বাজারে আসছে মোটোরোলা এজ সিরিজের অত্যাধুনিক ফোন, মিলবে 68W ফাস্ট চার্জিং
গত এপ্রিল মাসে উন্মোচিত মোটোরোলা এজ ৫০ সিরিজের প্রো ও আল্ট্রা ভ্যারিয়েন্টগুলি বাজারে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। কোম্পানি বর্তমানে বাজেট-সচেতন ক্রেতাদের জন্য স্ট্যান্ডার্ড মোটোরোলা এজ ৫০ মডেলটিকেও বাজারে আনার প্রস্তুতি শুরু করেছে বলে শোনা যাচ্ছে। কোম্পানির তরফে এই প্রসঙ্গে এখনও কিছু না জানানো হলেও, হ্যান্ডসেটটিকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর টিডিআরএ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এফসিসি এবং ইউরোপের ইইসি সহ একাধিক সার্টিফিকেশন প্ল্যাটফর্মে দেখা গেছে। এই সার্টিফিকেশনগুলি মোটোরোলা এজ ৫০ ফোনের আসন্ন আগমনে দিকে নির্দেশ করছে এবং এর কিছু বৈশিষ্ট্যও প্রকাশ করেছে। আসুন এই লিস্টিংগুলি থেকে কি কি তথ্য সামনে এসেছে, আসুন দেখে নেওয়া যাক।
মোটোরোলা এজ ৫০ ফোন পেল একাধিক সার্টিফিকেশন সাইটের অনুমোদন
এক্সটি২৪০৭-১ মডেল নম্বর সহ মোটোরোলা এজ ৫০ ফোনটি সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড ডিজিটাল গভর্নমেন্ট রেগুলেটরি অথরিটি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশন এবং ইউরোপিয়ান ইকোনমিক কমিউনিটি - এর মতো সার্টিফিকেশন ওয়েবসাইটগুলিতে হাজির হয়েছে৷ যদিও ডিভাইসটির সম্পর্কে বিশদ তথ্য এখনও সামনে আসেনি, তবে এফসিসি লিস্টিং কিছু আকর্ষণীয় বিবরণ প্রকাশ করেছে। ফোনটির সাথে থাকা ব্যাটারির মডেল নম্বর প্রায় ৫,০০০ এমএএইচ ক্ষমতার প্রস্তাব করে। আর এর চার্জার মডেলটি ৬৮ ওয়াট ফাস্ট চার্জিংয়ের দিকে নির্দেশ করছে।
সফ্টওয়্যারের ক্ষেত্রে, মোটোরোলা এজ ৫০ অ্যান্ড্রয়েড ১৪ ভিত্তিক হ্যালো ইউআই কাস্টম স্কিনে রান করেবে। যোগাযোগহীন অর্থপ্রদানের জন্য এটি নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন সাপোর্ট এবং ওয়াই-ফাই ৬ সংযোগ অফার করবে বলেও জানা গেছে। ফোনটির ডিজাইন এবং অফিসিয়াল লঞ্চের তারিখ এখনও অজানাই রয়েছে। তবে, যেহেতু ডিভাইসটিকে একাধিক সার্টিফিকেশন সাইটে দেখা গেছে, তাই এটি চলতি মাসেই (জুলাই) লঞ্চ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। মোটোরোলা এজ ৫০ থেকে কি কি আশা করা যায়, সে সম্পর্কে ধারণা পেতে, আসুন এর পূর্বসূরির বৈশিষ্ট্যগুলি দেখে নেওয়া যাক।
মোটোরোলা এজ ৪০ ফোনের স্পেসিফিকেশন
গত বছর মে মাসে লঞ্চ হওয়া মোটোরোলা এজ ৪০ ফোনে ফুলএইচডি+ রেজোলিউশন এবং ১৪৪ হার্টজ রিফ্রেশ রেট সহ ৬.৫৫ ইঞ্চির পিওলেড কার্ভড-এজ ডিসপ্লে রয়েছে৷ ফোনটি মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৮০২০ চিপসেটের সাথে এসেছে, যা সর্বাধিক ৮ জিবি এলপিডিডিআর৪এক্স র্যাম এবং ২৫৬ জিবি ইন-বিল্ট স্টোরেজের সাথে যুক্ত। নিরাপত্তার জন্য এতে একটি আন্ডার-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার রয়েছে এবং এটি অ্যান্ড্রয়েড ১৩ অপারেটিং সিস্টেমে চলে।
ফটোগ্রাফির জন্য, মোটোরোলা এজ ৪০ ফোনে অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন সহ ৫০ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি সেন্সর এবং একটি ১৩ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা-ওয়াইড লেন্স রয়েছে, যা ম্যাক্রো শ্যুটার হিসাবেও ব্যবহৃত হয়। পাওয়ার ব্যাকআপের জন্য, মোটোরোলা এজ ৪০ হ্যান্ডসেটে একটি ৩২ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট-ফেসিং ক্যামেরা বিদ্যমান। পাওয়ার ব্যাকআপের জন্য, এতে ৪,৪০০ এমএএইচ ব্যাটারি রয়েছে, যা ৬৮ ওয়াট ওয়্যার্ড এবং ১৫ ওয়াট ওয়্যারলেস চার্জিং সাপোর্ট করে। এছাড়াও, এতে ডুয়েল স্টেরিও স্পিকার এবং একটি আইপি৬৮ (IP68) রেটেড চ্যাসিস রয়েছে।
আশা করা যায়, মোটোরোলা এজ ৫০ আল্ট্রা আপগ্রেড করা ক্যামেরা সেন্সর এবং মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৮০২০ - এর থেকে শক্তিশালী প্রসেসরের সাথে আসবে। সম্প্রতি লঞ্চ হওয়া মোটোরোলা এজ ৫০ ফিউশন ডিভাইসটি একটি ৫০ মেগাপিক্সেলের সনি এলওয়াইটি-৭০০সি প্রাইমারি ক্যামেরা সেন্সর এবং স্ন্যাপড্রাগন ৭এস জেন ২ প্রসেসরের সাথে লঞ্চ হয়েছে।