Social Media: সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের পরিচয় শনাক্ত করার কথা ভাবছে না কেন্দ্র
সামাজিক মাধ্যমে (Social Media) ভুয়ো খবর এবং ঘৃণা ছড়ানোর কার্যকলাপ মাত্রাতিরিক্তভাবে বৃদ্ধি পেলেও এখনই সেখানে উপস্থিত সব ব্যবহারকারীর পরিচয় চিহ্নিত করার পথে হাঁটছেনা কেন্দ্রীয় সরকার। লোকসভায় কংগ্রেস ও ডিএমকে প্রতিনিধিদের প্রশ্নের উত্তরে এমনটাই জানালেন সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি ও বৈদ্যুতিন প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর (MoS Electronic and IT Rajeev Chandrasekhar)। তার কথায়, ইন্টারনেটকে মুক্ত, সুরক্ষিত এবং আরো ভরসাযোগ্য করে তুলতে সরকার গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে (Intermediary Guidelines and Digital Media Ethics Code) বেশ কিছু বদল আনে। বর্তমানে সেই পরিবর্তিত আইনকে অবলম্বন করেই তারা সামাজিক মাধ্যমে ভুয়ো এবং হিংসাপূর্ণ খবরের প্রচার-প্রসার রোধের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভবিষ্যতেও তাদের এই প্রচেষ্টা জারি থাকবে বলে মন্ত্রী জানান।
এখনই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের পরিচয় শনাক্ত করার কথা ভাবছে না কেন্দ্র
আসলে এদিন লোকসভার কংগ্রেস সদস্য আব্দুল খালেক সোশ্যাল মিডিয়ায় বাড়তে থাকা ফেক বা ভুয়ো হিংসাপূর্ণ খবর এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তার কথার সঙ্গে সহমত হয়েই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর উল্লেখ করেন যে এই মুহূর্তে সরকার বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে উপস্থিত কোটি কোটি ইউজারের পরিচয় শনাক্ত করার কথা ভাবছে না। তবে নতুন তথ্যপ্রযুক্তি আইনকে হাতিয়ার করে এ ধরনের ঘটনার বাড়বাড়ন্ত রুখতে তারা যে সদা তৎপর, সেটাও মন্ত্রীর বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে।
বলে রাখি, পরিবর্তিত তথ্যপ্রযুক্তি আইন অনুযায়ী সামাজিক মাধ্যমে ভুয়ো, উস্কানিমূলক বা হিংসাপূর্ণ কনটেন্ট ছড়ালে প্রশাসন সর্বাগ্রে সেই কনটেন্টের জন্মদাতা বা সৃষ্টিকারীকে চিহ্নিত করবে। এরপর তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে যা তাকে বড়সড় শাস্তির সম্মুখীন করতে পারে। বিশেষ করে কোনো পোস্টের দ্বারা ভারতের সার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতা আহত হলে তদন্তের স্বার্থে প্রথমেই অপরাধীকে আটক করা হবে বলে লোকসভায় রাজীব চন্দ্রশেখর জানিয়েছেন।
এছাড়াও লোকসভার অপর এক কংগ্রেস সদস্য মনীশ তেওয়ারির প্রশ্নের উত্তরে বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জানান, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের পরিচয় শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে তারা আপাতত ধীরে চলো নীতিতে বিশ্বাসী। বিশেষত সামাজিক মাধ্যমের প্রাইভেসির প্রশ্নে সরকার এই মুহূর্তে সব দিক বজায় রেখে চলতে চাইছে। তবে তার মানে অবশ্য এই নয় যে সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ অপরাধমূলক কাজকর্ম চালিয়ে গেলে সরকার ও প্রশাসন চুপ করে বসে থাকবে।