Fake Call Malware: এখনই সতর্ক হোন, চুপিচুপি ফোনের দখল নিচ্ছে হ্যাকাররা, শূন্য হয়ে যেতে পারে ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স
Fake Call Malware - ভিশিং বা ভয়েস ফিশিংয়ের মাধ্যমে ফোনে ঢোকানো হচ্ছে এই ভাইরাস, এবং ফ্রড ব্যাঙ্কিং কল এবং ভয়েস মেসেজের মাধ্যমে আর্থিক প্রতারণা করা হচ্ছে।
লাখ লাখ অ্যান্ড্রয়েড ইউজারদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিলেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি ফেক কল নামে নতুন ম্যালওয়্যার ভাইরাসের খপ্পরে সাইবার জালিয়াতির শিকার হচ্ছেন বহু মানুষ। আপনার অজান্তেই ফোনে ঢুকে ব্যাঙ্কের তথ্য চুরি করছে ভাইরাসটি। পৃথিবীর অন্য প্রান্তে বসে থাকা হ্যাকারদের কাছে চলে যাচ্ছে সেই তথ্য। মোটা টাকায় ডার্ক ওয়েবে কেনা হচ্ছে সেই সব ডেটা।
২০২২ সালে প্রথম এই ভাইরাসটি চিহ্নিত করা হয়। ফেক কল ম্যালওয়্যারের প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। ফোনের নিয়ন্ত্রণ পাওয়ার উদ্দেশ্যে অন্য দেশে বসে থাকা হ্যাকাররা নানা কৌশলে ভাইরাসটি পরিচালনা করছে। সাইবার সিকিউরিটি ফার্ম জিম্পেরিয়াম ভাইরাসটির উন্নত সফটওয়্যার সম্পর্কে সচেতন করেছে ইউজারদের।
ফেক কল ম্যালওয়্যার
ভিশিং বা ভয়েস ফিশিংয়ের মাধ্যমে ফোনে ঢোকানো হচ্ছে এই ভাইরাস, এবং ফ্রড ব্যাঙ্কিং কল এবং ভয়েস মেসেজের মাধ্যমে আর্থিক প্রতারণা করা হচ্ছে। সাইবার বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এটি মূলত এপিকে ফাইলের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে ছড়াচ্ছে। এপিকে অ্যাপ ডাউনলোড করা মাত্রই ফোনে ডিফল্ট কলার হিসাবে সেট হচ্ছে ফেক কল ম্যালওয়্যার।
ইউজার প্রায় অনিচ্ছাকৃতভাবে অনুমতি দিয়ে ফেলছে। যার ফলে হ্যাকাররা সমস্ত ইনকামিং কল এবং ডায়াল তথ্যের নিয়ন্ত্রণ পেয়ে যাচ্ছে। যাতে শনাক্তকরণ না করা যায় তার জন্য ভুয়ো ইউজার ইন্টারফেস বা UI ব্যবহার করছে হ্যাকাররা। বিভিন্ন থার্ড পার্টি অ্যাপের মধ্যে লুকিয়ে থাকে এই ফেক কল ম্যালওয়্যার।
কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- এই ধরনের ম্যালওয়্যার ভাইরাস এড়াতে থার্ড পার্টি এপিকে ফাইল এড়িয়ে চলুন।
- সর্বদা গুগল প্লে স্টোর থেকেই অ্যাপ ডাউনলোড করুন। এপিকে ফাইলগুলোতে কোনও প্রকার নিরাপত্তা স্তর থাকে না। তাই সেগুলিতে ম্যালওয়্যার লুকিয়ে রাখা সহজ
- ফোনে কোনওরকম এপিকে ফাইল থাকলে তা এখনই ডিলিট করে দিন।
- যেকোনও অ্যাপকে মাইক্রোফোন, ক্যামেরার অনুমতি দেওয়ার আগে যাচাই করুন।
- সন্দেহজনক লিঙ্ক ও হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ এড়িয়ে চলুন।