Paytm Cashback: পেটিএম ব্যবহারকারীরা সাবধান, ক্যাশব্যাকের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খালি করে দিচ্ছে হ্যাকাররা
আজকাল আমরা প্রায় সকলেই ই-ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে টাকার লেনদেন থেকে শুরু করে বিভিন্ন পরিষেবার বিল পরিশোধ করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। কেননা ডিজিটাল পদ্ধতিতে পেমেন্ট করলে লম্বা লাইনে দাঁড়ানোর থেকে রেহাই পাওয়ার পাশাপাশি, ক্যাশব্যাক, রিডিম কোড, ডিসকাউন্ট কুপন সহ নানাবিধ আকর্ষণীয় অফারের লাভও ওঠানো যায়। ফলে সামান্য কিছু ট্রানজ্যাকশন করে যদি রেস্তোরা কিংবা শপিং সেন্টারে ডিসকাউন্টের সাথে কেনাকাটা করা যায় বা ক্যাশব্যাক হিসাবে কিছু টাকা পুনরায় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকে যায়, তবে কেউই এরূপ সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে ছাড়বেন না। আর মানুষের এই লোভের ফায়দা উঠিয়েই কিছু অসৎ ব্যক্তি প্রতারণার ফাঁদ পেতে বসেছে।
যেমন সম্প্রতি Paytm ব্যবহারকারীদের জন্য একটি বিশেষ সতর্কতা জারি করা হল। জানা গেছে, জনপ্রিয় এই অ্যাপ থেকে অর্থ লেনদেন বা বিদ্যুৎ বিল পেমেন্ট করার পরিবর্তে ক্যাশব্যাক দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা চুরি করছে স্ক্যামাররা। আর এই নয়া স্ক্যাম এতটাই চতুরতার সাথে করা হচ্ছে যে, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা হাপিস হয়ে গেলেও তার আভাস পাচ্ছে না প্রতারিতরা।
ক্যাশব্যাকের প্রলোভনে পা দিলেই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উধাও হতে পারে Paytm ইউজারদের
রিপোর্ট অনুযায়ী, এই নয়া স্ক্যামে প্রথমে পেটিএম ব্যবহারকারীদের কাছে একটি কল আসে। তারপর, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের পরিবর্তে তাকে মোটা অঙ্কের ক্যাশব্যাক দেওয়ার প্রলোভন দেওয়া হয়। এই ফাঁদে যদি একবার পা দিয়ে দেন কোনো ব্যক্তি, তবে ভিক্টিমের অজান্তেই ফোনে থাকা যাবতীয় ব্যক্তিগত তথ্য হস্তগত করে এবং সেগুলিকে কাজে লাগিয়ে টাকা চুরি করে নেয় স্ক্যামাররা।
বিষয়টা আরেকটু বিশদে বলি, প্রতারক প্রথমে পেটিএম ব্যবহার করেন এমন ব্যক্তিকে ফোন করে বলে যে, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার শেষ দিন আজ। তাই পেটিএম ব্যবহার করে যদি অনলাইনে পেমেন্ট করা হয়, তবে ভারী ক্যাশব্যাক মিলবে। ভিক্টিম স্ক্যামারের কথা মেনে অনলাইনে বিল পরিশোধ করে দিতে রাজি হয়ে গেলে, তার ফোনে একটি OTP পাঠানো হয়। এবার এই OTP চেয়ে নেওয়া হবে ভিক্টিমের কাছ থেকে। একই সাথে, ক্যাশব্যাক দেওয়ার নামে স্ক্যামাররা মোবাইলে একটি অ্যাপ ইন্সটল করতেও বলে। আর একবার যদি ডিভাইসে এই অ্যাপ ইনস্টল করা হয়, তারপর প্রতারক ভিক্টিমের মোবাইলে সহজেই 'ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক' বা VPN সার্ভার কানেক্ট করতে সক্ষম হয়। আর এমনটা করেই পরিচয় লুকিয়ে প্রতরিত ব্যক্তির ফোনে থাকা যাবতীয় তথ্যাদি স্থানান্তর করে নের প্রতরকরা।