USD ফর্ক ও ডুয়েল চ্যানেল ABS সহ নতুন Bajaj Pulsar NS200 শোরুমে হাজির, দাম?

By :  techgup
Update: 2023-03-14 09:14 GMT

দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে ভারত তথা সমগ্র বিশ্বজুড়ে রেসিং বাইক সেগমেন্টে নিজের স্বতন্ত্র স্থান তৈরি করতে পেরেছে Bajaj Pulsar সিরিজ। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন সময়ে পালসার মডেলগুলি আপডেট করেছে এই ভারতীয় এই সংস্থা। দীর্ঘ সময় পর এবার সেই তালিকায় নাম লেখাল Pulsar NS200। নেকেড বাইকটি চলতি বছরে তার জীবনের সবচেয়ে বড় আপডেট পেল। আনুষ্ঠানিক ভাবে শীঘ্রই দামও ঘোষণা করা হবে।

কিছুদিন আগেই বাজাজ টিজার প্রকাশ করে এতে আপসাইড ডাউন ফর্ক এবং ডুয়েল চ্যানেল এবিএস এর মতো নতুন ফিচার যোগ করার ইঙ্গিত। নতুন মডেলেটি ইতিমধ্যেই শোরুমে আসতে শুরু করেছে। যেখানে রিভিউ করার একটি ভিডিয়ো থেকে একদম ওই বৈশিষ্ট্যগুলির উপস্থিতির কথা জানা গিয়েছে

2023 Bajaj Pulsar NS200: দাম

বর্তমানে বাইকটির টেলিস্কোপিক ফর্ক এবং সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস যুক্ত ভার্সনের এক্স শোরুম মূল্য ১,৪০,৬৬৬ টাকা। তবে নতুন মডেলে একাধিক প্রিমিয়াম ফিচার যুক্ত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বেশ খানিকটা দাম বেড়েছে। সূত্রের খদর, ডুয়েল চ্যানেল এবিএস এবং আপ সাইড ডাউন ফর্ক যুক্ত ২০২৩ পালসার এনএস ২০০ কিনতে এবার খরচ হবে ১,৪৭,৩৪৭ টাকা (এক্স শোরুম)।

2023 Bajaj Pulsar NS200: নতুন কী যোগ হল

প্রতিযোগিতার বাজারে নিজেদের ব্যবসা বৃদ্ধির পথ সু্প্রশস্ত করতে কার্যত এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ বাজাজ। সেই কারণেই এনএস ২০০ এর মত জনপ্রিয় বাইকে নতুন সেফটি ফিচার যুক্ত করার পাশাপাশি রাইড কোয়ালিটিকে উন্নত করতে তৎপর তারা। সে কারণেই ডুয়েল চ্যানেল এবিএস স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে নতুন বাজাজ পালসার এনএস২০০ বাইকে দেওয়া হয়েছে।

https://youtu.be/zF-UvG4xTw4

এছাড়াও সামনের দিকে সাধারণ টেলিস্কোপিক ফর্ক বদলে এবার ৩৩ মিমি ইউএসডি ফর্ক ব্যবহার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি সাদা ও লাল রঙের সংমিশ্রণে এক নতুন ডুয়েল টোন পেইন্ট স্কিম মিলবে বাইকটি। উল্লেখ্য, নয়া মডেলটি আগের তুলনায় ৩ কেজি হালকা বলে জানা গিয়েছে।

বাকি সব অপরিবর্তিত

বাজাজ পালসার এনএস ২০০ বাইকটিতে ব্যবহৃত শক্তিশালী ইঞ্জিন তার পারফরম্যান্স ও পাওয়ার-টর্ক এর জন্যই প্রথম দিন থেকেই যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছে। তাই এই নতুন সংস্করণে সেই পুরনো ১৯৯ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার যুক্ত লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিনের উপরেই ভরসা রেখেছে বাজাজ।

তবে এই ইঞ্জিনটি আগামী এপ্রিল থেকে কার্যককর হতে চলা নতুন OBD2 নীতি মেনে আপডেট করা হতে পারে। এটি ৯৫০০ আরপিএম গতিতে সর্বোচ্চ ২৪.১৩ বিএইচপি এবং ৮০০০ আরপিএম গতিতে সর্বাধিক ১৮.৭৪ এনএম টর্ক উৎপন্ন করতে সক্ষম। সাথে রয়েছে সিক্স স্পীড গিয়ারবক্স।

এছাড়াও সেমি ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, সামনের হেডলাইট ইউনিট সহ টার্ন ইন্ডিকেটর সবকিছুই আগের মতই অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্রেকিং সিস্টেম হিসেবে সামনের চাকায় ২৮০ মিমি ডিস্ক এবং পিছনে ২৩০ মিমি ডিস্ক ব্যবহার করা হয়েছে। সামনে ও পিছনে উভয় দিকেই থাকা ১৭ ইঞ্চির অ্যালয় হুইলের সঙ্গে সামনের দিকে ১০০/৮০ সেকশন ও পিছনে ১৩০/৭০ সেকশনের টায়ার সংযুক্ত রয়েছে। বাইকটির গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১৬৭ মিমি, যা ভারতীয় রাস্তায় চলার উপযুক্ত।

পালসার এনএস ২০০ এর ফুয়েল ট্যাংকের আয়তন ১২ লিটার এবং এটির থেকে প্রাপ্ত মাইলেজ মোটামুটি ভাবে ৩৫ কিমি/লিটার। অর্থাৎ সম্পূর্ণ ভর্তি ট্যাংকে প্রায় ৪২০ কিমি পর্যন্ত রাস্তা পাড়ি দেওয়া সম্ভব। ২০০ সিসির নেকেড স্পোর্টস বাইক সেগমেন্টে ভারতীয়দের কাছে বাজাজ পালসার এনএস ২০০ একটি জনপ্রিয় নাম। বাজারে মূল প্রতিপক্ষদের মধ্যে অন্যতম KTM Duke 200, Apache RTR 200 4V।

Tags:    

Similar News