Smartphone battery boost: মোবাইল ফোনের ব্যাটারি লাইফ বাড়ান এই সহজ পদ্ধতিতে, আজই জেনে নিন
একটি নতুন ফোন কেনা আগে আমরা প্রায় প্রত্যেকেই সেটির প্রসেসর, ক্যামেরার গুণমান, সাউন্ড কোয়ালিটির পাশাপাশি ব্যাটারি ব্যাকআপ সম্পর্কেও নিশ্চিত হই। কেননা, ফিচার যদি মোবাইলের মস্তিষ্ক হয়, তাহলে ব্যাটারি হল তার আত্মা। তাই ফোনের ব্যাটারি ভালো হওয়া সর্বাধিক জরুরি। কারণ এটিই স্মার্টফোনকে দীর্ঘায়ু প্রদান করে। তাই বর্তমানে স্মার্টফোন নির্মাতা সংস্থাগুলি ফাস্ট চার্জিং, পাওয়ার মোডের মতো লেটেস্ট টেকনোলজির পাশাপাশি হ্যান্ডসেটের ব্যাটারি ক্যাপাসিটি বাড়ানোর দিকেও মনোনিবেশ করেছে। কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও অনেক সময়ে দেখা যায় মোবাইলের ব্যাটারি দ্রুত নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। এরূপ ব্যাটারি ড্রেনেজের জন্য গেমিং, অনলাইন মিটিং, ই-লার্নিং, বা মুভি ডাউনলোডের মতো কাজগুলি বিশেষভাবে দায়ী হলেও, এগুলি ব্যতীত বেশ কয়েকটি ছোটোখাটো কারণবশত ফোনের ব্যাটারি দ্রুত শেষ হতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনিও যদি ফোনের দ্রুত ব্যাটারি শেষ হওয়ার সমস্যায় ভোগেন, তাহলে আজ আমরা এমন ৫টি উপায় সম্পর্কে আপনাদের জানাবো যেগুলিকে অনুসরণ করলে স্মার্টফোনের ব্যাটারিলাইফ কিছুটা হলেও বাড়ানো যাবে। চলুন স্মার্টফোনের ব্যাটারি লাইফ বুস্ট করার উপায়গুলি জেনে নেওয়া যাক এবার…
মোবাইল ফোনের ব্যাটারি লাইফ বাড়ানোর উপায়
১. ভাইব্রেশন মোড অফ রাখুন
মোবাইলে কাজ করার সময়ে তাতে কোনো কল বা মেসেজ নোটিফিকেশনের এলে যথেষ্টই বিরক্তি জাগে। তাই অনেকেই ফোনে ভাইব্রেশন মোড অন রাখতে পছন্দ করেন। কিন্তু আপনারা কি জানেন যে, ফোন রিং হওয়ার চাইতে ভাইব্রেট হলে ব্যাটারি বেশি পরিমাণে ক্ষয় হয়। তাই খুব প্রয়োজন না হলে ফোনের ভাইব্রেশন মোড অফ রাখার চেষ্টা করুন। এতে স্মার্টফোনের ব্যাটারি লাইফ কিছুটা হলেও দীর্ঘস্থায়ী হবে।
২. ব্ল্যাক ওয়ালপেপার রাখুন
ব্ল্যাক ওয়ালপেপার আপনার স্মার্টফোনের ব্যাটারি লাইফ বাড়াতে সক্ষম। তথ্যটি অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি! আপনার স্মার্টফোনে যদি অ্যামোলেড ডিসপ্লে থাকে, তাহলে ডার্ক বা গাঢ় রঙের ওয়ালপেপার ব্যবহার করার মাধ্যমে ফোনের ব্যাটারিকে খানিকটা দীর্ঘস্থায়ী করা যেতে পারে। এর কারণ হল, অ্যামোলেড ডিসপ্লের পিক্সেল কেবল উজ্জ্বল রঙগুলি আলোকিত করতে ব্যাটারি পাওয়ার ব্যবহার করে। তাই ডার্ক ওয়ালপেপার দিলে ব্যাটারি খরচ অনেক কম হবে। আরও সোজা ভাষায় বললে, আপনার ফোনের ওয়ালপেপার যত ব্রাইট হবে তত বেশি ব্যাটারি খরচ হবে। তাই ব্যাটারি লাইফ বাড়ানোর জন্য ব্ল্যাক রঙের ওয়ালপেপার ব্যবহার করুন।
৩. অব্যবহৃত ফিচারগুলি অফ রাখুন
স্মার্টফোনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফিচারগুলির মধ্যে কয়েকটি হল - ব্লুটুথ, জিপিএস, ওয়াই-ফাই, মোবাইল ডেটা এবং হটস্পট। এগুলি আমাদের দ্বারা ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হলেও, সবসময় কাজে লাগে না। তাই প্রয়োজন না পড়লে এই ফিচারগুলিকে অফ রাখুন, অযথা এগুলিকে অন করে রাখবেন না। কেননা, এই ফিচারগুলি আপনার ফোনের ব্যাটারি শেষ করতে পারে। আর কোনো ভাবে যদি উক্ত ফিচারগুলি অন থাকার কারণে ফোনের ব্যাটারি লো হয়ে যায়, তবে 'ব্যাটারি সেভ' মোড বা 'এয়ারপ্লেন' মোড এনাবল করার মাধ্যমে আপনারা ব্যাটারি লাইফ বেশ কিছুটা সাশ্রয় করতে পারবেন।
৪. অটো স্ক্যান অপশন টার্ন অফ করুন :
আমরা যাতে প্রতি মুহূর্তে লেটেস্ট খবরা-খবর পেতে থাকি তার জন্য, জিমেইল, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ, ক্যালেন্ডার ইত্যাদি অ্যাপগুলি স্বয়ং রিফ্রেশ হতে থাকে। যদিও ব্যাক-এন্ডে চলতে থাকা এই অটো-রিফ্রেশ বা অটো-স্ক্যানের জন্য মোবাইল ব্যাটারি খরচও অনেকটা বেড়ে যায়। তাই, ডিভাইসের ব্যাটারি লাইফ বুস্ট করতে আপনারা অ্যাপগুলির অটো-স্ক্যান ফিচার অফ করে দিতে পারেন। এর জন্য আপনাদের, স্মার্টফোনের Settings -এ থাকা Google Account অপশনে যেতে হবে। তারপর, Auto-Sync অপশনকে ডিজেবল করে দিতে হবে।
৫. অন-স্ক্রিন উইজেট সরান
অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম অনেক ধরণের উইজেট (widget) নিয়ে গঠিত। এই কার্যকরী উইজেটগুলির মাধ্যমে আমরা স্মার্টফোনের ডিসপ্লেতে থাকা নানাবিধ অ্যাপ্লিকেশনকে ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু, এগুলি মোবাইলের ব্যাটারিকে দ্রুত নিঃশেষও করে দেয়। তাই যে সকল উইজেট আপনাদের কাজে লাগে না, সেগুলিকে অবিলম্বে রিমুভ বা সরিয়ে দিন মোবাইলের থেকে। এমনটা করলে ব্যাটারি কম খরচ হবে।