Jio কে টেক্কা দিয়ে মার্চে বেশি গ্রাহক জুড়লো Airtel, আরও খাদের কিনারে Vi, BSNL
Jio এবং Vi -কে পিছনে ফেলে মার্চ মাসে নিজেদের পরিষেবার অাওতায় সবচেয়ে বেশি গ্রাহক জুড়তে সফল হল ভারতী গ্রুপের মালিকানাধীন দেশের ২য় বৃহত্তম টেলকম অপারেটর এয়ারটেল (Airtel)। টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা TRAI প্রকাশিত টেলিকম পারফরম্যান্স রিপোর্টে সদ্য এই তথ্য উঠে এসেছে। দেখা গেছে, চলতি বছরের মার্চ মাসে পরিষেবার অধীনে নতুন গ্রাহক অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে Airtel অন্য টেলকোদের পেছনে ফেলেছে। Airtel -এর পরে মার্চ মাসে আলোচ্য গ্রাহক অন্তর্ভুক্তির নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রিলায়েন্স জিও (Reliance Jio)। উক্ত দুই টেলকো ছাড়া Vi এবং BSNL উভয় সংস্থা মার্চ মাসে নিজেদের সাবস্ক্রাইবার হারানোর ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে।
মার্চ মাসে পরিষেবার আওতায় প্রায় ২২.৫ লক্ষ গ্রাহক জুড়লো Airtel
ট্রাইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী মার্চ মাসে Airtel নিজেদের পরিষেবার আওতায় প্রায় ২২.৫ লক্ষ নতুন গ্রাহক জুড়েছে। একই সময়ে Jio নতুন ১২.৬ লক্ষ গ্রাহক জুড়তে সফল হয়েছে। অন্যদিকে Vi ও BSNL আলোচ্য সময়ে যথাক্রমে ২৮.১ এবং ১.২ লক্ষ গ্রাহক হারিয়েছে, যা এই সংস্থাদ্বয়ের পক্ষে যথেষ্ট উদ্বেগের ব্যাপার।
এছাড়া ট্রাই প্রকাশিত রিপোর্টের মতে মার্চে মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটির (MNP) প্রায় ৯৬.৪ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে! এর মধ্যে আবার ৫৬.৫ লক্ষ আবেদন জোন-১ এবং বাকিটা জোন-২ থেকে জমা পড়েছে।
মার্চ মাসে ওয়্যারলাইন গ্রাহক অন্তর্ভুক্তিতে সবথেকে এগিয়ে Jio
আজ্ঞে হ্যাঁ, নিজেদের ফাইবার ব্রডব্যান্ড পরিষেবার জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে মার্চ মাসে নতুন ওয়্যারলাইন ইউজার সংযোজনে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে রিলায়েন্স জিও। এক্ষেত্রে জিও'র পরে Airtel, Quadrant এবং Vi যথাক্রমে ২য়, ৩য় এবং ৪র্থ স্থান অধিকার করেছে। অন্যদিকে একদা ওয়্যারলাইন পরিষেবার রাজা BSNL ক্রমাগত গ্রাহক হারিয়ে এখানেও সর্বশেষ স্থানে গিয়ে ঠেকেছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী আলোচ্য সময়পর্বে রিলায়েন্স জিও প্রায় ২.৮ লক্ষ নতুন ওয়্যারলাইন ইউজার তাদের পরিষেবার অধীনে জুড়তে সমর্থ হয়েছে। একই সময়ে এয়ারটেল, কোয়াড্রান্ট ও ভোডাফোন আইডিয়া যথাক্রমে ০.৮৩, ০.১৯ এবং ০.১৪ লক্ষ নতুন ওয়্যারলাইন অন্তর্ভুক্তিতে সাফল্য পেয়েছে।
এছাড়া জানা গেছে, মার্চ মাসে প্রায় ০.৬৭ লক্ষ গ্রাহক বিএসএনএলের এবং ০.১৫ লক্ষ এমটিএনএলের ওয়্যারলাইন পরিষেবা ত্যাগ করেছেন, যা পুনরায় এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাদ্বয়ের দৈন্যদশাকে প্রকট করেছে।