5G Auction: শুরু স্পেকট্রাম নিলাম; নেটওয়ার্ক চালু হলে ৫জিতে মিলবে পাঁচটি সুবিধা, যা ৪জির জন্য 'নামুমকিন'
বহু জল্পনা-কল্পনা এবং দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ভারতে 5G (৫জি) নেটওয়ার্ক চালুর কাজ এবার একদম শেষধাপে এসে পৌঁছেছে! আজ অর্থাৎ ২৬শে জুলাই, পূর্ব ঘোষণা মতই প্রয়োজনীয় 5G স্পেকট্রামের নিলাম শুরু হচ্ছে। ফলে খুব শীঘ্রই দ্রুতগতির নেটওয়ার্ক পরিষেবা পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়। এছাড়াও চর্চা চলছে যে, এই পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্কের হাত ধরেই দেশে একটি নতুন টেলিকম কোম্পানির জন্ম হবে। আসলে ঠিক যেমন করে 4G (৪জি) নেটওয়ার্ক পরিষেবাকে হাতিয়ার করে সাধারণ শিল্প থেকে টেলিকম সেক্টরে প্রবেশ করেছিল Reliance, তেমন করেই এবার 5G নেটওয়ার্ক চালু করতে পারে Adani (আদানি) গ্রুপ। কিন্তু কেন এত মাতামাতি 5G নেটওয়ার্ককে নিয়ে? শুধু কি আধুনিকতা এবং উন্নত মানই 5G-র এত জনপ্রিয়তার কারণ? আসুন, এখন আমরা এই সমস্ত প্রশ্নের মধ্যে দিয়ে জেনে নিই যে 5G নেটওয়ার্কে কী কী কাজ হতে পারে, যা 4G-তে সম্ভব না।
5G এলে দুর্দান্ত স্পিডের সাথে মিলবে এই সমস্ত সুবিধা
১. দুর্দান্ত ডাউনলোডিং স্পিড: বিগত কয়েক বছরে মানুষ ৪জি বা ৩জি (3G) নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ফাস্ট ইন্টারনেট স্পিড এবং উন্নত কল কোয়ালিটি উপভোগ করতে পেরেছেন। কিন্তু আসন্ন ৫জি নেটওয়ার্কের ডাউনলোডিং স্পিড অনেক বেশি। যেমন এটির সাহায্যে মিনিটের মধ্যে বড় সাইজের গেম বা ভিডিও ডাউনলোড করা যাবে। বহু রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, ৫জির ডাউনলোডিং স্পিড ৪জির চেয়ে ১০০ গুণ বেশি হবে। ৪জির সাধারণ স্পিড লিমিট যেখানে ৪৫ এমবিপিএস, সেক্ষেত্রে ৫জিতে ১,০০০ স্পিড পাওয়া যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
২. 8K রেজোলিউশনে ভিডিও স্ট্রিমিং: ৪জির কল্যাণে আমরা এখন 4K কোয়ালিটিতে ভিডিও দেখতে পারি। তবে ৫জি এলে এর চেয়েও উন্নত 8K রেজোলিউশনে ভিডিও দেখতে পারবেন, তাও আবার বাফারিং এবং বারবার আটকানোর সমস্যা ছাড়া। আসলে, ৫জি নেটওয়ার্কে খুব দ্রুত ডেটা ট্রান্সফার হয়; আর সেই কারণে ভিডিও কন্টেন্ট দ্রুত লোড হয়।
৩. অনলাইন গেমিংয়ে মিলবে সেরা এক্সপিরিয়েন্স: আপনি যদি অনলাইন কনসোল গেমিংয়ের ভক্ত হন, তাহলে ৫জি আপনার জন্য কোনো উপহারের চেয়ে কম নয়। এতে হাই গ্রাফিক্সের ভিডিও গেম খেলার সময় বারবার আটকে যাওয়ার সমস্যা তো হবেই না, পরিবর্তে ৫জি নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত থাকাকালীন গেমটিতে কোনো কমান্ড দিলে তা অবিলম্বে কাজ করবে। অর্থাৎ, এই নেটওয়ার্কে গেমিংয়ের মানও দুর্দান্ত হবে।
৪. স্মার্ট হোম: এই প্রযুক্তিনির্ভর যুগে স্মার্ট হোমের স্বপ্ন কে না দেখে? সেক্ষেত্রে এই স্বপ্নপূরণ করতেও ৫জি ইন্টারনেট লাগবে। আসলে ৫জির সৌজন্যে বাড়ির জন্য স্মার্ট লাইট, স্মার্ট গেট ইত্যাদির ধারণা সম্ভব হয়েছে। তবে আগামী সময়ে, আমরা স্মার্ট শহরও দেখতে পেতে পারি যেখানে ৫জি নেটওয়ার্কের সাহায্যে ট্র্যাফিকের কাজ রিয়েল টাইমে সম্পন্ন হবে। এছাড়া স্মার্ট সিটির রাস্তায় কেউ না থাকলে সেখানকার আলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে জ্বলে উঠবে।
৫. অটোমোবাইল: টেসলার মত কোম্পানি এখন সেল্ফ ড্রাইভিং বা স্ব-চালিত গাড়ির ওপর কাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে, এই গাড়িগুলির একটি নেটওয়ার্ক প্রয়োজন যা দ্রুত ডেটা পাঠাতে এবং গ্রহণ করতে পারে। বুঝতেই পারছেন, ৫জি নেটওয়ার্কে এইসব কাজ সহজেই করা যেতে পারে।