ইলেকট্রিক স্কুটারে কেন আগুন লাগছে, সমাধানের উপায় কী, জানালেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী
ভারতে বার বার বৈদ্যুতিক স্কুটারে অগ্নিকাণ্ডের খবর সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রীয় সরকার। কমিটি গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। দু’মাস ধরে পরীক্ষা চালিয়ে তদন্তকারীরা গত সপ্তাহে একটি প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ করে। সেখানে দাবি করা হয়, ভারতীয় স্কুটারে ব্যবহৃত ব্যাটারি সেল এবং ব্যাটারির ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির ত্রুটিই আগুন লাগার জন্য দায়ী। এবার নীতি আয়োগ (NITI Aayog)-এর সদস্য তথা বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ভি কে সারস্বত বলেছেন, আমদানি করা ব্যাটারি ভারতের আবহাওয়ায় উপযুক্ত নয়। যে কারণে বৈদ্যুতিক গাড়িতে বারংবার আগুন লাগছে।
তবে এখন উপায় কী? সেই পথও বাতলেছেন সারস্বত। তিনি জানান, এই বিপদ থেকে নিস্তারের উপায় এ দেশেই ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদন করা। যদিও এই একই কথা কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ীর মুখেও শোনা গিয়েছিল। এদিকে ই-স্কুটারে বিস্ফোরণ ঘটে প্রাণ হারিয়েছেন দেশের বেশ কয়েকজন নাগরিক। এ বিষয়ে সারস্বত বলেন, “বৈদ্যুতিক ব্যাটারি হচ্ছে একটি বিকশিত প্রযুক্তি। বর্তমানে ভারতে ব্যাটারি সেল তৈরি হয় না… আমাদের উচিত সর্বপ্রথম নিজেদের সেল উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তোলা।”
সারস্বত যোগ করেন, “আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, যেই ধরনের সেলই আমরা তৈরি করি না কেন, সেটি যেন ভারতের উচ্চ তাপমাত্রার আবহাওয়ায় খাপ খাইয়ে নিতে পারে। ভারতে যেই ধরনের ব্যাটারি সেল ব্যবহার করা হচ্ছে, তা ভারতের জন্য উপযুক্ত নয়। তাই যখনই আমরা বাইরে থেকে সেল আমদানি করব, আমাদের উচিত সেগুলিকে কঠোরভাবে পরীক্ষা করে দেখা।”
এদিকে পরপর বৈদ্যুতিক স্কুটারে আগুন লাগতে দেখে গত মাসে গডকড়ী ব্যাচ ধরে স্কুটার প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন সংস্থাগুলিকে। সেই মতো ওকিনাওয়া, ওলা ইলেকট্রিক এবং পিওরইভি সম্মিলিতভাবে প্রায় ৭,০০০ স্কুটি ফিরিয়ে নেওয়ার ডাক দেয়। অন্যদিকে সংস্থাগুলির উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কড়া হুঁশিয়ারি, স্কুটার তৈরিতে গাফিলতি ধরা পড়লে কড়া শাস্তি জুটবে কপালে। আবার সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রণালয় সূত্রে খবর, কেন্দ্রের পাশাপাশি সেন্টার ফর ফায়ার এক্সপ্লোসিভ অ্যান্ড ইনভারমেন্ট সেফটি (CFEES)-ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।