গত একমাস ধরে লকডাউনে স্তব্ধ সাংহাই সহ গোটা চীন। আর তারই ধাক্কায় এবার ব্যবসায় বড়সড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে আইফোন উৎপাদনকারী জনপ্রিয় ব্র্যান্ড অ্যাপল (Apple)। আজ্ঞে হ্যাঁ, চীনে পুনরায় লকডাউনের ফলে মার্কিন মুলুকস্থিত এই কোম্পানি এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে পুরো ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ৬১২১৮ কোটি টাকা) খোয়াতে পারে বলে সম্প্রতি প্রকাশ্যে উঠে এসেছে।
লকডাউনে বাড়বে ক্ষতি, চিন্তায় আইফোন প্রস্তুতকারক Apple
আসলে উত্তরোত্তর বাড়তে থাকা কোভিড সংখ্যার কারণে সাংহাই সহ চীনের অনেক শহরেই পুনরায় অতিমারি সংক্রান্ত বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা লাগু করা হয়েছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে সেখানকার স্বাভাবিক জনজীবন। অ্যাপলের আশঙ্কা ফের করোনাভীতি ও লকডাউনের ফলে আলোচ্য সময়পর্বে চীনের ক্রেতামহলে তাদের প্রোডাক্টের চাহিদা মারাত্মকভাবে হ্রাস পেতে পারে। এজন্য কমতে পারে কোম্পানির আয়। সম্প্রতি অ্যাপল সিইও (CEO) টিম কুকের বক্তব্যেও কোম্পানির এহেন লোকসানের আশঙ্কা ধরা পড়েছে।
কুক জানিয়েছেন, কেবল সাংহাই করিডরে বাণিজ্যিক ব্যর্থতার কারণেই তারা চীনা বাজারে মুখ থুবড়ে পড়তে পারেন। এছাড়া সেদেশের অন্যান্য অংশেও লোকসানের সম্ভাবনা বজায় রয়েছে। এহেন অবস্থায় চীনের বাজার থেকে তাদের আয় পুরো ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত কমতে পারে বলে অ্যাপল সিইওর দাবি।
অবগতির জন্য জানিয়ে রাখি, অ্যাপলের প্রায় ২০০ প্রধান সরবরাহকারী সাংহাই সহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকায় লকডাউনের জন্য বিপদে পড়েছেন। তাছাড়া এই মুহূর্তে কেবল সাংহাই শহরেই ৩১টি এমন সংস্থা রয়েছে যাদের উৎপাদনজনিত পরিষেবা থেকে আইফোন প্রস্তুতকারক কোম্পানি অ্যাপল লাভবান হয়। কিন্তু লকডাউনের ফলে সেই কাজও থমকে গিয়েছে।
সর্বোপরি শুধুমাত্র লকডাউনের ফলে কাজ বন্ধ থাকার জন্য নয়, একইসাথে Apple সম্প্রতি সিলিকন ঘাটতির কারণেও যথেষ্ট সমস্যায় রয়েছে। খুব জলদি এহেন সমস্যা থেকে মুক্তির কোনও পথ আপাতত দেখা যাচ্ছে না। এর দ্বারাও সংস্থার আয় চলতি কোয়ার্টারে প্রভাবিত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।