স্টেট ব্যাঙ্কের সঙ্গে হাত মেলাল Jawa ও Yezdi, এবার বাইক কিনতে লোন মিলবে খুব সহজেই
৮০ কিংবা ৯০-এর দশকে এদেশের রাস্তা দাপিয়ে বেড়াতো Jawa ও Yezdi-র বাইকগুলি। আজও হয়তো কোনো না কোনো বাড়ির গ্যারেজে ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে রয়েছে সেইসব দিনের আইকনিক মডেলগুলি। যদিও সময়ের সাথে পাল্লা দিতে না পেরে একটা সময় বিলুপ্ত হয়েছে এই দুই মহারাজা। তবে কথায় বলে না যে "ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয় বারবার।" এই প্রবাদকে সত্যি করে আবারও পুনর্জাগরণ হয় এই দুই দ্বৈরথের। যদিও সেই সময়কার টু-স্ট্রোক লেজেন্ড ইঞ্জিনের অধ্যায় সমাপ্ত হয়েছে আজ।
আধুনিক সাজে সজ্জিত হয়ে সেদিনের বাদশা আজ ২১-র দশকের তরুণ তুর্কি। জাওয়া ও ইয়েজদি দুটি সংস্থার হাতেই বর্তমানে রয়েছে একাধিক জনপ্রিয় ক্লাসিক স্টাইলের মোটরসাইকেল। ভারতবর্ষের মতো বাজার যেখানে রেট্রো বাইকের জগত প্রায় সম্পূর্ণভাবেই রয়্যাল এনফিল্ডের একাধিপত্বের কাছে নতি স্বীকার করেছে সেখানে জাওয়া-ইয়েজদি যেন নবরূপে প্রাণ সঞ্চার করতে হাজির হয়েছে।
সম্প্রতি এই দুই সংস্থা আর্থিক সুযোগ-সুবিধার জন্য দেশের অন্যতম বড় অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে সমঝোতার পথে হেঁটেছে। এসবিআই এর এই গাটবন্ধনের ফলে সুবিধা পাবে তাদের চ্যানেল পার্টনার থেকে শুরু করে গ্রাহকরা। ভারতের প্রতিযোগিতামূলক বাজারে বর্তমানে এই সংস্থার নেটওয়ার্ক বর্ধিত করার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে তারা। আসলে বর্তমানের প্রতিযোগিতায় ভরা পরিবেশে কিছুটা সাহায্যই অনেকটা বড় ভূমিকা পালন করে।
স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে এই হাত মেলানো প্রসঙ্গে জাওয়া-ইয়েজদি মোটরসাইকেলের সঙ্গে এর অধিকর্তা আশীষ সিং জোশি বলেন, "আমরা আমাদের ফিনান্স পার্টনার হিসেবে এসবিআইকে স্বাগত জানাই। এদেশের সবচেয়ে বড় ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন হিসাবে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার পরিকাঠামো এবং গ্রাহক নেটওয়ার্ক সর্ববৃহৎ। তাই এই সংস্থার সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে আমাদের চ্যানেল পার্টনার এবং গ্রাহকদের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়াই আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য।"
প্রসঙ্গত, বর্তমানে জাওয়া এবং ইয়েজদি-র হাতে সমগ্র ভারতবর্ষ জুড়ে রয়েছে ৩৭৫ টি টাচ পয়েন্ট।তাদেহ মোট মোটরবাইকের সংখ্যা এই মুহূর্তে বেড়ে হয়েছে সাত। অতি দ্রুত সংখ্যক এদেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ার মরিয়া প্রয়াস নিয়ে এগিয়ে চলেছে তারা। সে কারণেই এসবিআই-র সাথে হাত মিলিয়ে আগামীতে তাদের পরিবারকে বৃহত্তর ক্ষেত্রে ছড়িয়ে দেওয়ার মহৎ উদ্দেশ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সুবিধার ব্যাপারটিও বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে এখানে।