Pulsar NS200 vs Apache RTR 200 4V: পালসার নাকি অ্যাপাচি? 200 সিসির কোন বাইক সেরা
কিছুদিন আগেই বাজাজ অটো Pulsar NS200 এবং NS160 বাইক দুটিতে বেশ কিছু নতুন ফিচার সংযুক্ত করে লঞ্চ করেছে। ভারত ২০০ সিসির মোটরসাইকেল মার্কেটে Pulsar-কে কড়া টক্কর দিতে ইতিমধ্যেই উপস্থিত রয়েছে আরেক মহারথী TVS Apache RTR 200 4V। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এই দুইয়ের মুখোমুখি যুদ্ধে কে কতটা এগিয়ে।
2023 Bajaj Pulsar NS200 vs TVS Apache RTR 200 4V: লুক ও ডিজাইন
প্রথমেই বলা ভালো আপডেটেড পালসার এনএস ২০০ মডেলটির ডিজাইন সম্পূর্ণভাবে অপরিবর্তিত রেখেছে বাজাজ। যদিও এর অ্যাগ্রেসিভ লুক নেকেড স্ট্রিট ফাইটার হিসেবে বেশ জাস্টিফাইড। এই বাইকটিতে কেবলমাত্র টেল লাইটে এলইডি'র ব্যবহার করা হয়েছে। সামগ্রিক ডিজাইন খানিকটা পুরনোপন্থী।
অন্যদিকে টিভিএস অ্যাপাচি আরটিআর ২০০ ৪ভি সময়ের সঙ্গে নানা ধরনের আপডেট পেয়ে প্রতিপক্ষর সঙ্গে লড়াইতে খানিকটা এগিয়ে গিয়েছে। পেছনের ও সামনের লাইটগুলি সব এলইডি। নেকেড স্ট্রিটফাইটার হলেও টিভিএস অ্যাপাচি ২০০ ৪ভি কিন্তু পালসার এনএস ২০০ এর মত অ্যাগ্রেসিভ চেহারার নয়।
2023 Bajaj Pulsar NS200 vs TVS Apache RTR 200 4V: ইঞ্জিন স্পেসিফিকেশন
অন্যান্য হার্ডওয়্যাহ আপগ্রেড করা হলেও ইঞ্জিন নিয়ে কোনো ধরনের কাটাছেঁড়া করেনি বাজাড। এই পালসারে পূর্বের মতোই ১৯৯.৫ সিসির লিকুইড কুল্ড DTS-i ইঞ্জিন বর্তমান। সিক্স স্পিড গিয়ারবক্স যুক্ত এই ইঞ্জিনটি থেকে ৯৭৫০ আরপিএম গতিতে সর্বোচ্চ ২৪.১৬ বিএইচপি এবং ৮০০০ আরপিএম গতিতে সর্বাধিক ১৮.৭৪ এনএম টর্ক উৎপন্ন হয়।
অন্যদিকে, টিভিএস অ্যাপাচি আরটিআর ২০০ ৪ভি মডেলটিতে অয়েল কুল্ড ১৯৭.৭৫ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন দেওয়া হয়েছে। স্পোর্ট মোডে ইঞ্জিনটি থেকে ৯০০০ আরপিএম গতিতে ২০.৫৩ বিএইচপি এবং ৭২৫০ আরপিএম গতিতে ১৭.২৫ এনএম টর্ক উৎপাদিত হয়। তবে রেইন মোডে সেটা কমে ৭৮০০ আরপিএম গতিতে ১৭.০৮ বিএইচপি শক্তি এবং ৫৭০০ আরপিএম গতিতে ১৬.৫১ এনএম টর্কে দাঁড়ায়। এক্ষেত্রেও ছয় ধাপযুক্ত গিয়ার বক্স দেওয়া হয়েছে।
2023 Bajaj Pulsar NS200 vs TVS Apache RTR 200 4V: হার্ডওয়্যার
পালসার এনএস ২০০ বাইকটিতে এবার সামনের দিকে ৩৩ মিমি ইউএসডি ফর্ক আছে, যা অন্যতম সেরা আপডেট হিসেবে গণ্য করা হয়। তবে বাইকটির ফ্রেম এবং পিছনের দিকের সাসপেনশন সবকিছুই অপরিবর্তিত থাকছে। আগের মতই ডুয়েল চ্যানেল এবিএস সহ সামনের চাকায় ৩০০ মিমি চওড়া ডিস্ক এবং পিছনের দিকে ২৩০ মিমি ব্রেক দেওয়া হয়েছে।
টিভিএস এর এই বাইকটির সাসপেনশনের কাজ সামলানোর জন্য সামনের দিকে টেলিস্কোপিক ফর্ক এবং পিছনে প্রিলোড অ্যাডজাস্টেবল মনশক অ্যাবজর্ভার লাগানো রয়েছে। এক্ষেত্রে ডবল ক্রেডেল স্প্লিট ফ্রেম দেখতে পাওয়া যায়। অ্যাপাচি আরটিআর ২০০ ৪ভি এর সামনের দিকে ২৭০ মিমি ডিস্ক ব্রেক লাগানো থাকলেও পেছনে রয়েছে ২৪০ মিমি ডিস্ক। উভয় চাকাতেই পেটাল ডিস্ক ব্রেক এবং সিঙ্গেল চ্যানেল ও ডুয়েল চ্যানেল এবিএস দেখতে পাওয়া যায়।
2023 Bajaj Pulsar NS200 vs TVS Apache RTR 200 4V: ফিচার
পালসার এনএস ২০০ তে বর্তমানে ব্যবহৃত সেমি ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টারে ফুয়েল ইকনোমি, গিয়ার পজিশন ইন্ডিকেটর সহ বর্তমানে ট্যাংকের মধ্যে থাকা পেট্রোলে কত দূরত্ব পর্যন্ত যাওয়া সম্ভব তা দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়াও সাইড স্ট্যান্ড ইঞ্জিন কাট অফ রয়েছে এতে। তবে হেডলাইট থেকে শুরু করে টার্ন ইন্ডিকেটর সর্বত্রই হ্যালোজেন লাইটের ব্যবহার চোখে পড়ে।
অন্যদিকে টিভিএস এপাচি আরটিআর ৪ভি তে এডজাস্টেবল ক্লাচ লিভার, এলইডি হেড ল্যাম্প ও টেল ল্যাম্প, রাইডিং মোড, ফুল ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট এবং ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি দেওয়া হয়েছে। ফিচার্সের নিরিখে অবশ্য অনেকটা এগিয়ে এটি।
2023 Bajaj Pulsar NS200 vs TVS Apache RTR 200 4V: মূল্য
পালসার এর এই নতুন মডেলটির আপডেটেড ভার্সনের এক্স শোরুম মূল্য ১.৪৭ লাখ টাকা। অন্যদিকে TVS APACHE RTR 200 4V দুটি আলাদা ভ্যারিয়েন্টে উপলব্ধ। এক্স শোরুম মূল্য যথাক্রমে ১.৪০ লাখ টাকা এবং ১.৪৫ লাখ টাকা।