Electric Car: কেনার সামর্থ না থাকলে টাকা দেবে সরকার, এই দেশে ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যবহার বাড়াতে নয়া উদ্যোগ
‘পরিবেশ দূষণ’ নামক ঘোরতর শত্রুর সাথে মোকাবিলা করতে বিশ্বের প্রায় সমস্ত দেশ একাট্টা হয়েছে। এই পরিবেশ দূষণের জন্য অন্যতম কারণ জীবাশ্ম জ্বালানির যানবাহনের ব্যবহার কমিয়ে বৈদ্যুতিকের সংখ্যা বাড়াতে যারপরনাই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন দেশের সরকার। এই জাতীয় যানবাহনের মূল্য সাধারণত একটি পেট্রোল-ডিজেল চালিত গাড়ির তুলনায় বেশি হওয়ার কারণে কখনও ভর্তুকি বা কখনও করে ছাড়ের ঘোষণার খবর হামেশাই শোনা যায়। এবারে সেই পথে এক নতুন দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে চলেছে নিউজিল্যান্ড সরকার। নিউজিল্যান্ডে যে সমস্ত নাগরিক আর্থিক উপার্জন কম থাকার কারণে বৈদ্যুতিক গাড়ি কেনার খরচ কুলোতে পারছে না, তাদের আর্থিক ভাবে সাহায্য করবে সরকার।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডের্ন (Jasinda Ardern)-এর ‘Scrap and Replace’ প্রকল্প অনুযায়ী কম অর্থ উপার্জনকারী প্রায় ২,৫০০ পরিবারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যাদের বর্তমান পেট্রোল অথবা ডিজেল চালিত গাড়িটি বদলে বৈদ্যুতিক গাড়ি কিনতে আর্থিক সহায়তা করা হবে। আসলে ২০৩৫-এর মধ্যে দেশের সমস্ত যানবাহন বৈদ্যুতিকে রূপান্তরিত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। যে কারণে সরকারের এই তৎপরতা।
২০৫০ সালের মধ্যে যানবাহন থেকে কার্বন ডাই অক্সাইডের নির্গমন শূন্য করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে নিউজিল্যান্ড সরকার। কিন্তু এসবের মধ্যে বর্তমানে অর্থনৈতিকভাবে কমজুরি, এমন পরিবার পিছু বৈদ্যুতিক গাড়ি কিনতে সহায়তার কাজ আগে করা হবে বলে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছর একটি নতুন ও হাতফেরতা বৈদ্যুতিক গাড়ি কিনলে তার উপর ভারতীয় মুদ্রার অঙ্কে যথাক্রমে ৪,২০,৮৪৭ টাকা ও ১,৬৮,৩৩৯ টাকার ভর্তুকির কথা ঘোষণা করেছিল সরকার।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে নিউজিল্যান্ডে সকল প্রকার গাড়ির নথিভুক্তকরণের মধ্যে ২.৩% ইলেকট্রিক। আবার একটি এন্ট্রি লেভেল আইসিই গাড়ির তুলনায় বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম প্রায় তিন গুণ বেশি। তাই বৈদ্যুতিক গাড়ি এখনও ততটা জনপ্রিয়তা পায়নি সে দেশে। নিউজিল্যান্ডের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, গণপরিবহন ক্ষেত্রে ব্যাটারি চালিত যানবাহনের সংখ্যা আরও বেশি পরিমাণে বাড়ানো হোক।