রিচার্জ প্ল্যানের দাম বৃদ্ধিতে গ্রাহকরা অখুশি নয়, কারণ সহ ব্যাখ্যা Airtel সিইও-র
এয়ারটেলের প্রধান জানিয়েছে, আমরা যা অনুমান করেছিলাম তার থেকেও কম গ্রাহক হারিয়েছি। বেশিরভাগ গ্রাহক দাম বৃদ্ধি নিয়ে খুব বেশি অসন্তুষ্ট নয়। এমনকি তারা রিচার্জ প্ল্যান ডাউনগ্রেড করেনি। দাম বৃদ্ধির পরও আগের মতোই তারা ২ জিবি ইন্টারনেট ডেটা প্ল্যান ব্যবহার করছে।
চলতি মাসের তৃতীয় কোয়ার্টারে অর্থাৎ জুলাইয়ে মোবাইল রিচার্জ প্ল্যানের দাম বাড়িয়েছিল Airtel। এর ফলে কিছু কিছু প্ল্যানের দাম ২১ শতাংশ পর্যন্ত ব্যয়বহুল হয়েছে। এরফলে যদিও সংস্থার গ্রাহক প্রতি আয় অর্থাৎ আরপিইউ বেড়েছে কিন্তু গত জুলাই ও আগস্ট মাসে এয়ারটেল লক্ষ লক্ষ গ্রাহক হারিয়েছে। তবে এটা নাকি প্রত্যাশার থেকে অনেক কম। এছাড়া গ্রাহকরা নাকি দাম বৃদ্ধির পড়েও আগের মতোই একই রিচার্জ প্ল্যান ব্যবহার করছে। এয়ারটেলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও গোপাল ভিত্তাল এমনটাই দাবি করেছেন।
শেয়ার হোল্ডারদের সাথে আলোচনায় এয়ারটেলের প্রধান জানিয়েছে, "আমরা যা অনুমান করেছিলাম তার থেকেও কম গ্রাহক হারিয়েছি। বেশিরভাগ গ্রাহক দাম বৃদ্ধি নিয়ে খুব বেশি অসন্তুষ্ট নয়। এমনকি তারা রিচার্জ প্ল্যান ডাউনগ্রেড করেনি। দাম বৃদ্ধির পরও আগের মতোই তারা ২ জিবি ইন্টারনেট ডেটা প্ল্যান ব্যবহার করছে। এ থেকে পরিষ্কার যে গ্রাহকদের মধ্যে দাম বৃদ্ধির প্রভাব খুব বেশি পড়েনি।"
উল্লেখ্য, প্ল্যান ডাউনগ্রেডের অর্থ আগে কোনো গ্রাহক যদি ২ জিবি ইন্টারনেট ডেটা প্ল্যান ব্যবহার করতো কিন্তু এখন সে ১.৫ জিবি ইন্টারনেট ডেটা প্ল্যান ব্যবহার করতে শুরু করেছে। অর্থাৎ দাম বা অন্যান্য কারণে আগের তুলনায় কম সুবিধার প্ল্যান ব্যবহার করারকে ডাউনগ্রেড বলে বোঝানো হয়েছে। এক্ষেত্রে এয়ারটেল ভেবেছিল যে দাম বৃদ্ধির কারণে বেশিরভাগ গ্রাহক এই কাজ করবে। তবে বাস্তবে তারা উল্টো দেখেছে।
এছাড়াও ভোপাল ভিত্তল বলেছেন, "আমরা আরও অনুমান করেছিলাম যে, গ্রাহকরা বেশি করে সিম সচল রাখার জন্য মিনিমাম রিচার্জ প্ল্যান বেছে নেবে। এক্ষেত্রেও আমরা ভুল অনুমান করেছিলাম। কারণ পরিসংখ্যান বলছে আগের মতোই সেকেন্ডারি সিম হিসেবে এয়ারটেল ব্যবহার হচ্ছে, আর যারা প্রাইমারি সিম হিসেবে এয়ারটেল ব্যবহার করত তারা ব্যবহার সচল রেখেছে।"