ফোন জেতার মেসেজ পেয়েছেন? সাবধান হোন, লক্ষ লক্ষ টাকা হারাচ্ছেন অভিনেত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ
বর্তমানে অনলাইন স্ক্যামগুলি দ্রুত গতিতে বেড়ে চলেছে। আর শুধু সাধারন মানুষ নয়, এখন প্রভাবশালী ব্যক্তিরাও এই কেলেঙ্কারীর শিকার হচ্ছেন। সম্প্রতি, মুম্বাইয়ের যোগেশ্বরী নিবাসী, এক ৪১ বছর বয়সী টিভি অভিনেত্রী একটি জালিয়াতির শিকার হয়ে ১৬,০০০ টাকা হারিয়েছেন। অভিনেত্রী জানান যে, তিনি ফোনে একটি মেসেজ পান, যাতে দাবি করা হয়, তাকে সহ আরো ৯৯৯ জনকে একটি বিশেষ পুরস্কার দেবার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। আর তিনি পুরস্কার হিসেবে ১.৪ লাখ টাকার একটি ফোন পাবেন। এই খবরে উত্তেজিত হয়ে তিনি ওই মেসেজে দেওয়া লিঙ্কে ক্লিক করেন। এর কিছুক্ষণ পরে, এক ব্যক্তি বিমানবন্দরের কাস্টমস অফিসার পরিচয় দিয়ে ওই অভিনেত্রীকে ফোন করেন এবং তিনি যে প্রতারক নন তার প্রমাণ স্বরূপ ব্যক্তিটি মহিলাকে একটি ছবিও পাঠান।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুসারে, কথোপকথনের সময় স্ক্যামার ওই মহিলাকে পাঠানো কুরিয়ার কোড শেয়ার করতে বলেন এবং ট্যাক্স পেমেন্ট হিসাবে ৪০০০ টাকা ট্রান্সফার করতেও বলেন। এরপর আবার মোবাইল ফোনের আইডি তৈরি করার জন্য অতিরিক্ত ১২,০০০ টাকা ট্রান্সফার করতে বলা হয়, আর তখনই অভিনেত্রীর মনে সন্দেহ জাগে। এরপর ১৬ জুন ওই অভিনেত্রী, কেএ খান, ওশিওয়ারা পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করে ওই অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করেন।
অপরদিকে একই জালিয়াতির শিকার হয়েছেন পশ্চিম খার নিবাসী ৪৩ বছর বয়সী এক গৃহবধূও। পুরস্কার হিসেবে একাধিক বিলাসবহুল জিনিস সহ দামী ফোন জিতে নেওয়ার লোভে পড়ে তিনি হারিয়েছেন ১.৬৫ লক্ষ টাকা। স্ক্যামারদের তরফ থেকে তাকে বলা হয়, ১০০০ জন ভাগ্যবান বিজেতার মধ্যে তিনিও একজন। এই শুনে মহিলা একটি মোবাইল নম্বরে ২০০০ টাকা ট্রান্সফার করে এবং তাকে একটি টোকেন নম্বর দেওয়া হয়।
প্রতারক তাকে জানায় যে, মোবাইল ফোন ছাড়াও তিনি উপহার প্যাকেজের অংশ হিসেবে একটি সোনার নেকলেস, সোনার আংটি, চুড়ি এবং নগদ টাকা জিতেছেন। আর পুরষ্কার দাবি করার জন্য, তাকে ট্যাক্স দিতে হবে। তাকে আরও প্রতারিত করার জন্য, প্রতারক নিজেকে কাস্টমস অফিসার হিসাবে পরিচয় দেয় আর প্রধানমন্ত্রীর অফিসের লেটারহেডে প্রিন্টেড একটি লেটারও পাঠান। এরপর যখন ওই ভদ্রমহিলা বুঝতে পারেন যে তিনি প্রতারিত হয়েছেন, তখন তিনি স্থানীয় থানায় গিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
উভয় ক্ষেত্রেই স্ক্যামাররা দামি দামি পুরস্কার দেওয়ার নাম করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে টাকা দাবি করে তাদের প্রতারিত করছে। তাই এই ধরনের কোনো মেসেজ এলে কখনোই কোনো লিঙ্কে ক্লিক করবেন না এবং স্ক্যামারদের কথায় প্রভাবিত হয়ে কোনোরকম অর্থ প্রদান করবেন না।