সমগ্র বিশ্বে জীবাশ্ম জ্বালানির যানবাহনের থেকে নির্গত দূষণের মাত্রায় বেড়ি পড়াতে অপ্রচলিত শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধিতে জোর দেওয়া হচ্ছে। যার মধ্যে অন্যতম হল ইথানল ও মিথানল। পেট্রোলের সাথে এটি নির্দিষ্ট অনুপাতে মেশানোর পর বলা হয় ফ্লেক্স-ফুয়েল। এই জাতীয় জ্বালানিতে চলতে সক্ষম বিশেষভাবে তৈরি মিলের নাম ফ্লেক্স-ফুয়েল ইঞ্জিন। দিনকে দিন ভারতে এই জাতীয় ইঞ্জিন সমেত গাড়ি আনার চল বাড়তে দেখা যাচ্ছে।
এবারে দেশের বৃহত্তম টু-হুইলার ব্র্যান্ড হিরো মোটোকর্প (Hero MotoCorp) অটো এক্সপো ২০২৩-এ তাদের Glamour XTEC ফ্লেক্স-ফুয়েল প্রোটোটাইপের ঝলক দেখালো। বর্তমানে সংস্থাটি এদেশের রাস্তায় এই জাতীয় বাইকের ট্রায়াল রান চালাচ্ছে। দূরবর্তী পথ পাড়ি দেওয়ার সক্ষমতা যাচাই করতেই এই পরীক্ষা।
আবার টু-হুইলারের ব্র্যান্ডটি ফ্লেক্স-ফুয়েল মোটরসাইকেলের বাণিজ্যিক উৎপাদনের ট্রায়াল শুরু করেছে। এগুলি প্রধানত ১০০-১২৫ সিসি কমিউটার মডেলগুলিতে চালানো হচ্ছে। দেশের আইসিই বাজারে সিংহভাগ মানুষ উক্ত সেগমেন্টের দু’চাকার গাড়ি ব্যবহার করে। এই প্রসঙ্গে সংস্থার এক ঊর্ধ্বতন আধিকারিক বলেছেন, “জানুয়ারি থেকে আমরা e20 (পেট্রোলের সাথে ২০% ইথানল মেশানো হবে) ফুয়েল টু-হুইলারের নির্মাণ শুরু করেছি। যেই কাজ প্রায় শেষের দিকে। e10 এবং e20-এর মধ্যে যেকেনো প্রকরণের বাইক আনার চ্যালেঞ্জ নিতে হিরো মোটোকর্প প্রস্তুত।”
সংস্থার আধিকারিক জানিয়েছেন, “ভারতের কমপক্ষে দুই থেকে তিনটি শহরে আমরা আমাদের ফ্লেক্স ফুয়েল মডেলের টেস্টিং চালাচ্ছি। ২০২৫ থেকে উৎপাদন শুরু করার আগে আমরা এদের প্রকৃতি সম্পূর্ণরূপে বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করছি।”
এদিকে সাধারণ ইঞ্জিনের জন্য ইথানল মারাত্মক ক্ষতিকারক বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কোন প্রথাগত ইঞ্জিনে ইথানল ঢালা হলে, তা বিকল হতে বিশেষ সময় নেবে না। প্রসঙ্গত, Hero Glamour XTEC ফ্লেক্স-ফুয়েল মডেলটি পেট্রোলের সাথে ২০-৮৫% ইথানলের সংমিশ্রণে চলতে পারে বলে জানিয়েছে হিরো।