ার বাজার আরও বড়। সংস্থার বিনিয়োগের অঙ্ক বেশ কম।

ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী ইন্দোনেশিয়া সরকার জানিয়েছে, আমরা চাই অ্যাপল এখানে ব্যবসা করতে ফিরে আসুক। কিন্তু আমাদের একটি ন্যায্য রেজোলিউশন দরকার। আমরা চাই অ্যাপল আমাদের সাথে দেখা করার জন্য আলোচনা দল পাঠাক।

ইন্দোনেশিয়ায় কেন নিষিদ্ধ হয়েছে আইফোন?

এই দেশের নিয়ম বিদেশি সংস্থাগুলিকে ফোনের ৪০ শতাংশ স্থানীয় ভাবে উৎপাদন ও সরবরাহ করতে হবে। অ্যাপল সেই নিয়ম মানতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে আইফোন ১৬ সিরিজের বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে ইন্দোনেশিয়া। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নয়া নিয়মের উদ্দেশ্যে হল স্থানীয় উৎপাদন ও বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য বিদেশি সংস্থাগুলির উপর চাপসৃষ্টি করা।

পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে মার্কিন সংস্থা ১০০ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের প্রস্তাব রাখে সরকারের কাছে। যা পর্যাপ্ত নয় বলে খারিজ করে দেয় ইন্দোনেশিয়া। এই দেশের সরকারের দাবি, ২০২৩ সালে অ্যাপল যে বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা পূরণ করতে হবে। পাশাপাশি ২০২৪-২০২৬ সালের জন্য আরও ভালো প্রস্তাব নিয়ে আসতে হবে সংস্থাকে।

এই প্রথমবার নয় যে ইন্দোনেশিয়া বিদেশি প্রযুক্তি সংস্থাগুলির উপর কঠোর অবস্থান নিয়েছে। একই ধরনের বিনিয়োগ সমস্যার কারণে দেশটি গুগল পিক্সেল ফোন নিষিদ্ধ করেছিল। সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ টিকটকের উপরও বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল ইন্দোনেশিয়া।

Tags:    

Similar News