লক্ষ্য দ্রুত 5G পরিষেবা চালু করা, শীঘ্রই স্পেক্ট্রাম নিলাম আয়োজনের আশ্বাস টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের
সব বিধিনিয়ম মেনে খুব শীঘ্র 5G স্পেক্ট্রাম নিলামের আয়োজন করা হবে বলে আশ্বাস দিলেন কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সাইবারক্রাইম বিষয়ক ২য় জাতীয় সম্মেলনে দাঁড়িয়ে মন্ত্রীর মুখে এই আশ্বাস শোনা গিয়েছে। যদিও এই আশ্বাস পূরণের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় টেলিকম নিয়ামক সংস্থা TRAI -এর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা ট্রাইয়ের পক্ষ থেকে 5G স্পেক্ট্রাম নিলাম সংক্রান্ত সুপারিশ জমা পড়লে তবে কেন্দ্রীয় সরকার এবিষয়ে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে।
কবে স্পেক্ট্রাম সংক্রান্ত সুপারিশ জমা দেবে TRAI - উঠছে প্রশ্ন
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে নিয়ামক সংস্থার (TRAI) তরফ থেকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় যে মার্চ মাসের (২০২২) শেষ নাগাদ তারা 5G স্পেক্ট্রাম সংক্রান্ত নিজেদের সুপারিশ পেশ করবে। অথচ মার্চ গড়িয়ে ক্যালেন্ডারের তারিখ এপ্রিলে পা দিলেও ট্রাইয়ের (TRAI) প্রতিশ্রুতি অপূরিত থেকে গিয়েছে। যদিও সংবাদ সংস্থা পিটিআই (PTI) সূত্রের খবর, আর কয়েক দিনের মধ্যেই নিয়ামক সংস্থা উক্ত সুপারিশ জমা দিতে চলেছে।
দেশের টেলিকম নিয়ামক সংস্থা যথাসময়ে সুপারিশ জমা দিতে না পারলেও টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব স্পেক্ট্রাম নিলামে দেরি হওয়ার জল্পনাকে কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন। তার বক্তব্য, পূর্বনির্ধারিত নির্দিষ্ট সূচি অনুযায়ী সম্পূর্ণ সঠিক সময়েই তারা 5G স্পেক্ট্রাম নিলামের আয়োজন করবেন। অর্থাৎ মন্ত্রীর দাবি বাস্তবায়িত হলে আমরা চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে 5G পরিষেবা চালুর আশা করতে পারি।
প্রসঙ্গত মনে করিয়ে দিই, গতবছর TRAI ভিন্ন ভিন্ন ফ্রিক্যুয়েন্সির স্পেক্ট্রাম এবং তার মূল্য সম্পর্কের শলাপরামর্শের জন্য একটি 'কনসালটেশন পেপার' (Consultation Paper) প্রকাশ্যে আনে। এরপর বর্তমানে সর্বপ্রথমবারের জন্য তারা এমএমওয়েভ (mmWave) বা মিলিমিটার ওয়েভলেংথ ফ্রিক্যুয়েন্সির ব্যান্ড নিলামের কথা ভাবছে।
মূল্য বেশি হলে স্পেক্ট্রাম কেনা থেকে বিরত থাকবে বেসরকারি টেলকোগুলি
তবে 5G স্পেক্ট্রাম নিলামের অনেক আগে থেকেই বেসরকারি টেলিকম অপারেটরেরা সরকারের কাছে স্পেক্ট্রাম মূল্য কম রাখার আবেদন জানিয়েছে। এমনকি মূল্য অত্যন্ত বেশি হলে বেসরকারি টেলকোগুলি আসন্ন নিলামে নির্দিষ্ট কিছু ফ্রিক্যুয়েন্সির স্পেক্ট্রাম কেনা থেকে বিরত থাকতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে। সেক্ষেত্রে সবদিক বজায় রেখেই নিলাম আয়োজন করতে সরকারের কিছুটা দেরি হতে পারে বলে অনেকের ধারণা।