HomeBikeBajaj Pulsar 250 নাকি TVS Apache RTR 200 4V? জবরদস্ত দুই বাইকের...

Bajaj Pulsar 250 নাকি TVS Apache RTR 200 4V? জবরদস্ত দুই বাইকের মধ্যে কোনটা আপনার ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত

২০০ সিসি মোটরসাইকেলগুলি ভারতের বাজারে দীর্ঘদিন ধরেই জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছেছে। যার প্রধান কারণ রাস্তায় চলার সময় পথসঙ্গীটির প্রতি গ্রাহকদের অতিরিক্ত কিছু চাহিদা। যা একটি কমিউটার সেগমেন্টের টু-হুইলার পূরণ করতে অক্ষম। এদিকে সংশ্লিষ্ট সেগমেন্টে দেশীয় বাজারে দুই জনপ্রিয় বাইক হল Bajaj Pulsar ও TVS Apache। এরা একে অপরের ঘোর প্রতিদ্বন্দ্বীও বটে। গত বছর বাজাজ (Bajaj) তাদের N250 ও F250 নামে একজোড়া ২৫০ সিসির বাইক লঞ্চ করেছিল। অন্যদিকে টিভিএস (TVS)-এর মূল অস্ত্র হিসেবে রয়েছে Apache RTR 200 4V। এই প্রতিবেদনে মোটরসাইকেলগুলির মধ্যে তুলনাস্বরূপ আলোচনা রইল।

Bajaj Pulsar 250 vs TVS Apache RTR 200 4V স্পেসিফিকেশন

Pulsar 250-তে রয়েছে একটি ২৫০ সিসি, টু-ভাল্ভ, অয়েল কুল্ড ইঞ্জিন। যা থেকে সর্বোচ্চ ২৪.৫ পিএস শক্তি এবং ২১.৫ এনএম টর্ক উৎপন্ন হয়। এতে উপস্থিত ৫-স্পিড গিয়ারবক্স। ইঞ্জিনটি স্ট্রং মিড রেঞ্জ এবং টর্কের জন্য বিখ্যাত। এজন্য ট্রাফিক জ্যামে ঘনঘন গিয়ার পরিবর্তনের প্রয়োজন পড়ে না।

অন্যদিকে, Apache RTR 200 4V-তে উপস্থিত একটি ১৯৭.৭৫ সিসি, ফোর-ভাল্ভ, অয়েল-কুল্ড ইঞ্জিন। এটি থেকে ২০.৮২ পিএস শক্তি এবং ১৭.২৫ এনএম টর্ক পাওয়া যায়। তবে এটি স্পোর্টস মোডের আউটপুট। আরবান এবং রেইন মোডে ১৭.৩২ পিএস পাওয়ার ও ১৬.৫১ এনএম টর্ক উৎপন্ন হয়। ইঞ্জিনকে যোগ্য সঙ্গত দিতে এতে ৫-স্পিড গিয়ারবক্স রয়েছে।

Bajaj Pulsar 250 vs TVS Apache RTR 200 4V ফিচার্স

ফিচারের প্রসঙ্গে বললে Bajaj Pulsar 250 থেকে অনেকটাই এগিয়ে TVS Apache RTR 200 4V। এতে রয়েছে গ্লাইড থ্রু টেকনোলজি, অ্যাডজাস্টেবল ব্রেক ও ক্লাচ লিভার, ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি, রাইডিং মোড এবং একটি ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার।

সে জায়গায় Pulsar 250-এর ফিচারের তালিকায় একটি সেমি ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার এবং ইউএসবি চার্জারের দেখা মেলে। এতে এখনও সেই অ্যানালগ ট্যাকোমিটার অফার করা হয়, কারণ বহু অনুরাগীর পছন্দের ফিচার এটি। সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস উভয় মডেলের স্ট্যান্ডার্ড ফিচার হিসেবে এসেছে। আবার ডুয়েল চ্যানেল এবিএস ভ্যারিয়েন্টেও উপলব্ধ এটি।

Bajaj Pulsar 250 vs TVS Apache RTR 200 4V দাম

Apache RTR 200 4V-এর সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস ভ্যারিয়েন্টের মূল্য ১.৩৯ লক্ষ টাকা। যেখানে ডুয়েল চ্যানেল এবিএস মডেলটি কিনতে খরচ পড়ে ১.৪৪ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে, Pulsar 250-এর সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস মডেলটির দাম ১.৪৫ লক্ষ টাকা। আবার ডুয়েল চ্যানেল এবিএস সহ কিনলে ১.৫০ লক্ষ টাকা পড়বে। উপরোক্ত প্রতিটি মূল্যই এক্স-শোরুম প্রাইস অনুযায়ী।

RELATED ARTICLES

Most Popular