Royal Enfield এর অন্য 650cc বাইক থেকে কতটা আলাদা নতুন Super Meteor 650? জানুন এক ক্লিকে
গত ৮ নভেম্বর ইতালির EICMA মোটরসাইকেল শো-র প্রথম দিনেই রয়্যাল এনফিল্ড (Royal Enfield) তাদের ফ্ল্যাগশিপ ক্রুজার মডেল Super Meteor 650-র উপর থেকে পর্দা সরিয়েছে। Hunter 350-র পর এটি ভারতে লঞ্চের জন্য জোরকদমে প্রস্তুতি নিচ্ছে সংস্থা। বাইকটি রয়্যাল এনফিল্ডের সবচেয়ে দামি মডেল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে এটি। এমন কিছু ফিচার এতে দেওয়া হয়েছে যা সংস্থার ইতিহাসে এই প্রথম। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় এলইডি হেডল্যাম্প এবং আপসাইড ডাউন ফর্ক। এদিকে সংস্থার লাইনআপে ইতিমধ্যেই বিপুল জনপ্রিয় ৬৫০ সিসির আরেক মডেল Interceptor 650। এই মোটরসাইকেল দুটির মধ্যে পার্থক্য কী, আসুন বিশদে জেনে নেওয়া যাক।
Royal Enfield Super Meteor 650 vs Interceptor 650 ডিজাইন, চ্যাসিস এবং সাসপেনশন
Super Meteor 650 হল রয়্যাল এনফিল্ডের প্রথম মডেল যাতে স্ট্যান্ডার্ড ডুয়েল রিয়ার শকের পাশাপাশি ৪৩ মিমি ইউএসডি ফ্রন্ট ফর্ক দেওয়া হয়েছে। ইঞ্জিনটি একটি টিউবুলার স্টিল ফ্রেমের অভ্যন্তরে প্রতিস্থাপিত, যার প্রধান ফ্রেমটি সম্পূর্ণ নতুন। আবার হ্যান্ডেলবারটি সোয়েপ্ট ব্যাক এবং ফুটপেগের অবস্থান কিছুটা এগিয়ে। সে কারণে এতে আরামদায়ক রাইডিংয়ের অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে। এতে উপস্থিত একটি টিয়ার ড্রপ আকৃতির ১৫.৭ লিটার ফুয়েল ট্যাঙ্ক, যা বাইকটি ক্লাসিক শোভা বৃদ্ধি করেছে।
অন্যদিকে, Interceptor 650-এ ডুয়েল ক্র্যাডেল টিউবুলার স্টিল ফ্রেম ব্যবহার করা হয়েছে। ফুটপেগের অবস্থান সামনে এবং কিছুটা উপর দিকে হওয়ায় এতে রয়েছে রিল্যাক্সড সিটিং পজিশন। এছাড়া রয়েছে উঁচু হ্যান্ডেলবার। সাসপেনশন সামলাতে সামনে ৪১ মিমি টেলিস্কোপিক ফর্কের সাথে ১১০ মিমি ট্রাভেল এবং পেছনে ৮৮ মিমি টুইন কয়েল ওভার শক উপস্থিত। আবার এর গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স বেশি ১৭৪ মিমি, যেখানে Super Meteor 650-তে রয়েছে ১৩৫ মিমি।
Royal Enfield Super Meteor 650 vs Interceptor 650 হুইল ও ব্রেক
Interceptor 650 ১৮-১৮ ইঞ্চি স্পোক হুইলে ছোটে। এছাড়া সামনে ও পেছনে যথাক্রমে ৩২০ মিমি ও ২৪০ মিমি ডিস্ক ব্রেক রয়েছে। যেখানে Super Meteor 650 ১৯-১৬ ইঞ্চি স্পোক অ্যালয় হুইল সমেত এসেছে। ব্রেকিং এর দায়িত্ব সামলাতে সামনে ৩২০ মিমি এবং পেছনে ৩০০ মিমি ডিস্ক ব্রেক দেওয়া হয়েছে।
Royal Enfield Super Meteor 650 vs Interceptor 650 ইঞ্জিন এবং ট্রান্সমিশন
Super Meteor 650 vs Interceptor 650 উভয় মোটরসাইকেলেই রয়েছে একটি ৬৪৮ সিসি প্যারালাল টুইন ইঞ্জিন। যা থেকে ৭,২৫০ আরপিএম গতিতে ৪৭ এইচপি শক্তি এবং ৫,২৫০ আরপিএম গতিতে ৫২ এনএম টর্ক উৎপন্ন হয়। ইঞ্জিনের সাথে সংযুক্ত একটি ৬-স্পিড গিয়ারবক্স। অনুমান করা হচ্ছে ক্রুজার মডেলটিতে সামঞ্জস্য রেখে ইঞ্জিন টিউন করেছে সংস্থা।
Royal Enfield Super Meteor 650 vs Interceptor 650 ভ্যারিয়েন্ট
Royal Enfield Super Meteor 650 দুটি ভ্যারিয়েন্টে আসবে – স্ট্যান্ডার্ড এবং ট্যুরার। পরেরটির সাথে প্রথমটির লম্বা উইন্ড স্ক্রিন এবং ব্যাকসিট সাপোর্টে তারতম থাকবে। এছাড়াও, ক্রুজার বাইকটি তিনটি কালার স্কিমে হাজির হবে – অ্যাস্ট্রাল সেলেস্টিয়াল এবং ইন্টারস্টেলার। প্রথম দুটি স্ট্যান্ডার্ড মডেলে উপলব্ধ। যেখানে ইন্টারস্টেলার স্কিমটি টুরার ভ্যারিয়েন্টের সাথে মিলবে। অন্যদিকে, Interceptor 650 তিনটি ভ্যারিয়েন্টে বেছে নেওয়া যায় – স্ট্যান্ডার্ড, কাস্টম এবং ক্রোম। এদের মধ্যে রঙের পার্থক্য ছাড়া আর সবই এক।