আগস্টে ভারতে চালু হবে 5G? স্পেকট্রাম নিলামের প্রস্তাবে অনুমোদন কেন্দ্র সরকারের
5G স্পেকট্রাম নিলাম আয়োজনের ক্ষেত্রে তৈরী ভারত। এবার দেরিতে হলেও এজন্য জরুরি অনুমোদন মঞ্জুর করল কেন্দ্র। তবে সরকারি তরফ থেকে এখনও এই সংক্রান্ত কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা শোনা যায়নি। যদিও সংবাদ সংস্থা BusinessToday -র জোর দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কর্তৃক চালিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা মঙ্গলবার অর্থাৎ গতকালই প্রস্তাবিত স্পেকট্রাম মূল্যে সায় জানিয়েছে। আর ঠিক তার পরমুহূর্ত থেকে নিলামে আবেদনপত্র গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করতে ব্যস্ত হয়েছে কেন্দ্রের অধীনস্থ সংস্থা ডট (DoT)।
আজ্ঞে হ্যাঁ, ইতিমধ্যে টেলিযোগাযোগ দপ্তর ডট স্পেকট্রাম নিলামে আবেদনপত্র জমার নোটিশ (Notice Inviting Applications বা NIA) বের করতে তৎপর। একবার এই নোটিশ প্রকাশ্যে এলে তারপর স্পেকট্রাম নিলাম শুরু হতে অন্তত ৮ সপ্তাহ বা ২ মাস সময় লাগবে। এর থেকে একথা স্পষ্ট যে আগস্টের আগে অথবা আগস্ট নাগাদ 5G লঞ্চের সম্ভাবনা এখন ক্ষীণ। বরং সম্প্রতি যা পরিস্থিতি তা থেকে আন্দাজ করা যায় যে দেশের সর্বত্র 5G পরিষেবা সূচনার জন্য আরও খানিকটা সময় প্রয়োজন হবে।
গা-ছাড়া ভাবেই স্পেকট্রাম নিলামে অংশ নিতে পারে Airtel, Jio, Vi
এখানে ফের মনে করিয়ে দিই যে, ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা ট্রাই (TRAI) বা টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া প্রস্তাবিত স্পেকট্রাম মূল্যেই সায় দিয়েছে। এর ফলে প্রয়োজনীয় এয়ারওয়েভ কিনতে প্রাইভেট অপারেটরদের মোটা টাকা খরচ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এমতাবস্থায় টেলকোগুলি খানিকটা গা-ছাড়া ভাবে স্পেকট্রাম নিলাম প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারে।
ইতিমধ্যে ভারতী গ্রুপের অধীন দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিকম অপারেটর এয়ারটেলের (Airtel) পক্ষ থেকে স্পষ্টতই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, মূল্য বেশি হলে তারা 5G স্পেকট্রাম নিলামে সেভাবে যোগ দেবেনা। বাকি বেসরকারি অপারেটরেরাও এয়ারটেলের মতো ঠিক একইভাবে নিলাম প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়াতে পারে, যা অতি অশনি সংকেত। সেক্ষেত্রে সরকার ঠিক কি সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই দেখার।
আসলে প্রাইভেট 5G নেটওয়ার্ককে কেন্দ্র করে সরকার ও টেলকোগুলির মধ্যে সদ্য সংঘাত তীব্র হয়েছে। ইতিপূর্বে যোগাযোগ মন্ত্রকের তরফ থেকে বিভিন্ন এন্টারপ্রাইজ সংস্থার জন্য প্রাইভেট 5G রোলআউটের উপযোগী এয়ারওয়েভ বরাদ্দ করা হয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে প্রাইভেট টেলকোগুলি। কারণ এর ফলে তারা মুনাফার নিরিখে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সেক্ষেত্রে তারা 5G ব্যবস্থায় বিনিয়োগ কম করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে।