Tata Jet Edition: বিজনেস জেটের লাক্সারি থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে তিন জনপ্রিয় গাড়ির নতুন মডেল লঞ্চ করল টাটা মোটরস
ভারতে এসইউভি গাড়ির প্রতি মানুষের উৎসাহ বেড়েই চলেছে। যে সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইছে না গাড়ি সংস্থাগুলি। নিত্যনতুন মডেল এবং তাদের বিভিন্ন স্পেশাল এডিশন লঞ্চ করে ক্রেতাদের মাতিয়ে রাখছে তারা। তেমনই এবার দেশের অটোমোবাইল জায়ান্ট টাটা মোটরস (Tata Motors) তাদের তিন জনপ্রিয় গাড়ির গাড়ির Jet Edition মডেল লঞ্চ করল - Tata Nexon, Harrier এবং Safari। সংস্থার দাবি, বিজনেস জেটের লাক্সারি থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই এদের আত্মপ্রকাশ। জেট এডিশনে গাড়িগুলির দাম যথাক্রমে ১২.১৩ লক্ষ টাকা, ২০.৯০ লক্ষ টাকা ও ২১.৩৫ লক্ষ টাকা থেকে শুরু হচ্ছে। উল্লেখ্য, এই নয়া এডিশন প্রতিটি এসইউভির টপ এন্ড ভার্সন XZ+-এর উপর ভিত্তি করে এসেছে।
এর আগে Nexon, Harrier এবং Safari-র Dark ও Kaziranga এডিশন লঞ্চ করেছিল টাটা। সেই তালিকায় ফের যুক্ত হল নতুন নাম। নেক্সনের জেট এডিশনের দাম ১২.১৩ থেকে ১৪.০৮ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম)। হ্যারিয়ারের জেট এডিশনের দুই ট্রিমের মূল্য ২০.৯০ ও ২১.৪৫ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম)। আর জেট এডিশনে টাটা সাফারির মূল্য ২১.৪৫ লক্ষ থেকে শুরু করে ২২.৬৫ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম) পর্যন্ত রাখা হয়েছে।
Tata Jet Edition নতুন কালার স্কিম
তিনটি মডেলের জেট এডিশনেই একটি রঙের বিকল্প সাধারণ, তা হল ‘স্টারলাইট’। ব্রোঞ্জ বডির সাথে ডুয়েল টোন পেইন্ট ফিনিশ এবং একটি সিলভার রুফ আছে। অধিকন্তু এসইউভি ব্ল্যাক অ্যালয় এবং সামনে ও পেছনে সিলভার স্কিড প্লেট সহ হাজির হয়েছে। জেট এডিশনের অন্দরমহলে নতুন হোয়াইট এবং ব্ল্যাক ডুয়েল টোন স্কিম নজরে পড়বে। সাথে রয়েছে ব্রোঞ্জ ট্রিম এবং স্টিচিং।
Tata Safari & Harrier Jet Editions-এ অতিরিক্ত সুরক্ষা
সুরক্ষাজনিত ফিচারের মধ্যে গাড়ি দুটির XZ+ ভ্যারিয়েন্টে যে ফিচারগুলি অফার করা হয়েছে, Safari & Harrier জেট এডিশনে তার চাইতেও বেশি ফিচার্স রয়েছে। যেমন ড্রাইভার ড্রাওজিনেস এলার্ট, প্যানিক ব্রেক এলার্ট এবং ইম্প্যাক্ট ব্রেকিং এলার্ট উল্লেখযোগ্য। অতিরিক্ত ফিচারের মধ্যে প্রতিটি সারিতে ইউএসবি সি-টাইপ চার্জার, সাফারিতে নতুন হেডরেস্ট, চার চাকায় ডিস্ক ব্রেক এবং ইলেকট্রনিক পার্কিং ব্রেক রয়েছে। নেক্সনে অফারের তালিকাটি এতটা সুদীর্ঘ নয়। তবে প্রতিটি ইউএসবি মডেলই ওয়্যারলেস চার্জার সহ এসেছে।
Tata Jet Editions মেকানিক্যাল স্পেসিফিকেশন
জেট এডিশনের কোনোটিতেই অবশ্য কারিগরি কোনো পরিবর্তন ঘটানো হয়নি। Nexon একটি ১.২ লিটার টার্বো পেট্রল ইঞ্জিন সহ এসেছে, যার আউটপুট ১২০ এইচপি। আবার ১.৫ লিটার ডিজেল ইঞ্জিনের আউটপুট ১১০ এইচপি। উভয় ইঞ্জিনের মডেল অটোমেটিক এবং ৬-স্পিড ম্যানুয়াল গিয়ারবক্স সহ বেছে নেওয়া যাবে।
অন্য দিকে, Harrier ও Safari গাড়ি দুটি আগের মতই ২.০ লিটার ডিজেল ইঞ্জিনে কেনা যাবে। ১৭০ এইচপি ক্ষমতার ইঞ্জিনের সাথে সংযুক্ত ৬-স্পিড ম্যানুয়াল এবং অটোমেটিক গিয়ারবক্স। প্রসঙ্গত, টাটা তাদের Punch এবং বেস্ট-সেলিং বৈদ্যুতিক গাড়ি Nexon EV-এর জেট এডিশন লঞ্চ করেনি। তবে Nexon EV গাড়িটি Dark এবং Punch মডেলটি Kaziranga এডিশনে অনেক আগেই বাজারে এসেছে।