Xiaomi-র মুকুটে নতুন পালক, ভারতে বিক্রি ২০ কোটির বেশি স্মার্টফোন
শাওমি (Xiaomi) ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ২০১৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করে। আর তারপর থেকেই এশিয়ার বিভিন্ন দেশে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করে সংস্থাটি। ২০১৪ সালে Mi 3 ফ্ল্যাগশিপ হ্যান্ডসেটটির হাত ধরে ভারতীয় বাজারে পা রাখার পর, ২০১৯ সালে কোম্পানি ঘোষণা করেছিল যে, তারা পাঁচ বছরে ১০০ মিলিয়ন বা ১০ কোটি স্মার্টফোন বিক্রি করেছে। আর গতকাল (২০ জুলাই) Redmi 50i-এর লঞ্চ ইভেন্টে সংস্থা জানিয়েছে যে, তারা এখনও পর্যন্ত ভারতে ২০০ মিলিয়ন বা ২০ কোটি স্মার্টফোন সরবরাহ করতে সমর্থ হয়েছে।
ভারতে Xiaomi পার করলো তাদের ২০০ মিলিয়নের মাইফলক
আট বছরে ২০ কোটি ইউনিট স্মার্টফোন বিক্রি করা, সত্যিই শাওমির কাছে একটি বিরাট সাফল্য, যা দেখায় যে সংস্থাটি তাদের ডিভাইসগুলির মাধ্যমে এদেশের গ্রাহকদের কাছ থেকে কতটা জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পেরেছে। আর উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ভারতে প্রথম ১০০ মিলিয়ন স্মার্টফোন বিক্রির জন্য শাওমি পাঁচ বছর সময় নিলেও, পরের ১০০ মিলিয়নেরও বেশি ফোন বিক্রি করতে তারা মাত্র তিন বছরের কাছাকাছি সময় নিয়েছে।
এছাড়া, শাওমি এও প্রকাশ করেছে যে গত বছরে তাদের ব্র্যান্ডের অধীনে ১৫টি ৫জি স্মার্টফোন উন্মোচন করা হয়েছে। যদিও ভারতে ৫জি কানেক্টিভিটি এখনও চালু হয়নি, তবে ভারতীয় বাজারে ৫জি স্মার্টফোন লঞ্চ করার মাধ্যমে ৫জি কানেক্টিভিটির সম্পূর্ণ রোলআউটের পূর্বে একটি ড্রেস রিহার্সাল করা হচ্ছে। ৫জি কানেক্টিভিটি যুক্ত ডিভাইসের লঞ্চ এমআই (Mi) ফোনের বিক্রি বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, Xiaomi ফোনের দাম এবং বিল্ড কোয়ালিটির বিষয়ে আলাদা করে আর কিছু বলার দরকার রাখে না। ভারতে কোম্পানির উত্তরোত্তর সাফল্য বৃদ্ধিই প্রমাণ করে যে, তারা মূল্য এবং গুণমানের জন্য ক্রেতাদের কাছে কতটা গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে। এমনকি এদেশে Xiaomi টানা পাঁচটি ত্রৈমাসিক ধরে শীর্ষ স্মার্টফোন বিক্রেতার স্থানটি দখল করে রেখেছে।
উল্লেখ্য, Xiaomi India সম্প্রতি তাদের নেতৃত্বের রদবদলের বিষয়ে ঘোষণা করেছে। কোম্পানির চিফ অপারেটিং অফিসার মুরালিকৃষ্ণান বি আগামী ১ আগস্ট থেকে কোম্পানির প্রেসিডেন্ট পদে উন্নীত হয়েছেন। আশা করা হচ্ছে, এই রদবদলের ফলে সংস্থার বিক্রির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে।