ট্র্যাকশন কন্ট্রোল প্রযুক্তির দেশের সবচেয়ে সস্তা 5 টু-হুইলার, কিনলে ডাবল সেফটির নিশ্চয়তা

Avatar

Published on:

Top 5 most affordable two wheelers with traction control system

মোটরসাইকেল বা স্কুটারে সুরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম (ABS) এর মতই ট্র্যাকশন কন্ট্রোল সিস্টেম (TCS) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমে শুধু চারচাকায় উপলব্ধ থাকলেও এখন কিছু দামি দুই চাকাতেও এমন বৈশিষ্ট্য দেখতে পাওয়া যায়। যদিও সাম্প্রতিক কালে ইয়ামাহা তাদের সাধারণ কমিউটার বাইক ও স্কুটারেও অতি প্রয়োজনীয় এই সুরক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছে। এই প্রতিবেদনে ট্র্যাকশন কন্ট্রোল প্রযুক্তির দেশের সবচেয়ে সস্তা পাঁচ টু-হুইলার মডেলের তালিকা রইল।

ট্রাকশন কন্ট্রোল সিস্টেম কী?

শুরুতেই জেনে নেওয়া প্রয়োজন ট্র্যাকশন কন্ট্রোল সিস্টেম আসলে কিভাবে কাজ করে। এটি এমন এক প্রযুক্তি যা প্রতি মুহূর্তে উভয় চাকার আরপিএম এর উপর নজরদারি চালায়। অর্থাৎ কোনো পরিস্থিতিতে একটি কিংবা দুটি চাকা যদি রাস্তার সাথে ঘর্ষণ বল কম অনুভব হয়ে পিছলে যায় তবে অতি দ্রুত ইঞ্জিনের আরপিএম কমিয়ে সেই চাকা দুটির সামগ্রিক ঘূর্ণনকে নিয়ন্ত্রণ করে। মোদ্দা কথা বলতে গেলে এই ট্র্যাকশন কন্ট্রোল সিস্টেমের মাধ্যমে মোটরসাইকেলের স্টেবিলিটি সঠিক থাকে।

Yamaha FZ-S V4 (১.২৮ লাখ টাকা)

এদেশের বাজারে বিকোনো মোটরসাইকেল গুলির মধ্যে সবচেয়ে কম দামে ট্র্যাকশন কন্ট্রোল ফিচার দেখতে পাওয়া যায় Yamaha FZ-S V4 মডেলটিতে। যদিও ১৫০ সিসির ইঞ্জিন সমৃদ্ধ কমিউটার সেগমেন্ট এর বাইকে এমন বৈশিষ্ট্য অপ্রয়োজনীয়। Yamaha FZ-S V4 কে চালিকাশক্তি যোগায় ১৪৯ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার এয়ারকুল্ড ইঞ্জিন, যা ১২.২ বিএইচপি শক্তি এবং ১৩.৩ এনএম টর্ক উৎপন্ন করতে পারে। সাথে রয়েছে ফাইভ স্পিড ম্যানুয়াল গিয়ার বক্স।

Yamaha FZ-X (১.৩৬ লাখ টাকা)

খানিকটা রেট্রো স্টাইল স্টেটমেন্ট নিয়ে হাজির হয়েছে Yamaha FZ-X। অতি সম্প্রতি আপডেটের ফলে এই বাইকটিতে ট্র্যাকশন কন্ট্রোল সিস্টেম এবং ডুয়েল চ্যানেল এবিএস ব্যবস্থা যুক্ত করা হয়েছে। FZ-S এর মত একই ধরনের ১৪৯ সিসির ইঞ্জিন এক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়েছে। ৫ স্পিড গিয়ার বক্স সমৃদ্ধ এই ইঞ্জিনটির পাওয়ার এবং টর্ক আউটপুট যথাক্রমে ১২.২ বিএইচপি এবং ১৩.৩ এনএম।

Yamaha Aerox 155 (১.৪৩ লাখ টাকা)

ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় ম্যাক্সি স্টাইলের স্কুটার হিসেবে নাম কামিয়েছে Yamaha Aerox 155। এমনকি আমাদের দেশে যে কয়টি স্কুটারে ট্র্যাকশন কন্ট্রোল সিস্টেম দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে কম দাম এটির। কিছুদিন আগেই ওবিডি-২ নির্গমনীতির অনুসারী আপডেট পেয়েছে এটি। ১৫৫ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার, লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিন একে চালিকাশক্তি যোগায়। সিভিটি ট্রান্সমিশন সিস্টেম সম্বলিত এই ইঞ্জিনটি থেকে ১৪.৭৯ বিএইচপি শক্তি এবং ১৩.৯ এনএম টর্ক জেনারেট হয়।

Yamaha MT-15 V2 (১.৬৫ লাখ টাকা)

তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে ১৫০ সিসির সবচেয়ে শক্তিশালী টু হুইলার মডেল Yamaha MT-15 V2। এই বাইকটির অলিন্দে ১৫৫ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। ১৮.১ বিএইচপি শক্তি এবং ১৪.১ এনএম টর্ক উৎপন্ন হয় এই ইঞ্জিন থেকেই।

Yamaha R15 V4 (১.৮১ লাখ টাকা)

আমাদের দেশে ফুল ফেয়ারিং যুক্ত স্পোর্টস বাইক সেগমেন্টে এন্ট্রি লেভেলের দায়িত্ব বহুদিন ধরে সামলে আসছে Yamaha R15। ট্র্যাকশন কন্ট্রোল সিস্টেম ছাড়াও ডুয়েল চ্যানেল এবিএস এবং ইউনি ডাইরেক্টরাল কুইকশিফ্টার এর মত সেফটি ফিচার উপলব্ধ রয়েছে এতে। ১৫৫ সিসির লিকুইড কুলিং ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে এতে। সিক্স স্পিড গিয়ার বক্স যুক্ত ইঞ্জিনটি ১৮.১ বিএইচপি এবং ১৪.১ এনএম টর্ক উৎপাদন করতে পারে।

সঙ্গে থাকুন ➥