পুজোর আগে KTM 390 Duke কিনে সবাইকে চমকে দিন, সেকেন্ড হ্যান্ড মডেল কতটা উপযুক্ত হবে? জানুন

By :  techgup
Update: 2022-09-20 11:46 GMT

প্রিমিয়াম মোটরসাইকেল হিসেবে অন্যতম জনপ্রিয় এন্ট্রি মডেল হল KTM 390 Duke। বাজারে উপলব্ধ সবচেয়ে শক্তিশালী সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন সমৃদ্ধ মোটরসাইকেলগুলির মধ্যে একটি এটি। বাজেটের মধ্যে
পারফরম্যান্স বাইক হিসাবে অন্যতম সেরা অপশন। যদিও BS-6 নির্গমন বিধি চালু হওয়ার পর থেকে অন্যান্য সমস্ত মডেলের মতো দাম বেড়েছে 390 Duke এরও। বর্তমানে একটি নতুন মডেলের অন রোড প্রাইস ৩ লাখ টাকার আশেপাশে।

তাই বাজেট যদি কম হয় সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ঢুঁ মারতে হবে পুরনো মোটরসাইকেল কেনাবেচার দোকানে। একটি সেকেন্ড হ্যান্ড 390 Duke মোটামুটি ভাবে তার অবস্থার উপর নির্ভর করে ১ লাখ থেকে ২.৫ লাখ টাকার মধ্যে পাওয়া সম্ভব। তবে তার আগে আপনাকে জেনে নিতে হবে এই বাইকের হাতফেরতা মডেলের ভাল ও মন্দ দিকগুলি। এই প্রতিবেদনে সেগুলিই আলোচনা করা হল।

KTM 390 Duke ভালো দিক

কেটিএম ৩৯০ ডিউক তীক্ষ্ম, হালকা, এবং অত্যন্ত ক্ষীপ্র। বাইকটির হ্যান্ডলিং খুব শার্প এবং যথাযথ। ডিজাইন প্রথম দর্শনের নজর কেড়ে নেয়। এর সামনের ও পিছনের টায়ারগুলির মাটি কামড়ে ধরার ক্ষমতা খুব উন্নত। উঁচু-নিচু কিংবা সমতল সব জায়গাতেই সমান দক্ষতায় চলতে সক্ষম এটি। এই স্পোর্টস বাইকের ফিচার্সের তালিকাও সমীহ আদায় করে নেয়।

কেটিএম ৩৯০ ডিউক এর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে রয়েছে টিএফটি কালার ডিসপ্লে, রাইডিং মোড, স্লিপার ক্লাচ, রাইড-বাই-ওয়্যার প্রযুক্তি, এলইডি লাইট ও আরো অনেক কিছু। বাইকটিকে চলার শক্তি যোগায় ৩৭৩.২ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিন। যা সর্বোচ্চ ৪৩ বিএইচপি ক্ষমতা ও ৩৭ এনএম টর্ক উৎপাদনে সক্ষম। সাথে রয়েছে সিক্স স্পিড গিয়ারবক্স। ইঞ্জিনটি বেশ স্মুথ ও রিফাইন্ড। পারফরম্যান্স খুব আনন্দদায়ক।

KTM 390 Duke খারাপ দিক

মূল সমস্যা হল উল্লিখিত মডার্ন ফিচার্সের মধ্যে সিংহভাগ কেটিএম ৩৯০ ডিউক এর দ্বিতীয় প্রজন্মের মডেলে দেখা যায়। তাই কয়েক বছরের পুরনো সংস্করণের মডেল কিনলে উপযুক্ত বৈশিষ্ট্যগুলি হাতছাড়া হতে পারে। আবার অপেক্ষাকৃত নতুন মডেলের দামও বেশি হবে। এছাড়া হাই-পারফরম্যান্সের
কারণে ৩৯০ ডিউক চালাতে গিয়ে খানিকটা অসুবিধায় পড়তে হতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রথমে আস্তে চালিয়ে ক্ষমতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেব আমরা।

Tags:    

Similar News