Honda তাদের জনপ্রিয় মেড-ইন-ইন্ডিয়া মোটরসাইকেল নাইজেরিয়াতে লঞ্চ করল
ভারতবাসীদের কাছে বরাবরের জন্যই জনপ্রিয় কমিউটার বাইকগুলির মধ্যে অন্যতম হলো হোন্ডা ইউনিকর্ন (Honda Unicorn)। তবে আশার কথা হল এই জনপ্রিয়তা এবার ভারতের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও ছড়িয়ে পড়তে চলেছে। এর অন্যতম কারণ হলো এদেশের মাটিতে প্রস্তুত এই ইউনিকর্ন বাইকটি এবার পাড়ি দিচ্ছে নাইজেরিয়াবাসীর কাছে। যদিও সেই দেশের জন্যও প্রস্তুত সংস্করণে ভারতীয় মডেলের তুলনায় থাকছে সামান্য কিছু পরিবর্তন। তবে আসল ১৬০ সিসির ইঞ্জিনটি রয়েছে অপরিবর্তিত।
নাইজেরিয়াতে ব্যক্তিগত ব্যবহারের পাশাপাশি বাণিজ্যিক ব্যবহারের ক্ষেত্রেও বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আনা হচ্ছে ১৬০ সিসির এই বাইকটিকে। সে দেশের মাটিতে এই মডেলটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২.৫৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ এদেশের তুলনায় যা অনেকটাই বেশি। বর্তমানে দিল্লির বুকে ইউনিকর্নের এক্স শোরুম মূল্য ১.০৬ লাখ টাকা। বাইকটির তেল সাশ্রয় ক্ষমতা, রিসেল ভ্যালু, সার্ভিস ও যন্ত্রাংশের সহজলভ্যতা একে গ্রাহকদের কাছে অনেক বেশি আকর্ষণীয় করে তুলবে বলেই এর নির্মাতাদের আশা।
হোন্ডা তাদের এই ইউনিকর্ন ১৬০ মডেলটিকে তাদের ভারতবর্ষে অবস্থিত কারখানা থেকে উৎপাদন করেই নিয়ে যাবে নাইজেরিয়াতে। সেই দেশের জন্যও তৈরি সংস্করণটি অনেকাংশেই Honda SP 125 থেকে অনুকরণ করে তৈরি। এর হেডল্যাম্পের পরিবর্তন ঘটেছে কিছু। এলইডির পরিবর্তে বসেছে হ্যালোজেন ল্যাম্প। এমনকি ফুয়েল ট্যাংকের ডিজাইনেও সামান্য পরিবর্তন নজরে আসে। বাইকটির সর্বত্র বাল্ব ইন্ডিকেটর এবং একটানা সিট ব্যবহার করা হয়েছে।
হোন্ডা ইউনিকর্নের এই নাইজেরিয় সংস্করণে চলার শক্তি যোগায় ১৬২.৭৭ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার এয়ার কুল্ড ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিনটি থেকে উৎপন্ন হওয়া পাওয়ার ও টর্ক আউটপুট যথাক্রমে ১২.৭ বিএইচপি এবং ১৪ এনএম। সাথে রয়েছে পাঁচ ধাপযুক্ত ম্যানুয়াল গিয়ার বক্স। সাসপেনশনের জন্য সামনের দিকে টেলিস্কোপিক ফর্ক ও পিছনে মনোশক অ্যাবজর্ভার লাগানো আছে। যদিও ব্রেকিং এর দায়িত্ব সামলাতে সামনের দিকে ডিস্ক ও পিছনে ড্রাম ব্রেক উপলব্ধ রয়েছে। সাথে থাকবে সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস। উপরন্তু টিউবলেস টায়ারের সঙ্গে অ্যালয় হুইল ব্যবহৃত হয়েছে এই বাইকে।
বর্তমানে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের মতোই নাইজেরিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা খানিকটা টলোমলো। এমন অস্থির পরিস্থিতির মধ্যেই সে দেশে লঞ্চ করতে চলেছে এই বাইকটি। যদিও সেখানকার জনগণের মধ্যে এই নতুন বাইকটি ব্যাপক সাড়া ফেলবে বলেই আশাবাদী হোন্ডা।