আমেরিকাকে পিছনে ফেললো ভারতের 5G বাজার, বড় ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির

Update: 2024-09-26 01:58 GMT

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষ করেছেন। আর এই সফর চলাকালীন নিউইয়র্কের একটি ফোরামে ভাষণ দেওয়ার সময় মোদি বেশ কিছু তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, বর্তমানে ভারতের 5G বাজার আমেরিকার 5G বাজারের তুলনায় অনেক বড়। আর ভারত মাত্র দুই বছরই এটা সম্ভব করতে পেরেছে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, ভারতে 5G চালু হয়েছিল ১লা অক্টোবর ২০২২ সালে ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেসে। আর এর ১ সপ্তাহ পরেই বাণিজ্যিক ভাবে দেশের একাধিক এলাকায় 5G রোলআউট করা শুরু হয়।

ভাষণ দেবার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরো জানান যে, ভারত বর্তমানে যেভাবে এই সকল কাজের সাথে সংযুক্ত হয়ে উঠেছে, সেভাবে আগে সংযুক্ত ছিল না। আর বর্তমানে ভারত মেড-ইন ইন্ডিয়া 6G প্রযুক্তি নিয়ে কাজও শুরু করে দিয়েছে। উল্লেখ্য, ভারতে এখন ৪.৫ লক্ষেরও বেশি 5G বেস ট্রান্সিভার স্টেশন রয়েছে।

ভারতে কেন 5G ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে?

ভারতীয় বাজারে সাশ্রয়ী মূল্যে 5G ফোনের প্রাপ্যতা একাধিক গ্রাহককে দ্রুতগতির ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহার করতে সাহায্য করে। এছাড়াও, টেলকোগুলি এখন 4G প্ল্যানের সাথে অতিরিক্ত কোনো খরচ ছাড়াই 5G পরিষেবা অফার করে থাকে। যার ফলে মানুষ বেশি ব্যয় না করেই 5G পরিষেবা উপভোগ করতে পারে। তাই, স্বাভাবিক ভাবেই এই সকল কারণে ভারতে 5G-এর ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে Jio-র 5G ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৩০ মিলিয়ন অতিক্রম করেছে। আর, এই মুহূর্তে Airtel-এর 5G ব্যবহারকারী সংখ্যা প্রায় ১০০ মিলিয়নের কাছাকাছি পৌঁছেছে। এদিকে, Vodafone Idea-ও ২০২৫ অর্থ বর্ষের শেষ প্রান্তিকে 5G লঞ্চ করতে চাইছে। বর্তমানে এই সংস্থাটির কাছে 5G নেটওয়ার্ক না থাকায় তারা ভীষণ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তাই সংস্থাটি তাদের গ্রাহক বৃদ্ধির জন্য দ্রুত 5G কভারেজ প্রদান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

এছাড়াও, BSNL দেশজুড়ে তাদের 4G পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। আর এই রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি দাবি করছে যে, তাদের 4G পরিষেবা 5G-তে আপগ্রেড যোগ্য। অর্থাৎ একবার 4G পরিষেবা চালু করে দেওয়ার পর তারা সহজেই তাদের নেটওয়ার্ক 5G-তে আপগ্রেড করবে।

Tags:    

Similar News