Jio, Airtel এর হাত ধরে টেলিকম ক্ষেত্র থেকে রেকর্ড আয় করতে চলেছে ভারত সরকার
২০২৩ অর্থবর্ষে এই নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার দেশীয় টেলিকম ক্ষেত্র থেকে হিসেবজাত লক্ষ্যমাত্রার বেশি টাকা উপার্জন করতে চলেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। আজ্ঞে হ্যাঁ, ২০২২ অর্থবর্ষেও (FY22) কেন্দ্র ঠিক একইভাবে দেশীয় টেলিকম সেক্টর থেকে লক্ষ্যমাত্রার অধিক পরিমাণ অর্থ আদায়ে সফল হয়। প্রাইভেট টেলকো, যথা, Airtel ও Reliance Jio নির্ধারিত সময়ের আগে স্পেকট্রাম সংক্রান্ত দেনা পরিশোধ করায় পূর্বের অর্থবর্ষে কেন্দ্রের পক্ষে এই বাড়তি মুনাফা অর্জন সম্ভব হয়। সেক্ষেত্রে ২০২৩ অর্থবর্ষেও এই এক ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
২০২৩ অর্থবর্ষে টেলিকম সেক্টর থেকে কত টাকা উপার্জন করতে চলেছে কেন্দ্র?
২০২৩ অর্থবর্ষে (FY23) টেলিকম সেক্টর থেকে কেন্দ্রের বাড়তি উপার্জনের কারণ হিসেবে ইতিপূর্বে অনুষ্ঠিত 5G স্পেকট্রাম নিলাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে। এর থেকেই কেন্দ্রের হাতে অতিরিক্ত অর্থ আসার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। অনুমান করা হচ্ছে, ২০২৩ অর্থবর্ষে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ৫২,৮০৬.৩৬ কোটি টাকার পরিবর্তে টেলিকম সেক্টর থেকে প্রায় ৬৭,০০০ কোটি টাকা উপার্জন করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
বিশিষ্ট সংবাদ সংস্থা ET Telecom -এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, আলোচ্য অর্থবর্ষে ৯০০ এবং ১৮০০ মেগাহার্টজের (MHz) স্পেকট্রাম বরাদ্দকরণের পরিবর্তে 'DoT' বা কেন্দ্রীয় টেলিযোগাযোগ দপ্তর ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড বা BSNL -এর তরফ থেকে পুরো ৩০,০০০ কোটি টাকা আদায় করতে চলেছে। এর ফলে ২০২৩ অর্থবর্ষে টেলিকম সেক্টর থেকে কেন্দ্রের আয় বৃদ্ধি স্রেফ কিছু সময়ের অপেক্ষা।
পাশাপাশি লাইসেন্স ফি এবং স্পেকট্রাম ইউসেজ চার্জ (SUC) বাবদ ডট (DoT) চলতি বছরেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে চলেছে। যদিও ভবিষ্যতে স্পেকট্রাম ইউসেজ চার্জ (SUC) হিসেবে সরকারের অতিরিক্ত মুনাফা উপার্জনের সম্ভাবনা ক্রমশই কমে আসছে।
প্রসঙ্গক্রমে জানিয়ে রাখি, ২০২২ অর্থবর্ষে কেন্দ্র দেশীয় টেলিকম ক্ষেত্র থেকে রেকর্ড ৮৫,০০০ কোটি টাকা উপার্জন করে। অথচ সেবার, সরকারের হিসেবজাত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৩,৯৮৬.৭২ কোটি টাকা। কিন্তু দেশের দ্বিতীয় প্রধান টেলিকম গোষ্ঠী, এয়ারটেল নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে স্পেকট্রাম চার্জ বাবদ দেয় ৮,৩১২.৪ কোটি টাকা পরিশোধ করায় কেন্দ্রের আয় সেবার অনেকখানি বেড়ে যায়। এছাড়া 5G স্পেকট্রাম নিলামের আগাম পেমেন্ট রূপে প্রাইভেট টেলকোদের তরফ থেকে কেন্দ্রীয় টেলিযোগাযোগ দপ্তর অতিরিক্ত ১৭,৮৭৫ কোটি টাকা উপার্জন করে, যা সরকারের আয় বাড়াতে সাহায্য করেছে।