Aprilia RS 457: ডাউন পেমেন্ট 45,000 টাকা, এপ্রিলিয়ার দুর্দান্ত বাইকের EMI কত দেখে নিন

Published on:

aprilia-rs-457-bike-loan-emi-on-rs-45000-down-payment-details-explained

গোয়াতে আয়োজিত ইন্ডিয়া বাইক উইক ২০২৩ অনুষ্ঠানে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হিসেবে ভারতের বাজারে লঞ্চ করেছে Aprilia RS 457। চলতি বছরের শেষ লগ্নে এটিই নিঃসন্দেহে বাইকপ্রেমীদের কাছে সবচেয়ে বড় চমক। এপ্রিলিয়ার এন্ট্রি লেভেল ফুল ফেয়ার্ড এই স্পোর্টস বাইকের এক্স শোরুম মূল্য শুরু হচ্ছে ৪.১০ লক্ষ টাকা থেকে। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স সমৃদ্ধ এই বাইক সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে Kawasaki Ninja 400 এবং সামনেই আগত Yamaha R3-কে। দামের দিক থেকে বিচার করলে Aprilia-এর এই প্রথম বাইক অবশ্যই চমকে দিয়েছে। তবে জানেন কি ন্যূনতম কত টাকা মাসিক কিস্তিতে হাতে পাবেন এই বাইকের চাবি? চলুন দেখে নেওয়া যাক।

RS 457 কেনার পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই করে ফেলেছেন অনেকে। সাধারণভাবে গ্রাহকরা শুরুতে অল্প পরিমাণ কিছু টাকা ডাউনপেমেন্ট করে বাকিটা মাসিক কিস্তিতে দিতে আগ্রহী। বিভিন্ন রকম ট্যাক্স ও বীমা যুক্ত হওয়ার পরে মহারাষ্ট্রে Aprilia RS 457 এর অন-রোড মূল্য দিয়ে দাঁড়ায় ৪.৫২ লক্ষ টাকা। এই দামের উপর হিসাব করেই আনুমানিক একটি হিসাব পরিবেশন করা হলো এখানে।

হিসেবের সুবিধার জন্য আমরা ৩ বছরের ইএমআই অপশন নিয়ে তথ্য সাজালাম। মোটামুটি ভাবে ২০ শতাংশ ডাউনপেমেন্ট করলে ৪.৫২ লাখ টাকার উপর প্রায় ৪৫,০০০ টাকা প্রারম্ভিকভাবে শোরুমে দিতে হবে আপনাকে। ১০% হারে সুদ হিসাব করলে মাসিক কিস্তির পরিমাণ হয় প্রায় ১৩,১৩৯ টাকা। প্রাথমিক ধারণা করার জন্যই এই হিসেব বানানো হয়েছে। শোধ করার সময়সীমা গ্রাহক তার নিজের মন মত বেছে নিতে পারবেন। এছাড়াও সুদের পরিমাণ ব্যাংক কিংবা অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান অনুযায়ী ভিন্ন। উপরন্তু ডাউন পেমেন্টের পরিমাণ কম বা বেশি হলে সেক্ষেত্রে ইএমআই বাড়বে কিংবা কমবে।

Aprilia RS 457: ইঞ্জিন স্পেসিফিকেশন

উচ্চ পারফরমেন্স প্রদানকারী Aprilia RS 457-কে এগিয়ে চলার শক্তি সরবরাহ করে ৪৫৭ সিসির লিকুইড কুল্ড, প্যারালাল টুইন ইঞ্জিন। সর্বোচ্চ ৪৭.৬ বিএইচ পি শক্তি ও ৪৩.৫ এনএম টর্ক উৎপাদন করার ক্ষমতা রয়েছে এই ইঞ্জিনের। সঙ্গে যুক্ত সিক্স স্পিড গিয়ারবক্স। ব্রেকিং সিস্টেম হিসাবে সামনে ৩২০ মিমি ও পিছনে রয়েছে ২২০ মিমি ডিস্ক। উভয় চাকাতেই এবিএস বিদ্যমান। সাসপেনশন সেটআপ হিসাবে বাইকটির সামনের দিকে প্রিলোড অ্যাডজাস্টেবল ইউএসডি ফর্ক ও পিছনের দিকে মনোশক ব্যবহার করা হয়েছে। পাশাপাশি এলইডি লাইট, ট্রাকশন কন্ট্রোল, তিন ধরনের রাইডিং মোড, ৫ ইঞ্চির কালার ডিসপ্লে, ইঞ্জিন ম্যাপিংয়ের মত অতি প্রয়োজনীয় আধুনিক সব ফিচার দেওয়া হয়েছে এতে।

সঙ্গে থাকুন ➥