কোন অ্যাডভেঞ্চার বাইক কিনলে লাভ বেশি, Royal Enfield Himalayan নাকি Yezdi Adventure?

By :  techgup
Update: 2022-09-14 11:59 GMT

জানুয়ারিতে Yezdi যে তিনটি মোটরসাইকেলের হাত ধরে ভারতের বাজারে প্রত্যাবর্তন করেছিল, সেগুলির
মধ্যে Adventure মডেলটির প্রতি দুঃসাহসিক অভিযানে বেড়িয়ে পড়া বাইকার সমাজ সবচেয়ে বেশি আকর্ষিত হয়েছিল। সাম্প্রতিক সময়ে বাইকে চেপে দূরদূরান্ত ভ্রমণের প্রবণতা থেকে অ্যাডভেঞ্চার বাইকের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। আর এই সেগমেন্টে জনপ্রিয়তার শীর্ষে Royal Enfield Himalayan। তাকে দিকপালও বলা চলে৷ তবে Yezdi Adventure এর আগমনে প্রতিযোগিতা যে তীব্র করেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই প্রতিবেদনে রয়্যাল এনফিল্ড হিমালয়ান ও ইয়েজদি অ্যাডভেঞ্চারের মধ্যে তুলনা রইল। যাতে দুই ধুরন্ধরের লড়াইয়ে কে এগিয়ে, তা পাঠকরা বুঝতে সুবিধা হয়।

Royal Enfield Himalayan vs Yezdi Adventure: ডিজাইন

হিমালয়ান সাত বছরের পুরনো মডেল হলেও ডিজাইনের দিক থেকে তাকেই বেশ খানিকটা অনুকরণ করেছে ইয়েজদি অ্যাডভেঞ্চার। একঝলকে দেখলে, উভয় বাইকের নকশা একই রকম মনে হতে পারে। দুই মডেলের ক্ষেত্রেই সামনের অংশ ও ফুয়েল ট্যাংককে প্রতিঘাত থেকে রক্ষা করার জন্য লোহার কাঠামো দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। অ্যাডভেঞ্চার বাইক যেমন হওয়া উচিত তেমনই  সামনে উঁচু উইনশিল্ড, স্পোক যুক্ত বড় চাকা, সবকিছুই রয়েছে রয়্যাল এনফিল্ড হিমালয়ান এবং ইয়েজদি অ্যাডভেঞ্চারে।

Royal Enfield Himalayan vs Yezdi Adventure: স্পেসিফিকেশন

ইঞ্জিন স্পেসিফিকেশনের নজর দিলে আসল পার্থক্য অনুভূত হবে। রয়্যাল এনফিল্ড হিমালয়ানে ৪১১ সিসির লম্বা স্ট্রোক যুক্ত অয়েল কুল্ড ইঞ্জিন দেওয়া হয়েছে। ৫ স্পিড ট্রান্সমিশন যুক্ত এই ইঞ্জিনের সর্বাধিক ক্ষমতা ২৪.৩ বিএইচপি ও সর্বোচ্চ টর্ক ৩২ এনএম। অন্যদিকে, ইয়েজদি অ্যাডভেঞ্চারে চলার শক্তি যোগায় ৩৩৪ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার, লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিন। ৬ স্পিড গিয়ার বক্স যুক্ত এই ইঞ্জিনটি সর্বোচ্চ ৩০.২০ পিএস ক্ষমতা ও ২৯.৯ এনএম টর্ক উৎপন্ন করতে সক্ষম। প্রসঙ্গত, Jawa Perak মডেলে ব্যবহৃত ইঞ্জিন ইয়েজদি তাদের প্রতিটি বাইকেই ব্যবহার করেছে। তবে অ্যাডভেঞ্চার মডেলটিতে এই ইঞ্জিনের টিউনিং আলাদা। বেশি স্ট্রোক থাকায় হিমালয়ের নিম্ন অভিমুখী টর্ক অনেক বেশি এবং দীর্ঘ রাস্তা চলাচলের উপযুক্ত।

Royal Enfield Himalayan vs Yezdi Adventure: ফিচার্স

ফিচার্সের দিক থেকে বিচার করলে ইয়েজদি অ্যাডভেঞ্চার অনেক বৈশি আপডেটেড ও নতুন মডেল হওয়ার কারণে হিমালয়ের থেকে কয়েক গুণ এগিয়ে। এলইডি হেডলাইট, সুইচেবল এবিএস সিস্টেম, ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার এবং নেভিগেশন সিস্টেম, ব্লুটুথ এই সবকিছুই মিলবে এতে। অন্যদিকে হিমালয়ানে রয়েছে সুইচেবল সিস্টেম, হ্যালোজেন হেডলাইট, ট্রিপার নেভিগেশন সিস্টেম ও কম্পাস। তবে অ্যাডভেঞ্চারের তুলনায় হিমালয়ান অনেক বেশি অ্যাক্সেসরিজ অফার করে।

Royal Enfield Himalayan vs Yezdi Adventure: দাম

ইয়েজদি অ্যাডভেঞ্চারের দাম রয়্যাল এনফিল্ড ইমালয়ানের চেয়ে সামান্য কম। বাইকটির এক্স শোরুম মূল্য ২.১৩ লাখ থেকে শুরু করে ২.১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত। যদিও এই দামের মধ্যে ফুয়েল ট্যাঙ্কের চারপাশের পাইপ ঘেরা গার্ড ধরা হয়নি। এর জন্য গ্রাহকদের অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হবে। অন্যদিকে রয়্যাল এনফিল্ড হিমালয়ানের প্রাইস রেঞ্জ ২.১৫ লাখ থেকে ২.২২ লাখ টাকা (এক্স শোরুম মূল্য ) পর্যন্ত।

Tags:    

Similar News