পার্বত্য অঞ্চলে চালু হল BSNL এর 4G পরিষেবা, Jio ও Airtel এখনও পৌঁছাতে পারেনি
অন্যান্য টেলিকম সংস্থার সাথে ক্রমাগত পাল্লা দিয়ে এগিয়ে চলেছে BSNL, সম্প্রতি ১৪,০০০ ফুট উঁচু প্রত্যন্ত অঞ্চলেও তারা পৌঁছে দিয়েছে 4G নেটওয়ার্ক।
আমরা সকলেই জানি, ভারতে এই মুহূর্তে চারটি টেলিকম অপারেটর থাকলেও, ক্রমাগত গ্রাহক হারিয়ে এই তালিকার একদম শেষে অবস্থান করছে BSNL। তবে জুলাই মাসে বাকি টেলকোগুলি শুল্কবৃদ্ধি করায় স্বাভাবিকভাবেই BSNL-এর গ্রাহক বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এই প্রতিযোগিতায় আবার ফিরে আসার জন্য সংস্থাটি তাদের নেটওয়ার্ক আরো শক্তিশালী করতে এবং দেশের সর্বত্র তাদের নেটওয়ার্ক পৌঁছে দিতে প্রাণপণ চেষ্টা শুরু করেছে। বর্তমানে এই রাষ্ট্রীয় টেলিকম সংস্থাটি দেশের এমন এমন জায়গায় নেটওয়ার্ক পৌঁছে দিচ্ছে, যেখানে অন্যান্য টেলকোগুলি এখনও পৌঁছতে পারেনি। আর তাদের এই কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় যোগাযোগমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া জানিয়েছেন, BSNL ইতিমধ্যেই ৩৫,০০০-এর বেশি 4G টাওয়ার ইন্সটল করেছে। আর আগামী বছরের জুনের মধ্যে তারা আরও ১ লক্ষ টাওয়ার ইন্সটল করার পরিকল্পনা করেছে।
সম্প্রতি টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ অর্থাৎ DoT নিশ্চিত করেছে যে, সংস্থাটি তাদের 4G নেটওয়ার্ক অরুণাচল প্রদেশের মালাপু থেকে লাদাখের ফোব্রং পর্যন্ত প্রসারিত করেছে, যা সমভূমি থেকে ১৪,৫০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত।
DoT আরো জানিয়েছে যে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থাটি ভারতের নাবী নামের এমন একটি গ্রামে 4G নেটওয়ার্ক পৌঁছে দিয়েছে, যেখানে এতদিন পর্যন্ত কোনোও রকম টেলিযোগাযোগ সুবিধা উপস্থিত ছিল না। আর BSNL-এর জন্যই উত্তরাখণ্ডের এই গ্রামের বাসিন্দারা প্রথমবার মোবাইল কানেকশন ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন।
BSNL বর্তমানে ভারতের ৯৮ শতাংশ স্থানে তাদের নেটওয়ার্ক পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও, তারা খুবই দ্রুততার সাথে 4G পরিষেবা প্রসারিত করতে চাইছে। কারণ, তারা আগামী বছরের মধ্যে দেশের সর্বত্র তাদের 5G আপগ্রেড যোগ্য 4G নেটওয়ার্ক পরিষেবা চালু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। আর, এর জন্য ভারত সরকার সংস্থাটিকে ৬,০০০ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তাও করেছে। তাই সরকার আশা করছে যে, BSNL এবার বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলির সাথে সরাসরি প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম হবে।