HomeAutomobileইচ্ছা করলেই গাড়ি থেকে সৃষ্ট দূষণের মাত্রা কমিয়ে ফেলা যায়, অভ্যাসে যে পাঁচ পরিবর্তন আনা জরুরি

ইচ্ছা করলেই গাড়ি থেকে সৃষ্ট দূষণের মাত্রা কমিয়ে ফেলা যায়, অভ্যাসে যে পাঁচ পরিবর্তন আনা জরুরি

“পরিবেশ দূষণ” এই শব্দটির সঙ্গে আজ ৮ থেকে ৮০ প্রত্যেকেই পরিচিত। কয়েক দশক আগেও পরিবেশ দূষণের এত কঠোর অভিঘাতের সম্মুখীন হতে হয়নি এই মানব জাতিকে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে জনসংখ্যা আর তার সাথেই বেড়েছে মনুষ্য সৃষ্ট বর্জ্যের পরিমাণ। আর এই সব কিছুই একসাথে পরিবেশ দূষণকে অক্সিজেন যুগিয়েছে। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে আরো ভয়ংকর তথ্য। সেই তথ্য অনুযায়ী দিল্লি, মুম্বাই, চেন্নাই, কলকাতা সহ ভারতবর্ষের জনবহুল শহরগুলি পরিবেশ দূষণের বিপদ সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। তাই সতর্ক হতে হবে এখনই। এই সমস্ত শহরগুলিতে গাড়ি মালিকের সংখ্যা বহু। তাদের প্রতিদিনের অভ্যাসে সামান্য কিছু পরিবর্তন আনলেই বেশ খানিকটা রুখে দেওয়া যাবে পরিবেশ দূষণের হারকে। কী কী কর্তব্য পালন করলে গাড়ি থেকে সৃষ্ট দূষণের মাত্রা কমিয়ে ফেলা যায় তারই সন্ধান রইল এখানে।

নির্দিষ্ট টায়ার প্রেসার বজায় রাখা:

মনে রাখবেন গাড়ি হোক কিংবা মোটরসাইকেল তার টায়ারে সঠিক পরিমাণ হওয়া ভর্তি পারলে সেটি তার ওজন নিয়ে বাধাহীনভাবে রাস্তায় চলতে পারে। আর এর ফলে ইঞ্জিনকে কম শক্তি ব্যয় করতে হয়। সাশ্রয় হয় জ্বালানির। প্রত্যেক গাড়ি কিংবা বাইকের সঙ্গে দেওয়া নির্মাতার বুকলেটে তার সঠিক টায়ার প্রেসারের বর্ণনা দেওয়া থাকে। তাই অবশ্যই সেটি মেনে চলুন। এমনকি কখনোই চাকায় অতিরিক্ত হওয়া ভরবেন না, এর ফলে জোরে ব্রেক কষলে গাড়ির চাকা স্পিড করে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হতে পারে।

বেশি দিন চলতে পারে এমন টায়ার ব্যবহার

যখনই আপনার টু-হুইলার কিংবা ফোর-হুইলারের টায়ার পাল্টানোর সময় হবে চেষ্টা করুন বাজার চলতি সাধারণ টায়ার না লাগাতে। তার পরিবর্তে অতিরিক্ত কিছু টাকা ব্যয় করে দীর্ঘ লাইফ সাইকেল রয়েছে এমন টায়ার যেমন- Ceat, MRF, Michelin ইত্যাদি কোম্পানির টায়ার লাগানো ভালো। এতে যেমন আপনার খরচ বাঁচবে তেমনি তা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

একদম কম দূরত্ব না চালানো

দেখবেন অনেক ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত গাড়ি নির্ভর মানুষজন খুব কম গন্তব্যের দূরত্বেও গাড়ির ব্যবহার করেন। এর ফলে এত কম দূরত্ব চলার জন্য গাড়ির ইঞ্জিনটিও যথার্থভাবে পারফরম্যান্স করার অবস্থায় পৌঁছানোর সময় পায়না। ফলে জ্বালানি খরচের পরিমাণ বাড়ে। তাই অবশ্যই চেষ্টা করুন অনেকগুলি ছোট দূরত্বের কাজকে একত্রিত করে একবারে যেতে। তাছাড়াও গন্তব্যস্থলে দূরত্ব যদি একান্তই খুব কম হয় সেক্ষেত্রে বাইসাইকেলের ব্যবহার যুক্তিসঙ্গত। এর কার্বন নিঃসরণ ক্ষমতা শূন্য।

কার পুল

কার পুল ব্যবস্থাটি বর্তমানে বিশ্বের বেশ কিছু দেশে চালু থাকলেও ভারতে সেই ভাবে নেই। একসাথে বেশ কিছু একই গন্তব্যস্থলের মানুষ যদি একত্রিত অবস্থায় কোনো গাড়িতে করে যাতায়াত করেন সেক্ষেত্রে অনেকটাই বাঁচে জ্বালানি খরচ। আসলে প্রতি মানুষ পিছু যদি একটি করে গাড়ি রাস্তায় নামে তাহলে যেমন বাড়ে যানজট তেমনই বাড়ে দূষণের মাত্রাও। তাই নিজেদের মধ্যে এমন কার পুল করে দেখতেই পারেন।

ইউজার ম্যানুয়াল পড়া

যেকোনো গাড়ির সঙ্গেই থাকে নির্মাতার দেওয়া একটি ইউজার ম্যানুয়াল। বেশিরভাগ মানুষই এটিকে অবজ্ঞার চোখে দেখলেও আদতে আপনার সাধের গাড়িটি সম্পর্কে সমস্ত তথ্য ও খুঁটিনাটি বিষয় জানতে হলে অবশ্যই এই বইটি মনোযোগ সহকারে দেখুন। এর থেকে গাড়ির সঠিক সার্ভিস করার সময় ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ বদলের সময় সম্পর্কে সম্যক ধারণা অর্জন করা সম্ভব। তার ফলে আপনার গাড়িটিও দীর্ঘদিন পরিবেশবান্ধব উপায় সঠিক পারফরম্যান্স দেওয়ার অধিকারী হবে।

RELATED ARTICLES

আরও পড়ুন