নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ! ভারতে WhatsApp ব্যান মামলায় কি রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট

নিরাপত্তা ও ইউজারদের সুরক্ষা নিয়ে এর আগেও সমালোচিত হয়েছে WhatsApp। সম্প্রতি এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার মেসেজিং অ্যাপের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এদিন তার রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট।

Update: 2024-11-15 07:40 GMT

WhatsApp Ban in India

সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপের বিরুদ্ধে নিরাপত্তার গাফিলতির অভিযোগ করে একটি পিটিশন দায়ের করা হয়। ১৪ নভেম্বর সেই মামলার রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। ভারতে WhatsApp নিষিদ্ধ হবে কিনা তা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চললেও, এদিন সর্বোচ্চ আদালত সেই মামলা খারিজ করে দেয়। অভিযোগ, দেশের নয়া তথ্য প্রযুক্তি আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখছে না হোয়াটসঅ্যাপ। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এটি নিষিদ্ধ করার নির্দেশনা চাওয়া হয়।

কেরালার সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ওমানকুত্তন কেজি এই পিটিশন দায়ের করেন, যা খারিজ করে দেয় বিচারপতি এম এম সুন্দ্রেশ এবং অরবিন্দ কুমারের বেঞ্চ।

হোয়াটসঅ্যাপের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ করা হয়?

ওমানকুত্তন কেজি দাবি করেন, অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশনের একটি দুর্বলতার ফলে মিডিয়া ফাইলগুলির অননুমোদিত প্রতিস্থাপনের অনুমতি দিচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ। সংবিধানের ২১ অনুচ্ছেদের অধীনে নিশ্চিত করা নাগরিকদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন, জাতীয় স্বার্থ এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য এটি সম্ভাব্য হুমকি বলে দাবি করেছেন তিনি। পাশাপাশি এই দুর্বলতা যোগাযোগের গোপনীয়তা, অখণ্ডতা এবং নিরাপত্তা লঙ্ঘন করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে বলে যুক্তি দিয়েছেন ওই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার।

এই প্রথম আদালতে মেসেজিং অ্যাপের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তিনি তা নয়, এর আগে কেরালা হাইকোর্টে মামলাটি দায়ের করেন তিনি। তার দাবি, হোয়াটসঅ্যাপ যদি নিয়ম মেনে না চলে তাহলে এটি নিষিদ্ধ করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে এরকমই একটি আবেদন খারিজ করেছিল কেরালা হাইকোর্ট।

উক্ত আবেদনে হোয়াটসঅ্যাপকে ইন্টারমিডিয়ারি গাইডলাইনস এবং ডিজিটাল মিডিয়া এথিক্স কোড আইন, ২০২১ মেনে চলতে বলা হয়। এই আইনে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং এক্স-এর মতো সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলিকে বাধ্য করা হয় মেসেজের আসল উৎস খুঁজে বের করার জন্য। যা নিয়ে পরে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। এই আবেদনকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে পাল্টা পিটিশন দায়ের করে হোয়াটসঅ্যাপ।

Tags:    

Similar News