মুহুর্তে বেহাত হবে আপনার WhatsApp অ্যাকাউন্ট, ভুলেও একাজ করবেন না
এবার জনতাকে সম্পূর্ণ নতুন এক ধরনের হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) জালিয়াতির ব্যাপারে সতর্ক করলেন প্রখ্যাত সাইবার সিকিউরিটি ও মেশিন ইন্টেলিজেন্ট সংস্থা cloudsek.com -এর প্রতিষ্ঠাতা রাহুল শশী। মূলত ওটিপি (OTP) চুরির মাধ্যমেই এই জালিয়াতি হোয়াটসঅ্যাপ ইউজারদের অ্যাকাউন্টকে নিশানা করছে বলে শশীর বক্তব্য। তার দাবি, দেশ এবং সীমানার ব্যবধান পেরিয়ে বিশ্বের যে কোনও প্রান্তের হোয়াটসঅ্যাপ ইউজার এই জালিয়াতির শিকার হতে পারেন। নিজের টুইটার পোস্টে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে শশী বিষয়টি সম্পর্কে ব্যবহারকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
Whatsapp_OTP_Scam কিভাবে তার জাল ছড়াচ্ছে জেনে নিন
নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্টের মাধ্যমে শশী 'হোয়াটসঅ্যাপওটিপিস্ক্যাম' সম্পর্কে সকলকে সতর্ক করেন। তার দাবি অনুযায়ী আলোচ্য জালিয়াতির ক্ষেত্রে হ্যাকার আক্রান্তকে ফোন করার পর তাকে 67<10 ডিজিটের মোবাইল নম্বর> বা 405<10 ডিজিটের মোবাইল নম্বর> ডায়াল করার জন্য রাজি করায়। এই নম্বর দুটির মধ্যে যে কোনও একটি নম্বরে ফোন করলেই বিপত্তি। কেননা তার সাথে সাথেই আক্রান্ত নিজের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট থেকে লগড আউট (Logged out) হয়ে যান। এর ফলে আক্রান্তের অ্যাকাউন্ট চলে যায় হ্যাকারের কব্জায় এবং তখন হ্যাকার খুব সহজেই আক্রান্তের ব্যক্তিগত তথ্যগুলি হস্তগত করে।
টুইটে শশী আরও জানিয়েছেন যে, আক্রান্তেরা হ্যাকারের দেওয়া যে নম্বরটিতে কল করেন তা একটি সার্ভিস রিকোয়েস্ট নম্বর। Jio বা Airtel ইউজারগণ উক্ত নম্বর ডায়াল করলে অন্যান্য কলে ব্যস্ততার সময় তাদের নম্বরে কল ফরওয়ার্ডিং পরিষেবা চালু হয়ে যায়। এভাবে সাইবার অপরাধীরা আক্রান্তের জরুরি কল নিজেদের নম্বরে ফরওয়ার্ড করে নেয়। এরপর হ্যাকার তার ডিভাইসের মাধ্যমে আক্রান্তের অ্যাকাউন্ট কব্জার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু করে এবং ফোন কলের দ্বারা ওটিপি প্রেরণের অপশন বেছে নেয়। কিন্তু ঠিক সেই মুহূর্তে আক্রান্তের ফোনে কল ফরওয়ার্ডিং পরিষেবা সক্রিয় থাকার ফলে ওটিপি হ্যাকারের ফোনে প্রেরিত হয় এবং সে আক্রান্তের অ্যাকাউন্ট করায়ত্ত করে। এভাবেই নয়া হোয়াটসঅ্যাপওটিপিস্ক্যাম জাল ছড়াচ্ছে বলে Cloudsek প্রতিষ্ঠাতা রাহুল শশী ব্যাখ্যা করেন।
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, কারও অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশনের সময় হোয়াটসঅ্যাপ তার রেজিস্টার্ড নম্বরে ৬-ডিজিটের একটি ওটিপি (OTP) কোড প্রেরণ করে। এই কোড স্বতন্ত্র এবং প্রতিটি ভেরিফিকেশনের সময় হোয়াটসঅ্যাপ তা বদলে নতুন কোড পাঠিয়ে থাকে। নিজের অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে হলে আলোচ্য মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারকারীদের উক্ত কোড অন্য কারও সাথে বিনিময় করা উচিত নয়। এর অন্যথা হলে তার সাধের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট অন্যের হস্তগত হতে পারে।