আসবে না Pro ভার্সন, স্ট্যান্ডার্ড মডেলকেই ফিচার্সে ভরিয়ে দেওয়ার প্ল্যান করছে iQOO
আইকো তাদের পরবর্তী প্রজন্মের iQOO 13 সিরিজের ওপর কাজ করছে বলে কিছুদিন আগেই জানা গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল যে এই লাইনআপে পূর্বসূরির মতোই স্ট্যান্ডার্ড এবং প্রো মডেল অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তবে এখন এক সুপরিচিত টিপস্টার দাবি করেছেন যে, এবছরের সিরিজে iQOO 13 Pro মডেলটি অন্তর্ভুক্ত থাকবে না। আসুন এসম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
iQOO 13 Pro ফোনের ডেভেলপমেন্ট বন্ধ করলো কোম্পানি
ডিজিটাল চ্যাট স্টেশন ওয়েইবো (চীনা মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম) জানিয়েছে যে, প্রো প্রজেক্টের ডেভেলপমেন্ট বন্ধ করা হয়েছে, এবং এটি বাদ পড়ার সম্ভাবনা ৮৯.৩৭৪৬%। এটি একটি শক্তিশালী সম্ভাবনার দিকে নির্দেশ করে, যা ইঙ্গিত করছে যে আইকো ১৩ প্রো ফোনটি স্ট্যান্ডার্ড আইকো ১৩ ফোনের সাথে প্রকাশ করা হবে না।
যাইহোক, এটি আইকো অনুরাগীদের জন্য একেবারে খারাপ খবর নয়। টিপস্টার বলেছেন যে, সুসংবাদটি হল যে, স্ট্যান্ডার্ড সংস্করণের কিছু স্পেসিফিকেশন আকর্ষণীয়ভাবে উন্নত করা হবে। অর্থাৎ, কোম্পানির ফোকাস এখন সম্পূর্ণরূপে আইকো ১৩ হ্যান্ডসেটে স্থানান্তরিত হতে পারে, যা বৈশিষ্ট্যগুলিতে উল্লেখযোগ্য আপগ্রেড অফার করবে।
তবে এটিই প্রথমবার নয়, যখন আইকো ১৩ সিরিজে প্রো মডেল বাতিল হওয়ার কথাটি শোনা যাচ্ছে। একই টিপস্টার আগেও এর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন এই বলে যে, প্রো ভ্যারিয়েন্টটি এবছর প্রকাশিত নাও হতে পারে। যেহেতু আইকো ১৩ প্রো মডেল আসছে না, তাই স্ট্যান্ডার্ড আইকো ১৩ ঠিক কতটা পারফরম্যান্স বুস্ট করবে, সেটাই এখন দেখার। তবে প্রো ভ্যারিয়েন্টের বাদ দেওয়া থেকে বোঝা যায় আইকো এবিষয়ে আত্মবিশ্বাসী যে, বেস মডেলটি ফ্লাগশিপ স্মার্টফোন মার্কেটে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে শক্তিশালী হবে।
এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে যে, iQOO 13 ফোনটি ২কে রেজোলিউশন সহ ফ্ল্যাট ওলেড (OLED) ডিসপ্লের সাথে আসবে। নিরাপত্তার জন্য স্ক্রিনে একটি আল্ট্রাসনিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানারও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তাছাড়া, ডিভাইসটি ১৬ জিবি পর্যন্ত র্যাম এবং সর্বোচ্চ ১ টিবি স্টোরেজ অফার করবে বলে জানা গেছে। এতে ১২০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট সহ বিশাল ৬,০০০ এমএএইচ ব্যাটারি থাকতে পারে। শোনা যাচ্ছে যে, iQOO 13 এবছরের নভেম্বরে লঞ্চ হতে পারে।