Car Mileage: গাড়ির মাইলেজ দিনদিন কমে পাচ্ছে? এই 5 অভ্যাস পরিবর্তন করে দেখুন তো

দীর্ঘদিন ধরে হয়তো গাড়ি ব্যবহার করছেন। তাই জানেন, গাড়ির খরচ বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে। যার মধ্যে অন্যতম মাইলেজ। দুর্মূল্যের বাজারে গাড়ির দাম সর্বকালের রেকর্ড ভেঙেছে। এর সাথে গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দিয়েছে জ্বালানি তেলের ছ্যাঁকা লাগানো মূল্য। পকেটের টান কমাতে তাই প্রত্যেক গ্রাহকের নজর বেশি মাইলেজের দিকে। পথ চলার সঙ্গী কী করলে সবচেয়ে কম তেল খাবে, তা নিয়ে ইন্টারনেট ঘেঁটে রাত কাবার করছেন। কিন্তু সমাধান আর বেরোচ্ছে না।

জানেন কি, গাড়ি বেশি মাইলেজ দেবে কিনা তা নানান বিষয়ের উপর নির্ভরশীল? কীভাবে গাড়ি চালানো হচ্ছে, সেটিও তার মধ্যে একটি। ব্যবহারের গাড়ি থেকে যদি সেরা মাইলেজ পেতে চান তবে এই প্রতিবেদনটি আপনার জন্য। কারণ এখানে গাড়ি থেকে সেরা মাইলেজ পাওয়ার পাঁচটি কার্যকর পদ্ধতি নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।

আগ্রাসী ড্রাইভিং থেকে বিরত থাকুন

জানলে চমকে যাবেন, আগ্রাসী ড্রাইভিং গাড়ির কম মাইলেজ প্রদানের একটি অন্যতম কারণ। গাড়ির গতি তীব্রতর করতে অ্যাক্সেলারেটর কষে চালালে ইঞ্জিনের উপর চাপ পড়ে বেশি। অতিরিক্ত শক্তি প্রদান করতে তাই জ্বালানির খরচও বেশি হয়। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ধীরেসুস্থে গাড়ি চালান। এতে জীবনের ঝুঁকি থাকে না, পাশাপাশি বেশি মাইলেজও পাওয়া যায়।

অপ্রয়োজনীয় ওজন কমানোর চেষ্টা করুন

গাড়িতে উপস্থিত যেকোনো জিনিসের জন্য জ্বালানি পোড়ে। তাই গাড়ির ওজন যত কমবে মাইলেজ তত বাড়বে। সে কারণে অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গাড়িতে না রাখাই উচিত। অনেকেই রয়েছেন অপ্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে ঘুরতে পছন্দ করেন। এমনটা করলে বেশি মাইলেজ কখনোই পাবেন না।

টায়ারে হাওয়া কম রাখবেন না

টায়ারে পর্যাপ্ত পরিমাণে হাওয়া না থাকলে গাড়ির পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়ে। এতে ইঞ্জিনের উপর চাপ সৃষ্টি হয়। ইঞ্জিনের কলকব্জা শক্তি প্রদান করতে জ্বালানি পোড়ায় বেশি। তাই সব সময় প্রতিটি টায়ার পর্যাপ্ত পরিমাণে বাতাস পূর্ণ রেখে গাড়ি চালানো উচিত। এতে ঠিকঠাক মাইলেজ মেলে।

উপযুক্ত ইঞ্জিন অয়েল বেছে নিন

উপযুক্ত ইঞ্জিন অয়েল না ভরালে মাইলেজ ভালো মিলবে না। তাই খেয়াল রাখতে হবে সব সময় যেন উন্নত মানের ইঞ্জিন অয়েল গাড়িতে ব্যবহার করা হয়। আসলে ভালো অয়েল ইঞ্জিনের অভ্যন্তরে ঘর্ষণ কমাতে সহায়তা করে। এতে জ্বালানির খরচ কম হয়।

সিগনালে দাঁড়ালে ইঞ্জিন বন্ধ রাখুন

মাইলেজ বাড়ানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে উপযুক্ত উপায় সিগনালে দাঁড়ালে সব সময় ইঞ্জিন বন্ধ রাখুন। যতক্ষণ সিগনাল গ্রীন না হচ্ছে, ইঞ্জিন স্টার্ট করবেন না। ৩০ সেকেন্ড করে প্রত্যেক সিগনালে এই একই পদ্ধতি পালন করলে দেখবেন মাইলেজ ভালো মিলছে। এসি অন থাকলেও এটি মেনে চলুন।