বিপাকে Xiaomi, ভারতে ৬৫৩ কোটি টাকা কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ
শুল্ক ফাঁকির অপরাধে স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক সংস্থা Xiaomi India এবার বড়সড় শাস্তির সম্মুখীন হতে পারে। এজন্য ইতিমধ্যেই তাদের কাছে রাজস্ব বিভাগের শো-কজ নোটিস পৌঁছে গিয়েছে। তাছাড়া পুরো ঘটনার সত্যাসত্য অনুসন্ধানের জন্য সরকারের উপরমহল থেকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যা আলোচ্য সংস্থার সুনামের পক্ষে একেবারেই অনুপযুক্ত বলে প্রযুক্তিপ্রেমীদের ধারণা।
আসলে গোয়েন্দা দপ্তর মারফত কিছুদিন আগেই রাজস্ব বিভাগের কর্তারা Xiaomi'র শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রায় ৬৫৩ কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দেওয়া হয়েছে বলে প্রকাশ্যে আসে! এরপরেই সরকারি দায়িত্বপ্রাপ্তেরা নড়েচড়ে বসেন। তড়িঘড়ি করে ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্সের (সংক্ষেপে DRI) তরফ থেকে শাওমি ইন্ডিয়ার কাছে শো-কজ নোটিশ পৌঁছে দেওয়া হয়। এমনকি অর্থমন্ত্রকের পক্ষ থেকেও একটি বিবৃতিতে শাওমির শুল্ক ফাঁকি সম্পর্কে মন্তব্য করা হয়েছে।
এদিকে তদন্তে অগ্রসর হয়ে ডিআরআই (DRI) অনুসন্ধানকারীদের হাতে এমন কিছু তথ্যপ্রমাণ এসেছে, যা শাওমির অপকীর্তিকে সুনিশ্চিত করে। জানা যায় চুক্তিগত বাধ্যতার কারণে কোয়ালকম ইউএসএ (Qualcomm USA) এবং বেজিং শাওমি মোবাইল সফটওয়্যার কো লিমিটেড (Beijing Xiaomi Mobile Software Co Ltd.) সংস্থাদ্বয়কে প্রদত্ত রয়্যালটি এবং লাইসেন্স মূল্যের কথা আলোচ্য সংস্থাটি বেমালুম চেপে গিয়েছে! এভাবে ট্রানজাকশন ভ্যালু থেকে শেষোক্ত মূল্য দুটি বাদ দিয়ে কোটি কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকি দিলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে শাওমি ভারত যে বেশ বেকায়দায়, সেটা বলে দেওয়ার অপেক্ষা রাখেনা।
এরইমধ্যে অর্থমন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, শুল্ক ফাঁকি দিয়ে শাওমি ভারত ১৯৬২ সালের কাস্টমস আইনের ১৪ নং ধারা এবং ২০০৭ সালের কাস্টমস ভ্যালুয়েশন নীতি লঙ্ঘন করেছে। ফলে এহেন অপরাধের জন্য ভবিষ্যতে সংস্থাটিকে বড় শাস্তির মুখে পড়তে দেখলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই।
তবে অনুসন্ধান অগ্রসর হতেই বিপদ বাড়লেও শাওমি ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে তদন্তে সব ধরনের সহযোগিতার বার্তা দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে দেশের আইনের সঙ্গে মানিয়ে চলতে তারা যে একান্ত দায়বদ্ধ সেকথা সংস্থার বক্তব্যে উঠে এসেছে।